ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




গণপূর্তের মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট প্রকৌশলী!

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জামাতের শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসাবে চাকরিতে যোগদান করা গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কমিশন থেকে ও মিস্টার ফিফটি হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি।

সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে সার্কেল ২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ভুয়া পোস্টিং দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন।

বর্তমানে তার এসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী সহচর হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী।

ঠিকাদারের সাথে আতাত করে ৫০% কমিশন নিয়ে অসম্পন্ন কাজের বিলও পরিশোধ করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা তেজগাঁও ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরের বাংলো- ১ এর দরজা জানালা ভাই পালিশ টাইলস বসানো কেন্দ্রীয় ভবনের নিষ্কাশন লাইন মেরামত গ্যারেজ কাম ড্রাইভার এর কোয়াটারের নিচ তলায় সিলিং মেরামত কাজের জন্য গত ৫জুন ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েই ৫০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে বিল দিয়ে দেন।

এছাড়াও রাজস্ব ভবন ও অডিট অধিদপ্তর এর সংস্কার ও রং করার নামে ওস্তাদ শিষ্য দুজনে মিলে বড়। অংকের অর্থ আত্মসাত করে। কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়ন খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রকৌশলী।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ওস্তাদ শিষ্য মিলে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ফিফটি পার্সেন্ট কমিশন খেকো এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয় প্রদান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী সতীনাথ বাসাকের মঠোফোন নাম্বার ফোন করলে তিনি কোন মন্তব্য না করেই কেটে দেন। পরবর্তীতে খুঁজে বার্তা পাঠানো তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গণপূর্তের মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট প্রকৌশলী!

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জামাতের শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসাবে চাকরিতে যোগদান করা গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কমিশন থেকে ও মিস্টার ফিফটি হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি।

সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে সার্কেল ২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ভুয়া পোস্টিং দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন।

বর্তমানে তার এসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী সহচর হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী।

ঠিকাদারের সাথে আতাত করে ৫০% কমিশন নিয়ে অসম্পন্ন কাজের বিলও পরিশোধ করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা তেজগাঁও ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরের বাংলো- ১ এর দরজা জানালা ভাই পালিশ টাইলস বসানো কেন্দ্রীয় ভবনের নিষ্কাশন লাইন মেরামত গ্যারেজ কাম ড্রাইভার এর কোয়াটারের নিচ তলায় সিলিং মেরামত কাজের জন্য গত ৫জুন ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েই ৫০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে বিল দিয়ে দেন।

এছাড়াও রাজস্ব ভবন ও অডিট অধিদপ্তর এর সংস্কার ও রং করার নামে ওস্তাদ শিষ্য দুজনে মিলে বড়। অংকের অর্থ আত্মসাত করে। কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়ন খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রকৌশলী।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ওস্তাদ শিষ্য মিলে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ফিফটি পার্সেন্ট কমিশন খেকো এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয় প্রদান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী সতীনাথ বাসাকের মঠোফোন নাম্বার ফোন করলে তিনি কোন মন্তব্য না করেই কেটে দেন। পরবর্তীতে খুঁজে বার্তা পাঠানো তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।

Loading