ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাঁচাতে রাজউক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা কবজ! Logo অদম্য বাংলাদেশের মূল শক্তি তরুণরাঃ ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo আমরণ অনশনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী Logo রমজানে জাল নোট প্রতিরোধে ভিডিও প্রচারের নির্দেশ Logo শিক্ষকতা কোনো পেশা বা চাকুরী নয়; ব্রত- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo পীরগঞ্জে যে গ্রামে চেরাগের আলোতে চলে লেখাপড়া Logo পরিবার পরিকল্পনার মান্নানের হাতে জিম্মি অধিদপ্তরের হাজারো কর্মচারী পর্ব-২ Logo কুবিতে শুরু হতে যাচ্ছে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নাট্য উৎসব-২০২৩’ Logo পিরোজপুরের ভূমিদস্য শাহাদাত কর্তৃক যুগান্তরের সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে হত্যার হুমকি Logo বঙ্গবন্ধুর জম্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে শাবির বঙ্গবন্ধু হল




গণপূর্তের মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট প্রকৌশলী!

নিজস্ব প্রতিবেদক;
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জামাতের শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসাবে চাকরিতে যোগদান করা গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কমিশন থেকে ও মিস্টার ফিফটি হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি।

সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে সার্কেল ২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ভুয়া পোস্টিং দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন।

বর্তমানে তার এসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী সহচর হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী।

ঠিকাদারের সাথে আতাত করে ৫০% কমিশন নিয়ে অসম্পন্ন কাজের বিলও পরিশোধ করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা তেজগাঁও ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরের বাংলো- ১ এর দরজা জানালা ভাই পালিশ টাইলস বসানো কেন্দ্রীয় ভবনের নিষ্কাশন লাইন মেরামত গ্যারেজ কাম ড্রাইভার এর কোয়াটারের নিচ তলায় সিলিং মেরামত কাজের জন্য গত ৫জুন ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েই ৫০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে বিল দিয়ে দেন।

এছাড়াও রাজস্ব ভবন ও অডিট অধিদপ্তর এর সংস্কার ও রং করার নামে ওস্তাদ শিষ্য দুজনে মিলে বড়। অংকের অর্থ আত্মসাত করে। কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়ন খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রকৌশলী।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ওস্তাদ শিষ্য মিলে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ফিফটি পার্সেন্ট কমিশন খেকো এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয় প্রদান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী সতীনাথ বাসাকের মঠোফোন নাম্বার ফোন করলে তিনি কোন মন্তব্য না করেই কেটে দেন। পরবর্তীতে খুঁজে বার্তা পাঠানো তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।

 33 total views,  1 views today

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গণপূর্তের মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট প্রকৌশলী!

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জামাতের শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসাবে চাকরিতে যোগদান করা গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কমিশন থেকে ও মিস্টার ফিফটি হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি।

সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে সার্কেল ২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ভুয়া পোস্টিং দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন।

বর্তমানে তার এসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী সহচর হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী।

ঠিকাদারের সাথে আতাত করে ৫০% কমিশন নিয়ে অসম্পন্ন কাজের বিলও পরিশোধ করেন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা তেজগাঁও ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরের বাংলো- ১ এর দরজা জানালা ভাই পালিশ টাইলস বসানো কেন্দ্রীয় ভবনের নিষ্কাশন লাইন মেরামত গ্যারেজ কাম ড্রাইভার এর কোয়াটারের নিচ তলায় সিলিং মেরামত কাজের জন্য গত ৫জুন ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েই ৫০ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে বিল দিয়ে দেন।

এছাড়াও রাজস্ব ভবন ও অডিট অধিদপ্তর এর সংস্কার ও রং করার নামে ওস্তাদ শিষ্য দুজনে মিলে বড়। অংকের অর্থ আত্মসাত করে। কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়ন খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রকৌশলী।

২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ওস্তাদ শিষ্য মিলে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ফিফটি পার্সেন্ট কমিশন খেকো এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয় প্রদান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রকৌশলী সতীনাথ বাসাকের মঠোফোন নাম্বার ফোন করলে তিনি কোন মন্তব্য না করেই কেটে দেন। পরবর্তীতে খুঁজে বার্তা পাঠানো তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করেননি।

 34 total views,  2 views today