খুলনা সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় আসমা নাসির (৪৩) নামে একজন গৃহবধুর আত্মহত্যা করেছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা না তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে গৃহবধূর ভাই অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এখন প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা এখনও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ পাননি। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর নাম আসমা নাসির (৪৩)। তিনি সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নাসির হাওলাদারের স্ত্রী। তারা এই এলাকার ১ নম্বর ফেসের ১১ নম্বর রোড়ের ১৬২ নম্বর বাড়িতে থাকেন। আসমা নাসির মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি আরজ আলীর মেয়ে। আসমার ভাই মোহাম্মদ হেমায়েত মোংলা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সুন্দরবন’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
এদিকে সোনাডাঙ্গা থানার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোহিত কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি খবর পান সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে আসমা ফাঁস দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক আসমা নাসিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এসআই আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আসমা নাসিরের ভাই মোহাম্মদ হেমায়েত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযোগ করে বলেন, তার বোন গত বুধবার রাতে মায়ের কাছে মোবাইল করে নির্যাতনের কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, নাসির হাওলাদার সকালে তার বোনকে হত্যার পর মোংলা যায়, সেখান থেকে ফিরে লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হেমায়েত আরও অভিযোগ করেন, নাসির তার বোনের সব জমিজমা লিখে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ আসমার স্বামী নাসির হাওলাদারের মুঠোফোনে কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।