ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশন সচিব।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএমের বিষয়টি সামনে আসে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে পরবর্তী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে দেড় লাখের মতো ইভিএম রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা ৭০ বা ৮০টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে।

২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করেনি।

২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল

আপডেট সময় : ১২:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশন সচিব।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএমের বিষয়টি সামনে আসে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে পরবর্তী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে দেড় লাখের মতো ইভিএম রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা ৭০ বা ৮০টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে।

২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করেনি।

২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।