ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার ঘোষণা

আন্তজার্তিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

Jammu: Army personnel guard at a street during curfew in Jammu on Monday. The curfew has been clamped by the authorities in the view of violent protests over Kishtwar clash. PTI Photo (PTI8_12_2013_000096B)

মস্কোর হুমকি সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাতেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে এখন ট্যাঙ্ক দেয়া হবে না। গত একবছরে এই নিয়ে ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ২৬ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বাইডেন সরকার দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে ৯০টি স্ট্রাইকার কমব্যাট গাড়ি বা সাজোয়া গাড়ি, ৫৯টি ব্র্যাডলি সাজোয়া গাড়ি, ৫৩টি মাইন রেজিসট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেক্টেড ভিয়াকলস, ৩৫০টি হাই মোবিলিটি মাল্টিপারপাস হুইলড ভিয়াকলস, কয়েক হাজার রকেটসহ প্রচুর গোলা-বারুদ দেয়ার কথা আছে। কিন্তু ট্যাঙ্কের উল্লেখ নেই।

শুক্রবার জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রর সেনাঘাঁটিতে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে, জার্মানিও ইউক্রেনকে সম্ভবত ট্যাঙ্ক দেবে না।

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে ট্যাঙ্ক দেয়ার দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন। নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু জার্মান ট্যাঙ্ক চেয়েছিল তারা। ইউক্রেনের বক্তব্য শোনার পর পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তাদের কাছে ওই জার্মান ট্যাঙ্ক আছে। জার্মানি সবুজ সংকেত দিলেই তারা ওই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছিলেন, সব দিক বিবেচনা করে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রর কাছেও অ্যাব্রাম ট্যাঙ্ক চেয়েছিল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রর বক্তব্য, এই ধরনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক এখন ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। এই ধরনের ট্যাঙ্ক চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইউক্রেনের সেনাকে এখন সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাদের ট্যাঙ্ক দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অ্যাব্রাম ট্যাঙ্ক দিলে তবেই জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্কও অত্যাধুনিক। যা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন সতর্ক করে দিয়েছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম ভারী অস্ত্র পাঠানোকে একটি উসকানি হিসেবে দেখা হবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র পাঠানো অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। এর অর্থ সংঘাতকে একটি সম্পূর্ণ নতুন স্তরে নিয়ে আসা যা অবশ্যই বৈশ্বিক এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ভাল হবে না।

মার্কিন ঘোষণার পর এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে ইউক্রেন কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জেলেনস্কি ফের ট্যাঙ্ক চাইতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েকদিন ধরে বার বারই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার স্থলসেনাকে পরাস্ত করতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু ট্যাঙ্কের প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

মস্কোর হুমকি সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাতেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে এখন ট্যাঙ্ক দেয়া হবে না। গত একবছরে এই নিয়ে ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ২৬ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বাইডেন সরকার দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে ৯০টি স্ট্রাইকার কমব্যাট গাড়ি বা সাজোয়া গাড়ি, ৫৯টি ব্র্যাডলি সাজোয়া গাড়ি, ৫৩টি মাইন রেজিসট্যান্ট অ্যামবুশ প্রটেক্টেড ভিয়াকলস, ৩৫০টি হাই মোবিলিটি মাল্টিপারপাস হুইলড ভিয়াকলস, কয়েক হাজার রকেটসহ প্রচুর গোলা-বারুদ দেয়ার কথা আছে। কিন্তু ট্যাঙ্কের উল্লেখ নেই।

শুক্রবার জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রর সেনাঘাঁটিতে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে, জার্মানিও ইউক্রেনকে সম্ভবত ট্যাঙ্ক দেবে না।

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে ট্যাঙ্ক দেয়ার দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন। নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু জার্মান ট্যাঙ্ক চেয়েছিল তারা। ইউক্রেনের বক্তব্য শোনার পর পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তাদের কাছে ওই জার্মান ট্যাঙ্ক আছে। জার্মানি সবুজ সংকেত দিলেই তারা ওই ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছিলেন, সব দিক বিবেচনা করে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রর কাছেও অ্যাব্রাম ট্যাঙ্ক চেয়েছিল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রর বক্তব্য, এই ধরনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক এখন ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। এই ধরনের ট্যাঙ্ক চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইউক্রেনের সেনাকে এখন সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাদের ট্যাঙ্ক দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অ্যাব্রাম ট্যাঙ্ক দিলে তবেই জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্কও অত্যাধুনিক। যা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন সতর্ক করে দিয়েছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম ভারী অস্ত্র পাঠানোকে একটি উসকানি হিসেবে দেখা হবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র পাঠানো অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। এর অর্থ সংঘাতকে একটি সম্পূর্ণ নতুন স্তরে নিয়ে আসা যা অবশ্যই বৈশ্বিক এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ভাল হবে না।

মার্কিন ঘোষণার পর এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে ইউক্রেন কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জেলেনস্কি ফের ট্যাঙ্ক চাইতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েকদিন ধরে বার বারই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার স্থলসেনাকে পরাস্ত করতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু ট্যাঙ্কের প্রয়োজন।