ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ওদের তিনজনকে নিয়েই যত টেনশন খালেদার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রুহুল কবির রিজভী। তিনজনই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। বিগত আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তাদের ভূমিকায় খুশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের চোখেও দলের ‘তারকা’ এ তিন নেতা। কাউন্সিল শেষ। এবার বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে কোথায় তাদের ঠাঁই হবে—এ নিয়ে নেতা-কর্মীদেরও কৌতূহলের শেষ নেই। চিন্তায় খোদ বিএনপি চেয়ারপারসনও। কমিটিতে কাকে কোথায় রাখবেন, তা চূড়ান্ত করতে টেনশনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, নতুন কমিটিতে তিনজনকেই যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বেগম জিয়া।

জানা যায়, গত চার দিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে অফিস করছেন না খালেদা জিয়া। কমিটি নিয়েই বাসায় ব্যস্ত সময় কাটছে তার। স্থায়ী কমিটি ও যুগ্ম মহাসচিব পদ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। দু-এক দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটি ও মহাসচিবের নাম ঘোষণা হতে পারে বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বলছেন। আরেকাংশ বলছে, এপ্রিলের মাঝামাঝিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি একসঙ্গে হতে পারে। মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের নাম নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। গতকালও রাজধানীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক স্বাধীনতা র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় নেতাদের সবাই মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব বলেই সম্বোধন করেন। জানা যায়, লন্ডন ও ঢাকা—দুই স্থানেই তাকে মহাসচিব করার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব ঘোষণা সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্থায়ী কমিটি ও যুগ্ম মহাসচিব পদে কাকে রাখা হবে, তা নিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন খালেদা জিয়া। জানা যায়, সাত সদস্যের যুগ্ম মহাসচিব পদে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ একটি। মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দিন ও রিজভী আহমেদ তিনজনই ওই পদের যোগ্য। তবে ওই পদে আলোচনায় সর্বকনিষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাকে ওই পদে দিলে মো. শাহজাহান ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে কোথায় রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন—এ প্রশ্ন নেতা-কর্মীদের। স্বাভাবিকভাবেই ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা স্থায়ী কমিটিতে জায়গা করে দিতে হবে। স্থায়ী কমিটিতে যাওয়ার আলোচনায় রয়েছে সালাউদ্দিন আহমদের নাম। তিনজনের মধ্যে সিনিয়র হলেন মো. শাহজাহান। স্বাভাবিকভাবে তাকেও স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া উচিত বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। দলের নেতারা এও বলছেন, বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোয় ভাইস চেয়ারম্যান পদকে বলা হয় ‘ওএসডি’। ওই পদেও দুই নেতাকে নিলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে। দুজনকে স্থায়ী কমিটিতেই নেওয়া উচিত। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে তিনজনের মারা যাওয়া আর দুজনের অসুস্থতার কারণে মোট পাঁচটি পদ শূন্য হতে পারে। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হলে পদাধিকার বলে স্থায়ী কমিটির সদস্য হবেন। স্থায়ী কমিটির চারটি পদে আরও অন্তত একডজন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন। এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে বেগম জিয়াকে। তারেক রহমানসহ দলের নির্ভরযোগ্য গুটিকয়েক নেতার সঙ্গেও সলাপরামর্শ করছেন বিএনপি প্রধান। তবে কমিটি নিয়ে কথা বলতে সবাই নারাজ। ৫ জানুয়ারির আন্দোলন পরবর্তী খাদের কিনারে থাকা দলকে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করার কারিগর ছিলেন মো. শাহজাহান। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা ছিলেন কারাগারে। দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাণ্ডা মাথায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নানা মতের নেতাদের একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে এখনো দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। বিএনপি প্রধানও একাধিকবার সিনিয়র নেতাদের বলেছেন, মো. শাহজাহানকে যোগ্য স্থানে রাখা হবে।

৫ জানুয়ারি আন্দোলনকে ঘিরে রিজভী আহমেদ গ্রেফতার হলে সালাউদ্দিন আহমদ দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। দলের ওই দুঃসময়ে রাজধানীর গোপন স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠাতেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে। একপর্যায়ে তিনি গুম হয়ে যান। পরিবার ও দল থেকে জানানো হয়, তাকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দীর্ঘদিন পর তাকে পাওয়া যায় ভারতের শিলংয়ে। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশে ফিরতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দলে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। বিএনপির সর্ব কনিষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাকসুর এই ভিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিগত ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনে তার পারফর্মেন্সে খুশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। সবারই প্রত্যাশা, রিজভী আহমেদ যোগ্য মর্যাদা পাবেন। এ সরকারের দুই মেয়াদে চারবার গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলার খগড় ঝুলছে।

২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে ঘিরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ছিলেন রিজভী আহমেদ। পরে তাকে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে। সর্বশেষ তিনি টানা ১০ মাস কারাগারে ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, যোগ্যদের পদায়নে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরাও চাই, বিএনপির এই তিন নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাক। একইভাবে তৃণমূলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ত্যাগী নেতারাও মূল্যায়ন পাবে বলেও প্রত্যাশা রাখি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ওদের তিনজনকে নিয়েই যত টেনশন খালেদার

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রুহুল কবির রিজভী। তিনজনই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। বিগত আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তাদের ভূমিকায় খুশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের চোখেও দলের ‘তারকা’ এ তিন নেতা। কাউন্সিল শেষ। এবার বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে কোথায় তাদের ঠাঁই হবে—এ নিয়ে নেতা-কর্মীদেরও কৌতূহলের শেষ নেই। চিন্তায় খোদ বিএনপি চেয়ারপারসনও। কমিটিতে কাকে কোথায় রাখবেন, তা চূড়ান্ত করতে টেনশনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, নতুন কমিটিতে তিনজনকেই যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বেগম জিয়া।

জানা যায়, গত চার দিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে অফিস করছেন না খালেদা জিয়া। কমিটি নিয়েই বাসায় ব্যস্ত সময় কাটছে তার। স্থায়ী কমিটি ও যুগ্ম মহাসচিব পদ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। দু-এক দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটি ও মহাসচিবের নাম ঘোষণা হতে পারে বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বলছেন। আরেকাংশ বলছে, এপ্রিলের মাঝামাঝিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি একসঙ্গে হতে পারে। মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের নাম নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। গতকালও রাজধানীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক স্বাধীনতা র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় নেতাদের সবাই মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব বলেই সম্বোধন করেন। জানা যায়, লন্ডন ও ঢাকা—দুই স্থানেই তাকে মহাসচিব করার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব ঘোষণা সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্থায়ী কমিটি ও যুগ্ম মহাসচিব পদে কাকে রাখা হবে, তা নিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন খালেদা জিয়া। জানা যায়, সাত সদস্যের যুগ্ম মহাসচিব পদে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ একটি। মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দিন ও রিজভী আহমেদ তিনজনই ওই পদের যোগ্য। তবে ওই পদে আলোচনায় সর্বকনিষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাকে ওই পদে দিলে মো. শাহজাহান ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে কোথায় রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন—এ প্রশ্ন নেতা-কর্মীদের। স্বাভাবিকভাবেই ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা স্থায়ী কমিটিতে জায়গা করে দিতে হবে। স্থায়ী কমিটিতে যাওয়ার আলোচনায় রয়েছে সালাউদ্দিন আহমদের নাম। তিনজনের মধ্যে সিনিয়র হলেন মো. শাহজাহান। স্বাভাবিকভাবে তাকেও স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া উচিত বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। দলের নেতারা এও বলছেন, বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোয় ভাইস চেয়ারম্যান পদকে বলা হয় ‘ওএসডি’। ওই পদেও দুই নেতাকে নিলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে। দুজনকে স্থায়ী কমিটিতেই নেওয়া উচিত। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে তিনজনের মারা যাওয়া আর দুজনের অসুস্থতার কারণে মোট পাঁচটি পদ শূন্য হতে পারে। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হলে পদাধিকার বলে স্থায়ী কমিটির সদস্য হবেন। স্থায়ী কমিটির চারটি পদে আরও অন্তত একডজন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন। এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে বেগম জিয়াকে। তারেক রহমানসহ দলের নির্ভরযোগ্য গুটিকয়েক নেতার সঙ্গেও সলাপরামর্শ করছেন বিএনপি প্রধান। তবে কমিটি নিয়ে কথা বলতে সবাই নারাজ। ৫ জানুয়ারির আন্দোলন পরবর্তী খাদের কিনারে থাকা দলকে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করার কারিগর ছিলেন মো. শাহজাহান। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা ছিলেন কারাগারে। দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাণ্ডা মাথায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নানা মতের নেতাদের একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে এখনো দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। বিএনপি প্রধানও একাধিকবার সিনিয়র নেতাদের বলেছেন, মো. শাহজাহানকে যোগ্য স্থানে রাখা হবে।

৫ জানুয়ারি আন্দোলনকে ঘিরে রিজভী আহমেদ গ্রেফতার হলে সালাউদ্দিন আহমদ দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। দলের ওই দুঃসময়ে রাজধানীর গোপন স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠাতেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে। একপর্যায়ে তিনি গুম হয়ে যান। পরিবার ও দল থেকে জানানো হয়, তাকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দীর্ঘদিন পর তাকে পাওয়া যায় ভারতের শিলংয়ে। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশে ফিরতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দলে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। বিএনপির সর্ব কনিষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাকসুর এই ভিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিগত ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনে তার পারফর্মেন্সে খুশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। সবারই প্রত্যাশা, রিজভী আহমেদ যোগ্য মর্যাদা পাবেন। এ সরকারের দুই মেয়াদে চারবার গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলার খগড় ঝুলছে।

২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে ঘিরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ছিলেন রিজভী আহমেদ। পরে তাকে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে। সর্বশেষ তিনি টানা ১০ মাস কারাগারে ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, যোগ্যদের পদায়নে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরাও চাই, বিএনপির এই তিন নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাক। একইভাবে তৃণমূলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ত্যাগী নেতারাও মূল্যায়ন পাবে বলেও প্রত্যাশা রাখি।