ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




চিকিৎসকের নির্যাতনে স্ত্রী লাইফ সাপের্টে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি;

যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের শিকার পাবনার আতাইকুলার গৃহবধু মাহমুদা আক্তার মিম (২৮) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৫ দিন ধরে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।

মিম পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আবদুল মমিন মণ্ডলের মেয়ে এবং একই থানার রাজইমণ্ডল গ্রামের ডা. পিন্টু প্রামাণিকের স্ত্রী।

গত ২১ মে রাতে স্বামী ডা. পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মিম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিমের স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে রাজাইমণ্ডল গ্রামের চকির প্রামানিকের মেয়ে মিমের বিয়ে হয় পল্লী চিকিৎসক পিন্টু প্রামাণিকের সঙ্গে।

বিয়ের পর যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে তাকে স্বামী পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল।
গত ২১ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মিমকে পিন্টুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম নির্যাতন করেন। মিমের বুক থেকে গলা, মুখ এবং মাথায় নির্যাতন করে থেঁতলে দেয়া হয়। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া শ্বাসনালী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ৫ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি।

তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।

এ ঘটনায় মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ৬ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।

আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক। পুলিশের একাধিক টিম তাদের ধরতে মাঠে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চিকিৎসকের নির্যাতনে স্ত্রী লাইফ সাপের্টে

আপডেট সময় : ১২:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

পাবনা প্রতিনিধি;

যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের শিকার পাবনার আতাইকুলার গৃহবধু মাহমুদা আক্তার মিম (২৮) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ৫ দিন ধরে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।

মিম পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আবদুল মমিন মণ্ডলের মেয়ে এবং একই থানার রাজইমণ্ডল গ্রামের ডা. পিন্টু প্রামাণিকের স্ত্রী।

গত ২১ মে রাতে স্বামী ডা. পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মিম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিমের স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে রাজাইমণ্ডল গ্রামের চকির প্রামানিকের মেয়ে মিমের বিয়ে হয় পল্লী চিকিৎসক পিন্টু প্রামাণিকের সঙ্গে।

বিয়ের পর যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে তাকে স্বামী পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল।
গত ২১ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মিমকে পিন্টুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম নির্যাতন করেন। মিমের বুক থেকে গলা, মুখ এবং মাথায় নির্যাতন করে থেঁতলে দেয়া হয়। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া শ্বাসনালী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ৫ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি।

তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাইফ সপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার বাঁচার আশা ক্ষীণ।

এ ঘটনায় মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ৬ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।

আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক। পুলিশের একাধিক টিম তাদের ধরতে মাঠে রয়েছে। যে কোনো সময় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।