ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




কিল-ঘুষিতে রোগীর বাবাকে আহত করলেন চিকিৎসক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি |

পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর বাবাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে । বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার বিকেলে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিলন মাহমুদ কর্মস্থল ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন। ওই দিন রাতেই এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামের রাজেম মোল্লার ছেলে সোনাই মোল্লা (৩৫) তার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় সোনাই মোল্লা তার ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললে ডা. মিলন মাহমুদ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সোনাই মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং সোনাই মোল্লার বাইসাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এতে সোনাই মোল্লার বাঁ চোখে আঘাত লাগে ও ঠোঁট ফেটে যায়। এ ছাড়া শরীরের নানাস্থানে জখম হয়।

আহত সোনাই মোল্লা বলেন, আমি ছেলেকে নিয়ে তাড়াহুড়ায় বাইসাইকেল হাসপাতালের গেটে রেখে ঢুকে পড়েছিলাম। ডা. মিলন মাহমুদ বাইসাইকেলটি লাথি মেরে ফেলে দেন। আমি ছেলের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, কোনো কিছু বোঝার আগেই আমাকে অহেতুক মারধর করে রক্তাক্ত করেন। এখন ছেলের সাথে আমি নিজেও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ডা. মিলন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

যোগাযোগ করা হলে পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। ঘটনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কিল-ঘুষিতে রোগীর বাবাকে আহত করলেন চিকিৎসক

আপডেট সময় : ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

পাবনা প্রতিনিধি |

পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর বাবাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে । বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার বিকেলে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিলন মাহমুদ কর্মস্থল ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন। ওই দিন রাতেই এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামের রাজেম মোল্লার ছেলে সোনাই মোল্লা (৩৫) তার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় সোনাই মোল্লা তার ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললে ডা. মিলন মাহমুদ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সোনাই মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং সোনাই মোল্লার বাইসাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এতে সোনাই মোল্লার বাঁ চোখে আঘাত লাগে ও ঠোঁট ফেটে যায়। এ ছাড়া শরীরের নানাস্থানে জখম হয়।

আহত সোনাই মোল্লা বলেন, আমি ছেলেকে নিয়ে তাড়াহুড়ায় বাইসাইকেল হাসপাতালের গেটে রেখে ঢুকে পড়েছিলাম। ডা. মিলন মাহমুদ বাইসাইকেলটি লাথি মেরে ফেলে দেন। আমি ছেলের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, কোনো কিছু বোঝার আগেই আমাকে অহেতুক মারধর করে রক্তাক্ত করেন। এখন ছেলের সাথে আমি নিজেও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ডা. মিলন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

যোগাযোগ করা হলে পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। ঘটনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।