ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




৫০ টাকার তরমুজ ৬০০ টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর);
সুস্বাদু রসালো ফল তরমুজ। তরমুজ খেতে কার না ভালো লাগে। মৌসুমি ফলের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ফল তরমুজ। দুঃসহ গরমে স্বস্তি এনে দেয় তরমুজ। তৃষ্ণা মেটাতে এর জুড়ি নেই। শরীরে এনে দেয় আলাদা প্রশান্তি। তরমুজের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এসব কারণে এই অসহনীয় গরমে তরমুজের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তরমুজ পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে। তাই এ সময়ে তরমুজের চাহিদা প্রচুর। ব্যাপক এ চাহিদাকে পূঁজি করে বর্তমান সময়ে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। ছোট একটি তরমুজের দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩০০ টাকা। বড় সাইজের একটি তরমুজ এখন ৬০০ টাকা বিক্রি হয়। তাও আবার ওজনে বিক্রি হয় কিছু তরমুজ। কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও অন্য সময় এসব তরমুজের দাম থাকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রমজানের কারণে তরমুজের দাম বাড়তি বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

রমজানের শুরুতে বড় সাইজের একটি তরমুজ যেখানে ২০০ টাকায় বিক্রি হতো সেখানে এখন ওই সাইজের একটি তরমুজ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ছোট সাইজের তরমুজ ২৫০ থেকে ৩০০ এবং ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। যদিও এসব তরমুজ অন্যসময়ে ৫০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

তরমুজের এই আকাশছোঁয়া দামের জন্য চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দিচ্ছেন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, বড় সাইজের একটি তরমুজ কিনে আনতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। এ কারণে তারা বড় সাইজের তরমুজ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এর নিচে বিক্রি করলে তাদের লাভ হচ্ছে না। তাই তাদেরকে তরমুজের দাম একটু বাড়তি রাখতে হয়।

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, এই গরমে তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ নেই। তাছাড়া এখন রমজান মাস। সব মিলিয়ে তরমুজের আকাশছোঁয়া মূল্য। গত এক সপ্তাহে কোনো তরমুজের কোনো সরবরাহ ছিল না। পুরো এক সপ্তাহ পর আবার তরমুজ এনেছি। এবারের তরমুজগুলো সাইজে ছোট-বড় মিলিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, ছোট সাইজের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছি আমরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। গত সপ্তাহে বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি করেছি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়। তরমুজের সরবরাহ কম থাকায় আমরা বাড়তি দামে কিনে এনেছি। এ কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।

এদিকে, তরমুজের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তরমুজ ব্যবসায়ীরা এমন অনৈতিক সুযোগ নেয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তরমুজ কিনতে আসা সালেহা খাতুন বলেন, হঠাৎ করে অসহ্য গরম পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এখানে চাহিদামতো বৃষ্টি হচ্ছে না। এর মধ্যে চলছে তাপদাহ। এ কারণে গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এই সুযোগে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এখানকার মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। একটি বড় সাইজের তরমুজ কিনতে গিয়ে দাম শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। কিছু দিন আগেও যে তরমুজের দাম ছিল দেড়শ টাকা সেই তরমুজ এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। এটা খুবই অন্যায়। কোনোভাবেই এটা কাম্য নয়। এভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।

একই প্রসঙ্গে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ কিনেছিলাম ১২০ টাকায়। এখন ওই সাইজের তরমুজ ৫০০ টাকার নিচে মিলছে না। এভাবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম এত বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষ কিনবে কিভাবে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৫০ টাকার তরমুজ ৬০০ টাকা

আপডেট সময় : ০৭:১৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯

উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর);
সুস্বাদু রসালো ফল তরমুজ। তরমুজ খেতে কার না ভালো লাগে। মৌসুমি ফলের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ফল তরমুজ। দুঃসহ গরমে স্বস্তি এনে দেয় তরমুজ। তৃষ্ণা মেটাতে এর জুড়ি নেই। শরীরে এনে দেয় আলাদা প্রশান্তি। তরমুজের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এসব কারণে এই অসহনীয় গরমে তরমুজের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তরমুজ পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে। তাই এ সময়ে তরমুজের চাহিদা প্রচুর। ব্যাপক এ চাহিদাকে পূঁজি করে বর্তমান সময়ে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। ছোট একটি তরমুজের দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩০০ টাকা। বড় সাইজের একটি তরমুজ এখন ৬০০ টাকা বিক্রি হয়। তাও আবার ওজনে বিক্রি হয় কিছু তরমুজ। কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও অন্য সময় এসব তরমুজের দাম থাকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রমজানের কারণে তরমুজের দাম বাড়তি বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

রমজানের শুরুতে বড় সাইজের একটি তরমুজ যেখানে ২০০ টাকায় বিক্রি হতো সেখানে এখন ওই সাইজের একটি তরমুজ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ছোট সাইজের তরমুজ ২৫০ থেকে ৩০০ এবং ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। যদিও এসব তরমুজ অন্যসময়ে ৫০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

তরমুজের এই আকাশছোঁয়া দামের জন্য চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দিচ্ছেন মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, বড় সাইজের একটি তরমুজ কিনে আনতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। এ কারণে তারা বড় সাইজের তরমুজ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এর নিচে বিক্রি করলে তাদের লাভ হচ্ছে না। তাই তাদেরকে তরমুজের দাম একটু বাড়তি রাখতে হয়।

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, এই গরমে তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ নেই। তাছাড়া এখন রমজান মাস। সব মিলিয়ে তরমুজের আকাশছোঁয়া মূল্য। গত এক সপ্তাহে কোনো তরমুজের কোনো সরবরাহ ছিল না। পুরো এক সপ্তাহ পর আবার তরমুজ এনেছি। এবারের তরমুজগুলো সাইজে ছোট-বড় মিলিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, ছোট সাইজের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি করছি আমরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। গত সপ্তাহে বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি করেছি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়। তরমুজের সরবরাহ কম থাকায় আমরা বাড়তি দামে কিনে এনেছি। এ কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।

এদিকে, তরমুজের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তরমুজ ব্যবসায়ীরা এমন অনৈতিক সুযোগ নেয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তরমুজ কিনতে আসা সালেহা খাতুন বলেন, হঠাৎ করে অসহ্য গরম পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এখানে চাহিদামতো বৃষ্টি হচ্ছে না। এর মধ্যে চলছে তাপদাহ। এ কারণে গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এই সুযোগে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এখানকার মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। একটি বড় সাইজের তরমুজ কিনতে গিয়ে দাম শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। কিছু দিন আগেও যে তরমুজের দাম ছিল দেড়শ টাকা সেই তরমুজ এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। এটা খুবই অন্যায়। কোনোভাবেই এটা কাম্য নয়। এভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়াতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।

একই প্রসঙ্গে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ কিনেছিলাম ১২০ টাকায়। এখন ওই সাইজের তরমুজ ৫০০ টাকার নিচে মিলছে না। এভাবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম এত বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষ কিনবে কিভাবে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।