ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট;
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রোগীর বিছানা, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপাত হতে হবে ১:৩।

অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৩ লাখ নার্সের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন ৪৬ হাজারের সামান্য কিছু বেশি।

যার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন প্রায় ২৮ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোয় নিবন্ধিত নার্সের পাশাপাশি অনেক অনিবন্ধিত নার্সও সেবা দিয়ে থাকেন।

ফলে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং দায়িত্বপ্রবণ হলে বর্তমানে নিযুক্ত নার্স দিয়ে আরও ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ও নার্সিং কাউন্সিলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নার্সিং পেশার উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ-স্বানাপের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে নার্সিং পেশা ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে নার্স এবং রোগী উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নার্সিং পেশায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, আনুপাতিক হারে নার্সের সংখ্যা কম হলেও নার্স নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু দেশে রোগী, হাসপাতাল ও চিকিৎসক বাড়ার কারণে নার্সের সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। তবে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ৬২টি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি নার্স নার্সিং কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

আপডেট সময় : ১০:২০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট;
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রোগীর বিছানা, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপাত হতে হবে ১:৩।

অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৩ লাখ নার্সের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন ৪৬ হাজারের সামান্য কিছু বেশি।

যার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন প্রায় ২৮ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোয় নিবন্ধিত নার্সের পাশাপাশি অনেক অনিবন্ধিত নার্সও সেবা দিয়ে থাকেন।

ফলে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং দায়িত্বপ্রবণ হলে বর্তমানে নিযুক্ত নার্স দিয়ে আরও ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ও নার্সিং কাউন্সিলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নার্সিং পেশার উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ-স্বানাপের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে নার্সিং পেশা ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে নার্স এবং রোগী উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নার্সিং পেশায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, আনুপাতিক হারে নার্সের সংখ্যা কম হলেও নার্স নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু দেশে রোগী, হাসপাতাল ও চিকিৎসক বাড়ার কারণে নার্সের সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। তবে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ৬২টি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি নার্স নার্সিং কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস।