ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আজ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি : বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

 সকালের সংবাদ ডেস্কঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। যিনি ছিলেন অদম্য এক সাহসী যুদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জাতীয় সাত বীরের মধ্যে একজন। তিনি বিজয়ের ঠিক ৬ দিন আগে আজ (১০ডিসেম্বর) ১৯৭১ এর এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমানের গোলার আঘাতে তিনি শহীদ হন।

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে রুহুল আমিন জুনিয়র মেকানিক্যাল হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একদিন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি বের হয়ে যান নৌঘাঁটি থেকে। পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে চলে যান ত্রিপুরা এবং যোগ দেন দুই নম্বর সেক্টরে।

মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন অভিযানে যোগ দেন। ১০ ডিসেম্বর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে পাকিস্তানি যুদ্ধ প্লেন থেকে মুক্তিবাহিনীর গানবোট ‘পদ্মা’য় বোমাবর্ষণ করে। এই সময় ‘পদ্মা’র প্রধান ইঞ্জিনরুমের আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন। গোলা সরাসরি ‘পদ্মা’র ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান ‘পলাশ’কে বাঁচানোর।

তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় আগুন ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংসাবশেষ পেছনে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌঁছান তীরে। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে রাজাকারের দল অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহত এ বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে রূপসার পাড়ে। পরে খুলনায় রূপসার বাগমারা গ্রামের মুক্তিকামী আবদুল গাফফার স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় পূর্ব রূপসার চরে রুহুল আমিনকে দাফন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আজ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় : ১১:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

 সকালের সংবাদ ডেস্কঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। যিনি ছিলেন অদম্য এক সাহসী যুদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জাতীয় সাত বীরের মধ্যে একজন। তিনি বিজয়ের ঠিক ৬ দিন আগে আজ (১০ডিসেম্বর) ১৯৭১ এর এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমানের গোলার আঘাতে তিনি শহীদ হন।

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে রুহুল আমিন জুনিয়র মেকানিক্যাল হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একদিন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি বের হয়ে যান নৌঘাঁটি থেকে। পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে চলে যান ত্রিপুরা এবং যোগ দেন দুই নম্বর সেক্টরে।

মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন অভিযানে যোগ দেন। ১০ ডিসেম্বর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে পাকিস্তানি যুদ্ধ প্লেন থেকে মুক্তিবাহিনীর গানবোট ‘পদ্মা’য় বোমাবর্ষণ করে। এই সময় ‘পদ্মা’র প্রধান ইঞ্জিনরুমের আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন। গোলা সরাসরি ‘পদ্মা’র ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান ‘পলাশ’কে বাঁচানোর।

তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় আগুন ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংসাবশেষ পেছনে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌঁছান তীরে। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে রাজাকারের দল অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহত এ বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে রূপসার পাড়ে। পরে খুলনায় রূপসার বাগমারা গ্রামের মুক্তিকামী আবদুল গাফফার স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় পূর্ব রূপসার চরে রুহুল আমিনকে দাফন করেন।