ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ৯১ বার পড়া হয়েছে

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বড়াইগ্রামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোর বড়াইগ্রামের আহমেদপুর এলাকায় টিনের ছাপড়ার তৈরি ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কবিরাজি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে অবৈধভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে কথিক চিকিৎসক কবিরাজ আব্দুস সাত্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এসময় তার কাছ থেকে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক ও অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি সমেত মুচলেকা নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই কবিরাজি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তার আগেই রোগীদের সরিয়ে স্বপরিবারে গা ঢাকা দেন কথিত ডাক্তার আব্দুস সাত্তার। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করতে তার স্বজনদের নির্দেশ দেন।
পরে স্বজনরা সাত্তারকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাসপাতাল সিলগালা ও অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন আব্দুস সাত্তার । কিন্তু সে বিষয়েও তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তিনি নিজ বাড়িতে টিনের তৈরি ঘরে খুলেছিলেন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। সেটারও অনুমোদনও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে টাঙানো সাইনবোর্ডে অনেক স্বনামধন্য ডাক্তারের নাম পদবী ব্যবহার করে হাড়ভাঙ্গা ও প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।