ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মামার ধর্ষণে ভাগনি অন্তঃসত্ত্বা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর;
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্মবোনের কিশোরী মেয়েকে (১৪) ধর্ষণ করেছে লেবু মিয়া (৪০) নামের এক ধর্মমামা। বর্তমানে ওই কিশোরী ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের ছোট রূপাই নীলেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক লেবু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মর্নেয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা পাইকাটারি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে লেবু মিয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড বা কাজ দেয়ার লোভ দেখিয়ে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়। ওই ইউনিয়নের ছোট রূপাই নীলেরপাড়ের খাস জমিতে একটি ভাঙা চালায় কোনোরকমে বসবাস করে আসছেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার।

বাবার দিনমজুরির আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। সংসারের অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে একটি সুবিধাভোগী কার্ড বা কাজের জন্য লেবুর কাছে যান কিশোরীর মা। সেই সঙ্গে লেবু মিয়াকে ধর্মভাই বানান। সেই হিসেবে ধর্মবোনের ছেলে-মেয়েরা লেবু মিয়াকে মামা হিসেবে মানতো ও ডাকতো। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লেবু মিয়া খোঁজখবর নেয়ার জন্য ধর্মবোনের বাড়িতে যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে ধর্মবোনের ১৪ বছরের কিশোরীর দিকে দৃষ্টি পড়ে লেবুর।

পেটের তাগিদে কিশোরীর বাবা-মা বাইরে থাকার সুযোগে ওই বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ভাগনিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে লেবু মিয়া। একপর্যায়ে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে লেবু যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাবা-মায়ের কাছে লেবুর ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দেয়।

এরই জের ধরে ২৮ এপ্রিল লেবুকে বাড়িতে ডেকে এনে স্থানীয়দের সামনে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে চায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা-বাবা। এ সময় কিশোরীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য যাবতীয় ব্যয় প্রদানের কথা বলে সেখান থেকে চলে যায় লেবু মিয়া।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বলেন, আমার দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে লেবু ধর্মভাই সেজে আমার মেয়ের সর্বনাশ করছে। মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি, আমার মেয়ে ১৭ সপ্তাহের গর্ভবতী। তাই প্রভাবশালীদের কাছে মাথা নত না করে এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতায় লেবুর শাস্তির আশায় বুধবার আদালতে মামলা করেছি।

ওই এলাকার বাসিন্দা হারুন, আশরাফুল, রশিদ, সাজু ও মাহমুদসহ অনেকে জানান, লেবু মিয়া ইতোপূর্বে এমন আরও অনেক ঘটনা করেও অর্থের বিনিময়ে রক্ষা পেয়েছে। এটিও সে প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় দেরিতে হলেও লেবুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেবু মিয়া জানায়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

এ বিষয়ে মর্নেয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আলী আজাদ বলেন, বিষয়টি ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি। এ নিয়ে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে মামলা করেছেন তারা। মেয়েটি গর্ভবতী এটা সত্য। তবে লেবু এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা তদন্তে প্রমাণিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মামার ধর্ষণে ভাগনি অন্তঃসত্ত্বা

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর;
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্মবোনের কিশোরী মেয়েকে (১৪) ধর্ষণ করেছে লেবু মিয়া (৪০) নামের এক ধর্মমামা। বর্তমানে ওই কিশোরী ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের ছোট রূপাই নীলেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক লেবু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মর্নেয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা পাইকাটারি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে লেবু মিয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড বা কাজ দেয়ার লোভ দেখিয়ে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়। ওই ইউনিয়নের ছোট রূপাই নীলেরপাড়ের খাস জমিতে একটি ভাঙা চালায় কোনোরকমে বসবাস করে আসছেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পরিবার।

বাবার দিনমজুরির আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার। সংসারের অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে একটি সুবিধাভোগী কার্ড বা কাজের জন্য লেবুর কাছে যান কিশোরীর মা। সেই সঙ্গে লেবু মিয়াকে ধর্মভাই বানান। সেই হিসেবে ধর্মবোনের ছেলে-মেয়েরা লেবু মিয়াকে মামা হিসেবে মানতো ও ডাকতো। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লেবু মিয়া খোঁজখবর নেয়ার জন্য ধর্মবোনের বাড়িতে যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে ধর্মবোনের ১৪ বছরের কিশোরীর দিকে দৃষ্টি পড়ে লেবুর।

পেটের তাগিদে কিশোরীর বাবা-মা বাইরে থাকার সুযোগে ওই বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ভাগনিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে লেবু মিয়া। একপর্যায়ে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে লেবু যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাবা-মায়ের কাছে লেবুর ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দেয়।

এরই জের ধরে ২৮ এপ্রিল লেবুকে বাড়িতে ডেকে এনে স্থানীয়দের সামনে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে চায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা-বাবা। এ সময় কিশোরীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য যাবতীয় ব্যয় প্রদানের কথা বলে সেখান থেকে চলে যায় লেবু মিয়া।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বলেন, আমার দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে লেবু ধর্মভাই সেজে আমার মেয়ের সর্বনাশ করছে। মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি, আমার মেয়ে ১৭ সপ্তাহের গর্ভবতী। তাই প্রভাবশালীদের কাছে মাথা নত না করে এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতায় লেবুর শাস্তির আশায় বুধবার আদালতে মামলা করেছি।

ওই এলাকার বাসিন্দা হারুন, আশরাফুল, রশিদ, সাজু ও মাহমুদসহ অনেকে জানান, লেবু মিয়া ইতোপূর্বে এমন আরও অনেক ঘটনা করেও অর্থের বিনিময়ে রক্ষা পেয়েছে। এটিও সে প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় দেরিতে হলেও লেবুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেবু মিয়া জানায়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

এ বিষয়ে মর্নেয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আলী আজাদ বলেন, বিষয়টি ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি। এ নিয়ে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে মামলা করেছেন তারা। মেয়েটি গর্ভবতী এটা সত্য। তবে লেবু এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা তদন্তে প্রমাণিত হবে।