ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




রোহিঙ্গাদের জন্য ১ হাজার ৩৮২ কোটি অনুদান বিশ্ব ব্যাংকের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১ হাজার ৩৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই অনুদান গ্রহণ করে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে এতে সই করেন ব্যাংকটির বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ কিছু আর্থিক সাহায্য পেলেও এর স্থায়ী সমাধানে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ রকম প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব।

তবে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপের কথা জানাননি বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার উদারতার সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এই সঙ্কটের কারণে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের চাহিদাও প্রচুর তৈরি হয়েছে। প্রকল্পটি এই অভিবাসন সঙ্কটকে তুলে ধরছে। বাংলাদেশ সরকারকে সার্বিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে পরিকল্পনা, সমন্বয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে আরও সাহায্য প্রদান করা হবে।’

রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভালোবাসা ও মানবিকতার কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য আবারও সীমানা উন্মুক্ত করে দেন। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধির ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য ও স্থানীয় পরযায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে।’

‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের এই অর্থ সাহায্য দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বহুমুখী ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নিমার্ণ, ২০০ কিলোমিটার রাস্তা, ২ লাখ মানুষের পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা, দেড় হাজার সড়ক বাতির ব্যবস্থাসহ বেশকিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পের অর্থায়ন ২০২২ সালের ৫ মার্চ শেষ হবে। অনুদানের অর্থ হওয়ায় এই টাকা ফেরত দিতে হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রোহিঙ্গাদের জন্য ১ হাজার ৩৮২ কোটি অনুদান বিশ্ব ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০৫:৪০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১ হাজার ৩৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই অনুদান গ্রহণ করে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে এতে সই করেন ব্যাংকটির বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ কিছু আর্থিক সাহায্য পেলেও এর স্থায়ী সমাধানে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ রকম প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব।

তবে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপের কথা জানাননি বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার উদারতার সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এই সঙ্কটের কারণে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের চাহিদাও প্রচুর তৈরি হয়েছে। প্রকল্পটি এই অভিবাসন সঙ্কটকে তুলে ধরছে। বাংলাদেশ সরকারকে সার্বিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে পরিকল্পনা, সমন্বয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে আরও সাহায্য প্রদান করা হবে।’

রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভালোবাসা ও মানবিকতার কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য আবারও সীমানা উন্মুক্ত করে দেন। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধির ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য ও স্থানীয় পরযায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে।’

‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের এই অর্থ সাহায্য দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বহুমুখী ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নিমার্ণ, ২০০ কিলোমিটার রাস্তা, ২ লাখ মানুষের পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা, দেড় হাজার সড়ক বাতির ব্যবস্থাসহ বেশকিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পের অর্থায়ন ২০২২ সালের ৫ মার্চ শেষ হবে। অনুদানের অর্থ হওয়ায় এই টাকা ফেরত দিতে হবে না।