ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, ভণ্ড পীর গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

সাভার প্রতিনিধি;
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর মনির হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভণ্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আ. রহিমের ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভণ্ড পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পলাতক।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে মুরীদ হন। ফলে ভণ্ড পীরের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে কৌশলে ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভণ্ড পীর মনির।

তারপর ওই ভণ্ড পীরের নজর পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভণ্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভণ্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে ভণ্ড পীর।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে ভণ্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভণ্ডপীর মনিরকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ বাড়ির পাঁচ তলায় সে নিজের আস্তানা তৈরি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা এবং বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত নারীকে ফুসলিয়ে পীরের আস্তানায় নিয়ে আসার কাজ করতো সহযোগী মকবুল হোসেন।

ভুক্তভোগী ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, ভণ্ড পীর গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

সাভার প্রতিনিধি;
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর মনির হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভণ্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আ. রহিমের ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভণ্ড পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পলাতক।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ভণ্ড পীর মনির হোসেনের কাছে মুরীদ হন। ফলে ভণ্ড পীরের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে কৌশলে ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভণ্ড পীর মনির।

তারপর ওই ভণ্ড পীরের নজর পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভণ্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভণ্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে ভণ্ড পীর।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে ভণ্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভণ্ডপীর মনিরকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ বাড়ির পাঁচ তলায় সে নিজের আস্তানা তৈরি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা এবং বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত নারীকে ফুসলিয়ে পীরের আস্তানায় নিয়ে আসার কাজ করতো সহযোগী মকবুল হোসেন।

ভুক্তভোগী ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।