ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




শিক্ষার্থীদের ৫ টাকায় দুপুরের খাবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী;
মাত্র ৫ টাকায় শিক্ষার্থীদের দুপুরে ডালভাত খাওয়ানোর ‘প্যাকেজ’ চালু করেছেন রাজশাহীর আড়ানীর একজন হোটেল ব্যবসায়ী। পাঁচ বছর ধরে পাঁচ টাকায় শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি।

পাঁচ টাকার প্যাকেজের কথা জিজ্ঞেস করতেই হোটেল মালিক বিপ্লব সরকার বলেন, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসে না। অনেকের বেশি টাকা দিয়ে হোটেলে দুপুরের খাবার কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তারা স্কুলে এসে টিফিনের সময় আশপাশের দোকান থেকে মুখরোচক কিছু একটা কিনে খায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অথচ দুপুরে এক প্লেট ভাত খেতে পারলে তাদের শরীর ভালো থাকে। এই চিন্তা থেকেই পাঁচ বছর আগেই এই প্যাকেজ চালু করেছি আমি।

বিপ্লব সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি শর্তে খেতে দেই আমি। হোটেলের এই প্যাকেজ খেতে হলে অবশ্যই স্কুল ড্রেস পরে আসতে হবে। আর খাবার আগে বা পরে বাইরের দোকানে অন্য কোনো মুখরোচক খাবার খাওয়া যাবে না। আমি দেখেছি বেশির ভাগ বাচ্চা এক প্লেটের বেশি ভাত খেতে পারে না। ভাতের সঙ্গে সবজি আর ডাল দিয়ে এই প্যাকেজটি চালু করেছি। খাবার সময় কোনো বাচ্চা যেন সবজি নষ্ট না করে সেটিও আমি দেখি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শরীরের জন্য সবজির বড় প্রয়োজন। তাই তাদের সবজি খেতে বাধ্য করি। টমেটোর মৌসুমে টমেটোর সালাদ খেতে বাধ্য করি। এই প্যাকেজটির মূল্য পাঁচ টাকা। তবে পাশাপাশি খেতে বসে কোনো বাচ্চা যদি বেশি টাকা দিয়ে মুরগির মাংস খেতে চায়। তাহলে পাশের বাচ্চাটাকেও ছোট এক টুকরা মুরগির মাংস ও একটু ঝোল দেই। যাতে তার মন খারাপ না হয়। এসব আমি লক্ষ্য করি।

বিপ্লব সরকার বলেন, মনের আনন্দে এই কাজটি করছি আমি। সেবার মানসিকতা থেকে করছি। কারণ আমার এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। লেখাপড়া না করে কী ভুল করেছি এখন তা বুঝতে পারি। এজন্য যেসব শিশু লেখাপড়া শিখছে, তারা যেন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে, সেজন্য সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারছি সহযোগিতা করছি তাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিক্ষার্থীদের ৫ টাকায় দুপুরের খাবার

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী;
মাত্র ৫ টাকায় শিক্ষার্থীদের দুপুরে ডালভাত খাওয়ানোর ‘প্যাকেজ’ চালু করেছেন রাজশাহীর আড়ানীর একজন হোটেল ব্যবসায়ী। পাঁচ বছর ধরে পাঁচ টাকায় শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি।

পাঁচ টাকার প্যাকেজের কথা জিজ্ঞেস করতেই হোটেল মালিক বিপ্লব সরকার বলেন, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসে না। অনেকের বেশি টাকা দিয়ে হোটেলে দুপুরের খাবার কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তারা স্কুলে এসে টিফিনের সময় আশপাশের দোকান থেকে মুখরোচক কিছু একটা কিনে খায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অথচ দুপুরে এক প্লেট ভাত খেতে পারলে তাদের শরীর ভালো থাকে। এই চিন্তা থেকেই পাঁচ বছর আগেই এই প্যাকেজ চালু করেছি আমি।

বিপ্লব সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি শর্তে খেতে দেই আমি। হোটেলের এই প্যাকেজ খেতে হলে অবশ্যই স্কুল ড্রেস পরে আসতে হবে। আর খাবার আগে বা পরে বাইরের দোকানে অন্য কোনো মুখরোচক খাবার খাওয়া যাবে না। আমি দেখেছি বেশির ভাগ বাচ্চা এক প্লেটের বেশি ভাত খেতে পারে না। ভাতের সঙ্গে সবজি আর ডাল দিয়ে এই প্যাকেজটি চালু করেছি। খাবার সময় কোনো বাচ্চা যেন সবজি নষ্ট না করে সেটিও আমি দেখি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শরীরের জন্য সবজির বড় প্রয়োজন। তাই তাদের সবজি খেতে বাধ্য করি। টমেটোর মৌসুমে টমেটোর সালাদ খেতে বাধ্য করি। এই প্যাকেজটির মূল্য পাঁচ টাকা। তবে পাশাপাশি খেতে বসে কোনো বাচ্চা যদি বেশি টাকা দিয়ে মুরগির মাংস খেতে চায়। তাহলে পাশের বাচ্চাটাকেও ছোট এক টুকরা মুরগির মাংস ও একটু ঝোল দেই। যাতে তার মন খারাপ না হয়। এসব আমি লক্ষ্য করি।

বিপ্লব সরকার বলেন, মনের আনন্দে এই কাজটি করছি আমি। সেবার মানসিকতা থেকে করছি। কারণ আমার এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। লেখাপড়া না করে কী ভুল করেছি এখন তা বুঝতে পারি। এজন্য যেসব শিশু লেখাপড়া শিখছে, তারা যেন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে, সেজন্য সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারছি সহযোগিতা করছি তাদের।