ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




রাত ঘনিয়ে আসায় খুলনাবাসীর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উৎকণ্ঠায়!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট |

বাড়ছে রাতের আঁধার। চারিদিকে গুমোট ভাব। নদীতে বাড়ছে পানির চাপ। পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বইছে ঝড়ো হাওয়া।

প্রকৃতির এমন আচরণে সিডর-আইলা দুর্গত খুলনাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনার উপকূলীয় উপেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে।

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু তার নির্বাচনী এলাকা কয়রা ও পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলেছেন। অনুরূপভাবে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, চোখের সামনে আইলা-সিডরের ভয়াবহতা দেখেছি। এখন ঝড়ের নাম শুনলেই ভয় করে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আসছে। আর এই রাতেই নাকি ফণী হানা দেবে। তাই সবার উৎকণ্ঠা ও ভয় বাড়ছে।

তার মতো দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কখন কি হয় এ নিয়ে।

মহানগরীর সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থীর মুহাইমিন আল মাহিন বাংলানিউজকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রাম। সেখানে মা-বাবাসহ স্বজনরা রয়েছে। রাত আসছে এখন তাদের নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছি। রাতের জোয়ারে কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার (০৩ মে) রাতে খুলনায় আঘাত হানতে পারে। এমন পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।

রাত ঘনিয়ে আসায় উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার লোকজনকে নিকটস্থ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনছেন স্থানীয় প্রশাসন। যদিও মানুষ বসতভিটা ও গবাদি পশু রেখে আসতে চাইছেন না। ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝিয়ে তাদের আনছেন স্থানীয় প্রশাসন।

সকালে বাতাস শুরুর পর থেকে স্বেচ্ছায় কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য পুরুষরা ঘরে থেকে গেলেও বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা আশ্রয় কেন্দ্র চলে এসেছেন। কোনো কোনো এলাকার মানুষ ঘর বাড়ি ছাড়তে না চাইলে তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

খুলনা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। যারা আসতে চাইছেন না পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে আনছেন।

তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার বেশকিছু দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনায় দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় খুলনা অতিক্রম করা না পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ফণীর অগ্রভাগ এখন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা উপকূলে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাত ঘনিয়ে আসায় খুলনাবাসীর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উৎকণ্ঠায়!

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট |

বাড়ছে রাতের আঁধার। চারিদিকে গুমোট ভাব। নদীতে বাড়ছে পানির চাপ। পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বইছে ঝড়ো হাওয়া।

প্রকৃতির এমন আচরণে সিডর-আইলা দুর্গত খুলনাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনার উপকূলীয় উপেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে।

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু তার নির্বাচনী এলাকা কয়রা ও পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলেছেন। অনুরূপভাবে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, চোখের সামনে আইলা-সিডরের ভয়াবহতা দেখেছি। এখন ঝড়ের নাম শুনলেই ভয় করে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আসছে। আর এই রাতেই নাকি ফণী হানা দেবে। তাই সবার উৎকণ্ঠা ও ভয় বাড়ছে।

তার মতো দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কখন কি হয় এ নিয়ে।

মহানগরীর সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থীর মুহাইমিন আল মাহিন বাংলানিউজকে বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রাম। সেখানে মা-বাবাসহ স্বজনরা রয়েছে। রাত আসছে এখন তাদের নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছি। রাতের জোয়ারে কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার (০৩ মে) রাতে খুলনায় আঘাত হানতে পারে। এমন পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।

রাত ঘনিয়ে আসায় উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার লোকজনকে নিকটস্থ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনছেন স্থানীয় প্রশাসন। যদিও মানুষ বসতভিটা ও গবাদি পশু রেখে আসতে চাইছেন না। ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝিয়ে তাদের আনছেন স্থানীয় প্রশাসন।

সকালে বাতাস শুরুর পর থেকে স্বেচ্ছায় কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য পুরুষরা ঘরে থেকে গেলেও বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা আশ্রয় কেন্দ্র চলে এসেছেন। কোনো কোনো এলাকার মানুষ ঘর বাড়ি ছাড়তে না চাইলে তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

খুলনা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। যারা আসতে চাইছেন না পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে আনছেন।

তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার বেশকিছু দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনায় দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় খুলনা অতিক্রম করা না পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ফণীর অগ্রভাগ এখন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা উপকূলে রয়েছে।