ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




‘নগদ’ এর জন্য সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জরুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;
ইতোমধ্যে চালু হওয়া ডাক অধিদপ্তরের নতুন সেবা ‘নগদ’ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একই অধিদপ্তরের অধীনে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খোলার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। দেশে বিদ্যমান পেমেন্ট সিস্টেমে জটিলতা এড়াতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রীর জন্য তৈরি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে ডাক অধিদপ্তরের আওতায় চালু করা ‘নগদ’- এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদপ্তরের আওতায় একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, নগদ-এর কার্যক্রম চালানোর জন্য ডাক অধিদপ্তরের আওতায় ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করে উক্ত কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতাভুক্ত হতে হবে।

গত ২৬ মার্চ গণভবনে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইনগতভাবে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক অধিদপ্তর অধিকারপ্রাপ্ত। অপরদিকে আইনগতভাবে পেমেন্ট সিস্টেম সংক্রান্ত কার্যাবলী তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দি পোস্ট অফিস (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০১০ এ ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক এরূপ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদন গ্রহণ ও তদারকির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনে প্রদত্ত আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ডাক অধিদপ্তরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক অধিদফতর ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট থেকে বলা হয়েছে, নগদ-এ প্রস্তাবিত মডেল লেনদেনের সংখ্যা ও সীমা, বিদ্যমান মার্কেটের চেয়ে কয়েকগুণ (সাধারনভাবে মার্কেটে প্রচলিত দৈনিক লেনদেনের সীমা ১৫ হাজার টাকার বিপরীতে দৈনিক দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেশি রাখা হয়েছে। এরূপ অতিরিক্ত দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সংখ্যা ও সীমার সুযোগ রাখা হলে বিদ্যমান মার্কেটে একটি অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এর আলোচ্য সার্ভিসটি অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি, অপহরণ, ঘুষ ইত্যাদির লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

‘নগদ’ চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ ঠৈকে আলোচিত হয়েছে যে, দি পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট,২০১০ এর মাধ্যমে ডাক অধিদপ্তরকে আর্থিক সেবা প্রদানের অধিকার দেওয়া হলেও এমন আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ এবং তদারকির বিষয়ে উল্লিখিত আইনে সুস্পষ্ট কোন ধারা না থাকার কারণে দেশে বিদ্যমান সব পেমেন্ট সিস্টেম- এর তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হবে। এ জটিলতা নিরসনের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে দেশের পেমেন্ট সিস্টেমকে একটি সুসংহত কাঠামোর মধ্যে আনার লক্ষ্যে পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট- ২০১০ ও প্রস্তাবিত দি পোস্ট অফিস অ্যাক্ট- ২০১৮ এ কিছু বিষয় পরিবর্তন/পরিমার্জন/সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি প্রস্তাব করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশগুলো পর্যালাচনা করে। অর্থমন্ত্রীর জন্য তৈরি সার-সংক্ষেপে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক অধিদপ্তর অধিকার প্রাপ্ত। অপরদিকে আইনগতভাবে পেমেন্ট সিস্টেম সংক্রান্ত কার্যাবলী তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। ‘দি পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট- ২০১০’ এ ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক এ ধরনের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ এবং তদারকির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনে প্রদত্ত আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ডাক অধিদপ্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারন করে একট সাবসিডিয়ারি কোম্পনি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বলা হয়েছে, ‘নগদ’ সেবাটি বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতায় না থাকলে দেশে বিদ্যমান সমগ্র পেমেন্ট সিস্টেমের তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে এবং উক্ত সেবায় লেনদেনের সংখ্যা এবং সীমা বিদ্যমান বাজারে প্রচলিত পরিমাণের কয়েকগুন বেশি হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আংশকা রয়েছে।

তৃণমূলের ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে আর্থিক লেনদেনের বৈধ সুবিধা দিতে ডাক বিভাগ এই সার্ভিস চালু করেছে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে যে কেউ কম খরচে দ্রুত ও নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর একটি হোটেলে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার হিসাব খোলার গ্রাহক তথ্যের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

এ সময় তিনি বলেছিলেন, দেশের মানুষের সুবিধার্থে সরকার বিভিন্ন সেবা আনছে। এর ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্পের ভিত্তিতেই এসেছে ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘নগদ’ এর জন্য সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জরুরী

আপডেট সময় : ০৭:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক;
ইতোমধ্যে চালু হওয়া ডাক অধিদপ্তরের নতুন সেবা ‘নগদ’ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একই অধিদপ্তরের অধীনে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খোলার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। দেশে বিদ্যমান পেমেন্ট সিস্টেমে জটিলতা এড়াতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রীর জন্য তৈরি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে ডাক অধিদপ্তরের আওতায় চালু করা ‘নগদ’- এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদপ্তরের আওতায় একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, নগদ-এর কার্যক্রম চালানোর জন্য ডাক অধিদপ্তরের আওতায় ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করে উক্ত কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতাভুক্ত হতে হবে।

গত ২৬ মার্চ গণভবনে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইনগতভাবে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক অধিদপ্তর অধিকারপ্রাপ্ত। অপরদিকে আইনগতভাবে পেমেন্ট সিস্টেম সংক্রান্ত কার্যাবলী তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দি পোস্ট অফিস (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০১০ এ ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক এরূপ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদন গ্রহণ ও তদারকির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনে প্রদত্ত আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ডাক অধিদপ্তরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক অধিদফতর ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট থেকে বলা হয়েছে, নগদ-এ প্রস্তাবিত মডেল লেনদেনের সংখ্যা ও সীমা, বিদ্যমান মার্কেটের চেয়ে কয়েকগুণ (সাধারনভাবে মার্কেটে প্রচলিত দৈনিক লেনদেনের সীমা ১৫ হাজার টাকার বিপরীতে দৈনিক দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেশি রাখা হয়েছে। এরূপ অতিরিক্ত দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সংখ্যা ও সীমার সুযোগ রাখা হলে বিদ্যমান মার্কেটে একটি অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এর আলোচ্য সার্ভিসটি অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি, অপহরণ, ঘুষ ইত্যাদির লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

‘নগদ’ চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ ঠৈকে আলোচিত হয়েছে যে, দি পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট,২০১০ এর মাধ্যমে ডাক অধিদপ্তরকে আর্থিক সেবা প্রদানের অধিকার দেওয়া হলেও এমন আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ এবং তদারকির বিষয়ে উল্লিখিত আইনে সুস্পষ্ট কোন ধারা না থাকার কারণে দেশে বিদ্যমান সব পেমেন্ট সিস্টেম- এর তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হবে। এ জটিলতা নিরসনের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে দেশের পেমেন্ট সিস্টেমকে একটি সুসংহত কাঠামোর মধ্যে আনার লক্ষ্যে পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট- ২০১০ ও প্রস্তাবিত দি পোস্ট অফিস অ্যাক্ট- ২০১৮ এ কিছু বিষয় পরিবর্তন/পরিমার্জন/সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি প্রস্তাব করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশগুলো পর্যালাচনা করে। অর্থমন্ত্রীর জন্য তৈরি সার-সংক্ষেপে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক অধিদপ্তর অধিকার প্রাপ্ত। অপরদিকে আইনগতভাবে পেমেন্ট সিস্টেম সংক্রান্ত কার্যাবলী তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। ‘দি পোস্ট অফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট- ২০১০’ এ ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক এ ধরনের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ এবং তদারকির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারা উল্লেখ না থাকলেও আইনে প্রদত্ত আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ডাক অধিদপ্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারন করে একট সাবসিডিয়ারি কোম্পনি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বলা হয়েছে, ‘নগদ’ সেবাটি বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতায় না থাকলে দেশে বিদ্যমান সমগ্র পেমেন্ট সিস্টেমের তদারকির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে এবং উক্ত সেবায় লেনদেনের সংখ্যা এবং সীমা বিদ্যমান বাজারে প্রচলিত পরিমাণের কয়েকগুন বেশি হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আংশকা রয়েছে।

তৃণমূলের ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে আর্থিক লেনদেনের বৈধ সুবিধা দিতে ডাক বিভাগ এই সার্ভিস চালু করেছে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে যে কেউ কম খরচে দ্রুত ও নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর একটি হোটেলে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার হিসাব খোলার গ্রাহক তথ্যের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

এ সময় তিনি বলেছিলেন, দেশের মানুষের সুবিধার্থে সরকার বিভিন্ন সেবা আনছে। এর ধারাবাহিকতা ও প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্পের ভিত্তিতেই এসেছে ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ।’