ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বিচারপ্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;
মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দিতে বিচারপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি কোনো বিচারপ্রার্থী আদালতে গিয়ে যেন হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রোববার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যেমন বিচারকদের, তেমনি আইন পেশার সঙ্গে জড়িতদেরও। তাই মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেয়ার উপায় বের করার দায়িত্ব দুপক্ষেরই।

তিনি বলেন, দেশে এখন জমিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যাই বেশি। এগুলো আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেলে মামলাজট কমবে।

গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি আদালতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না, তেমনি আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটি পালন করে আসছে সরকার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিচারপ্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক;
মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দিতে বিচারপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি কোনো বিচারপ্রার্থী আদালতে গিয়ে যেন হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রোববার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যেমন বিচারকদের, তেমনি আইন পেশার সঙ্গে জড়িতদেরও। তাই মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেয়ার উপায় বের করার দায়িত্ব দুপক্ষেরই।

তিনি বলেন, দেশে এখন জমিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যাই বেশি। এগুলো আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেলে মামলাজট কমবে।

গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি আদালতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না, তেমনি আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটি পালন করে আসছে সরকার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।