ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ; চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৯ মে দিন নির্ধারণ করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজ একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা বলেছিলাম যে, পূর্বের আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনারসহ আরও পাঁচজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এ জন্য আমরা বন্দরের চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন জানিয়ে শুনানি করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তীরে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস খতিয়ান অনুসারে, ইতিপূর্বে দেওয়া ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের আদেশ অনুসারে উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’

প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখলসংক্রান্ত ২০১০ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।

সেই রায়ের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তবে তা কয়েকদিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুণরায় আবেদন করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

সকালের সংবাদ; চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৯ মে দিন নির্ধারণ করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজ একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা বলেছিলাম যে, পূর্বের আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনারসহ আরও পাঁচজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এ জন্য আমরা বন্দরের চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন জানিয়ে শুনানি করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তীরে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস খতিয়ান অনুসারে, ইতিপূর্বে দেওয়া ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের আদেশ অনুসারে উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’

প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখলসংক্রান্ত ২০১০ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।

সেই রায়ের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তবে তা কয়েকদিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুণরায় আবেদন করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।