ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ইয়াবা পাচারের নিরাপদ মাধ্যম এখন হেলিকপ্টার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বেসরকারি হেলিকপ্টারকে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারে করে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দিয়েছে। যেহেতু হেলিকপ্টারের যাত্রীদের তেমন কোনো নিরাপত্তাবলয়ের মাধ্যমে যেতে হয় না এবং পণ্য পরিবহনের সময় স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই, তাই এত দিন ব্যাপারটি কারও নজরে আসেনি।

এ তথ্য জানার পর আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে বেসরকারি আটটি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারের মালিক ও তাদের প্রতিনিধি, বিমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়। মাদক পরিবহন প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গনমাধমকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মাদক পরিবহন হচ্ছে। স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ী এ সুযোগ পাচ্ছে। এ জন্য হেলিকপ্টার মালিকদের ডেকেছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকেও মাদক পরিবহন প্রতিরোধে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সতর্কতা জারি করতে বলা হয়।

বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এত দিন তাঁরা খবর পেয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানে যাত্রীদের দিয়ে মাদক আনা-নেওয়া করা হয়। কিন্তু এখন খবর আসছে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করছে। এ অভিযোগ যারা ভাড়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে তাদের ক্ষেত্রে। বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, হেলিকপ্টার ওড়ার ছয় ঘন্টা আগে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগই নেন না

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবা পাচারের নিরাপদ মাধ্যম এখন হেলিকপ্টার!

আপডেট সময় : ১০:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯

বেসরকারি হেলিকপ্টারকে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারে করে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দিয়েছে। যেহেতু হেলিকপ্টারের যাত্রীদের তেমন কোনো নিরাপত্তাবলয়ের মাধ্যমে যেতে হয় না এবং পণ্য পরিবহনের সময় স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই, তাই এত দিন ব্যাপারটি কারও নজরে আসেনি।

এ তথ্য জানার পর আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে বেসরকারি আটটি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারের মালিক ও তাদের প্রতিনিধি, বিমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়। মাদক পরিবহন প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গনমাধমকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মাদক পরিবহন হচ্ছে। স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ী এ সুযোগ পাচ্ছে। এ জন্য হেলিকপ্টার মালিকদের ডেকেছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকেও মাদক পরিবহন প্রতিরোধে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সতর্কতা জারি করতে বলা হয়।

বিমান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এত দিন তাঁরা খবর পেয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানে যাত্রীদের দিয়ে মাদক আনা-নেওয়া করা হয়। কিন্তু এখন খবর আসছে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করছে। এ অভিযোগ যারা ভাড়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে তাদের ক্ষেত্রে। বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, হেলিকপ্টার ওড়ার ছয় ঘন্টা আগে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগই নেন না