ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




মৃতকে কবর থেকে তুলে জাঁকজমক অনুষ্ঠান হয় যে গ্রামে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

মৃতের জন্য অন্তেষ্টিক্রিয়া বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মতো ধর্মীয় বা সামাজিক রীতি প্রায় সব দেশেই রয়েছে। তবে মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পর মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে এনে অন্তেষ্টিক্রিয়া চলছে, এমন হয় কি?

জানা গেছে, এমনই এক অদ্ভুত সামাজিক রীতি পালন করে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি পর্বতের বিচ্ছিন্ন একটি গ্রামবাসী। একবার নয়, এমনটি করা হয় প্রতি তিন বছর পর পর।

সে গ্রামের অধিবাসী তোরাজান উপজাতি গত কয়েক শতাব্দী ধরে এমন অদ্ভুত রীতি পালন করে আসছেন। শতাব্দী প্রাচীন এ রীতির নাম ‘মানিন’।

দেশটির এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দারা প্রতি তিন বছর পর পর তাদের মৃত স্বজনদের দেহ কবর থেকে তুলে আনেন।

মৃতদের পুরনো কাপড় বদলে নতুন কাপড় পরিয়ে দেন। এর পর সাজিয়ে-গুজিয়ে হইহুল্লোড় করে বাড়ি নিয়ে যান তারা। মৃতকে আবার সমাধিস্থ করার আগে কফিনকে মেরামত ও সুসজ্জিত করেন তারা।এ ছাড়া মৃতকে বাড়ি নিয়ে পালন করা হয় নানা ধরনের অনুষ্ঠান।

তোরাজান উপজাতির বিশ্বাস, এই মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়, এটি শুধু আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের একটি পর্যায়। এ ছাড়া মৃতদের আত্মা প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসে বলেও বিশ্বাস করেন তারা।

তাই প্রতি বছর মৃতরা কেমন আছেন তা দেখতে এবং মৃতের পরিজনরা কেমন আছেন, তা দেখাতে মৃতকে কবর থেকে তুলে আনা হয়। এভাবে তিন বছর ধরে চলে এমন রীতি।

অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে এমন অদ্ভুত রীতি শতাব্দী ধরে পালন করে আসছেন তোরাজানরা। অনেকে বেশ জাঁকজমকে এই রীতি পালনে করে থাকেন। ‘মানিন’ রীতি এখনও একইভাবে পালিত হচ্ছে তোরাজান উপজাতিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মৃতকে কবর থেকে তুলে জাঁকজমক অনুষ্ঠান হয় যে গ্রামে

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯

মৃতের জন্য অন্তেষ্টিক্রিয়া বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মতো ধর্মীয় বা সামাজিক রীতি প্রায় সব দেশেই রয়েছে। তবে মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পর মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে এনে অন্তেষ্টিক্রিয়া চলছে, এমন হয় কি?

জানা গেছে, এমনই এক অদ্ভুত সামাজিক রীতি পালন করে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি পর্বতের বিচ্ছিন্ন একটি গ্রামবাসী। একবার নয়, এমনটি করা হয় প্রতি তিন বছর পর পর।

সে গ্রামের অধিবাসী তোরাজান উপজাতি গত কয়েক শতাব্দী ধরে এমন অদ্ভুত রীতি পালন করে আসছেন। শতাব্দী প্রাচীন এ রীতির নাম ‘মানিন’।

দেশটির এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দারা প্রতি তিন বছর পর পর তাদের মৃত স্বজনদের দেহ কবর থেকে তুলে আনেন।

মৃতদের পুরনো কাপড় বদলে নতুন কাপড় পরিয়ে দেন। এর পর সাজিয়ে-গুজিয়ে হইহুল্লোড় করে বাড়ি নিয়ে যান তারা। মৃতকে আবার সমাধিস্থ করার আগে কফিনকে মেরামত ও সুসজ্জিত করেন তারা।এ ছাড়া মৃতকে বাড়ি নিয়ে পালন করা হয় নানা ধরনের অনুষ্ঠান।

তোরাজান উপজাতির বিশ্বাস, এই মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়, এটি শুধু আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের একটি পর্যায়। এ ছাড়া মৃতদের আত্মা প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসে বলেও বিশ্বাস করেন তারা।

তাই প্রতি বছর মৃতরা কেমন আছেন তা দেখতে এবং মৃতের পরিজনরা কেমন আছেন, তা দেখাতে মৃতকে কবর থেকে তুলে আনা হয়। এভাবে তিন বছর ধরে চলে এমন রীতি।

অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে এমন অদ্ভুত রীতি শতাব্দী ধরে পালন করে আসছেন তোরাজানরা। অনেকে বেশ জাঁকজমকে এই রীতি পালনে করে থাকেন। ‘মানিন’ রীতি এখনও একইভাবে পালিত হচ্ছে তোরাজান উপজাতিতে।