কিশোর গ্যাং লিডার অর্ণবের চাঁদাবাজি অব্যাহত সাংবাদিক শুভ’র হামলাকারিরা প্রকাশ্যে
- আপডেট সময় : ১০:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক শুভ’র ওপর হামলাকারিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে অথচ পুলিশ বলছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। গত ২৭ জুন কেরানিগঞ্জ মডেল থানার নয়াবাজার ড্রিগী কলেজের কলেজের সামনের রাস্তায় হামলার শিকার হন আমাদের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল রানা শুভ। মৃতপ্রায় অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সহকর্মী ও স্থানীয় লোকজন। পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই এ ঘটনায় কেরানিগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী শুভ। পুলিশের নিরবতায় এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আটিবাজার দাড়িপাড়া গ্রামের চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার ও অত্র মামলার আসামি অর্ণব (২৪)। গত ৩ জুলাই বিকেলেও আটিবাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা চাঁদা নেয় অর্ণব। তবে শুভ’র মামলা দায়েরের পর গা ঢাকা দেয় মামলার প্রধান দুই আসামি শাহজাহান (৩৪) ও বেলাল হোসেন (৩৭)। ভূক্তভোগী শুভ’র ধারনা, তার উপর হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত এ্যাপাচি মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতে চেয়েছিলো। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতির কারনে তারা শুভর সাথে থাকা টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। যাবার আগে মোটরসাইলটির ভাংচুর করে। হামলাকারিদের মধ্যে শাহজাহান ও বেলালের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার খানসাম থানার গনিপাড়ায়। তারা শুভ’র গ্রামেরই পরিচিত। হয়তো গ্রামর কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে শুভ’কে তারা শত্রু মনে করেন। এ কারনে সন্ত্রাসী অর্ণব বাহিনিকে ভাড়া করে শাহজাহান ও বেলাল। নিজেরা থাকতে চেয়েছিলেন ঘটনার আড়ালে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলার সময় শাহজাহান-বেলালও ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। প্রাথমিক হামলার পর শুভ আতœরক্ষার্থে দৌড়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখান থেকে টেনে হিচড়ে তাকে নিয়ে যায় নয়াবাজার ডিগ্রি কলেেেজর সামনের রাস্তায়। চলে অমানবিক নির্যাতন। অচতেন অবস্থায় সহকর্মী শাহিন ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের সহায়তায় তাকে উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । গত ২ জুলাই শুভ’ এ ঘটনায় মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানিগঞ্জ মডেল থানার এসআই খায়রুজ্জামান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। তারা বার বার স্থান পরিবর্তন করছে। তা-ই তাদেরকে ধরতে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গেপ্তার হবে বলে তিনি আশাবাদি।