ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




কেরানীগঞ্জে রাতে আঁধারে কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শেল্টারে নিরিহ কৃষকের জমি দখল করে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে শাক্তা ইউনিয়ন
হিজড়া ও বলসতা গ্রামে কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক রাতের আঁধারে দখল করে বালি ভরাটের চেষ্টা করে মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প।

স্থানীয়দের অভিযোগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক শফিউল আজম খান বারকু ও আলফাত হোসেন বিপ্লবের সেন্টারে মনির,যুবদলের নেতা আমান উল্লাহ আমানের আস্থাভাজন শাগুন ও শাক্তা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইদু এবং জাহিদ বলসতা ও হিজড়া গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন কৃষি জমি ড্রেজার মাধ্যমে বালু ভরাট করে দেখলে চেষ্টা করে। হিজড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেন,শাহাদাৎ হোসেন,বলসুতা গ্রামের কালু মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,গোলাম হোসেন, তুহিন খান,আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন মানুষের ফসলি জমি দখল করে ভরাট করতে গেলে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদের মুখে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সটকে পড়ে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় তারা জানান।

পরে জিয়ানগর থেকে মোটর সাইকেলে ১৫ থেকে ২০ জন দখলবাজদের পক্ষে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীকে হুমকি-ধামকি অশ্লীল গালিগালাজ এবং বস্তায় ভরে গুম করারসহ বিভিন্ন প্রকারে হুমকি প্রদান করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নিরীহ কৃষকরা রয়েছে আতঙ্কে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প নামে এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকা নিরিহ ব্যক্তিদের টার্গেট করে এবং বিদেশে অবস্থানরত যে সব ব্যক্তিরা এই গ্রামে জায়গা ক্রয় করেছে তাদের জমি দখল করে মাটি ভরাটসহ নানা অনিয়ম করে আসছে।

এবিষয়ে শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন লিটন বলেন,আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং তাদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মনির বলেন, যারা জায়গাটি কিনেছে তারা আমাদের ভরাটের জন্য অনুরোধ করলে আমরা যাই। ঘটনাস্থলে এসে আপনি সত্যতা যাচাই করুন। আমাদের সকল কাগজপত্রের অনুমোদন আছে।

মোঃ জাহিদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোনে কথা বলবেন না। আপনি সরাসরি আসুন কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক শফিউল আজম খান বারকু মুঠোফোনে বলেন,আমি বালু ভরাটের সাথে জড়িত নই।যারা এই কাজ করে তারা হয়তো বলতে পারবে।

আলফাত হোসেন বিপ্লব মুঠোফোনে বলেন, বালি ভরাট, নিরীহ মানুষকে বিপদে ফেলানো আমাদের নীতিতে নাই।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান, ঘটনাটি আমি জানি না। মাত্র শুনলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কেরানীগঞ্জে রাতে আঁধারে কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা 

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শেল্টারে নিরিহ কৃষকের জমি দখল করে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে শাক্তা ইউনিয়ন
হিজড়া ও বলসতা গ্রামে কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক রাতের আঁধারে দখল করে বালি ভরাটের চেষ্টা করে মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প।

স্থানীয়দের অভিযোগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক শফিউল আজম খান বারকু ও আলফাত হোসেন বিপ্লবের সেন্টারে মনির,যুবদলের নেতা আমান উল্লাহ আমানের আস্থাভাজন শাগুন ও শাক্তা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইদু এবং জাহিদ বলসতা ও হিজড়া গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন কৃষি জমি ড্রেজার মাধ্যমে বালু ভরাট করে দেখলে চেষ্টা করে। হিজড়া গ্রামের সানোয়ার হোসেন,শাহাদাৎ হোসেন,বলসুতা গ্রামের কালু মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,গোলাম হোসেন, তুহিন খান,আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন মানুষের ফসলি জমি দখল করে ভরাট করতে গেলে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদের মুখে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সটকে পড়ে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় তারা জানান।

পরে জিয়ানগর থেকে মোটর সাইকেলে ১৫ থেকে ২০ জন দখলবাজদের পক্ষে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীকে হুমকি-ধামকি অশ্লীল গালিগালাজ এবং বস্তায় ভরে গুম করারসহ বিভিন্ন প্রকারে হুমকি প্রদান করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নিরীহ কৃষকরা রয়েছে আতঙ্কে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,মদিনা মাটি ভরাট প্রকল্প নামে এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকা নিরিহ ব্যক্তিদের টার্গেট করে এবং বিদেশে অবস্থানরত যে সব ব্যক্তিরা এই গ্রামে জায়গা ক্রয় করেছে তাদের জমি দখল করে মাটি ভরাটসহ নানা অনিয়ম করে আসছে।

এবিষয়ে শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন লিটন বলেন,আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং তাদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মনির বলেন, যারা জায়গাটি কিনেছে তারা আমাদের ভরাটের জন্য অনুরোধ করলে আমরা যাই। ঘটনাস্থলে এসে আপনি সত্যতা যাচাই করুন। আমাদের সকল কাগজপত্রের অনুমোদন আছে।

মোঃ জাহিদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোনে কথা বলবেন না। আপনি সরাসরি আসুন কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক শফিউল আজম খান বারকু মুঠোফোনে বলেন,আমি বালু ভরাটের সাথে জড়িত নই।যারা এই কাজ করে তারা হয়তো বলতে পারবে।

আলফাত হোসেন বিপ্লব মুঠোফোনে বলেন, বালি ভরাট, নিরীহ মানুষকে বিপদে ফেলানো আমাদের নীতিতে নাই।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান, ঘটনাটি আমি জানি না। মাত্র শুনলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।