মাদারীপুরে পুলিশ সদস্য ও ড্রাইভার মিলে চুরির অভিযোগে শিশুকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন!
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১ ১১১ বার পড়া হয়েছে
মাদারীপুর প্রতিনিধি: পুলিশ সদস্য ও ড্রাইভার মিলে চুরির অভিযোগে শিশুকে রুমে বেঁধে নির্যাতন।
মাদারীপুর পৌর শহরের আঞ্চলিক মহাসড়কের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের পুরাতন ভবনের নিচতলায় আজাদ (১৩) নামে এক শিশুকে চুরির অভিযোগে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মচারি ও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আজাদ মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলি গ্রামের কামরুল সরদারের ছেলে। বুধবার দুপুরে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের ড্রাইভার রফিক ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স এর পুলিশ সদস্য মামুন মিলে সোমবার রাতে মস্তফাপুর গিয়ে শিশু আজাদ কে চুরির অভিযোগে মারধর করে মাদারীপুর রকেট বিড়ি এলাকায় আজাদের মায়ের কাছে নিয়ে আসে। আজাদের মা রকেট বিড়ি এলাকায় সুজন হাওলাদারের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। পড়ে মঙ্গলবার সকালে আবার আজাকে ধরে পোষ্ট অফিস মোড়ে সড়ক ও জনপথের পুরানো ভবনের একটা পরিত্যক্ত রুমে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। পিটিয়ে শিশুটির হাতের নখ উঠিয়ে ফেলে। এছাড়াও তার সারা শরিরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশ পাশের লোকজন জানালা দিয়ে দেখে শিশুর পরিবারকে খবর দিলে তার মা এসে তাকে উদ্ধার করে।
শিশু আজাদ অভিযোগ করে বলেন, আমি চুরি করিনি। গতকাল রাতে আমাকে মস্তফাপুর বসে অনেক পিটিয়েছে, আমার হাতের নখ উপড়ে ফেলেছে। আজ আবার আমাকে ধরে এনে ওই পুলিশ ও ড্রাইভার রফিক রুমের মধ্যে আটকে রেখে পিটিয়েছে। আমার হাত বেঁধে ও মুখের মধ্যে কাপর ঢুকিয়েছে আমি যাতে চিৎকার করতে না পাড়ি। এই রফিক আমার একটা অটোভ্যান আটকে রেখেছে। ভ্যানটি আমি আরেকজনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি।
আজাদের মা বলেন, আমি বিচার চাইনা তাহলে আমাদের উপর আবার হামলা হবে।
পুলিশ সদস্য মামুন বলেল, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না।
ড্রাইভার রফিক বলেন, আজাদ আমার বাসায় চুরি করছে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন নি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ আছি কাল কথা বলবো।
এঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।