ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




৪ বছরের শিশু অপহরণকারী গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ দীন ইসলামঃ এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি মনুষ্য অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ২২মার্চ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ২১ মার্চ ২০২১ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকা থেকে ০৪ বছরের শিশু মোঃ আসনান আদিপ অপহৃত হয়। উক্ত ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী শিশুটির পিতা-মাতার নিকট ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩/০৩/২০২১ তারিখ ০৯০০ ঘটিকা হতে ২৩৩০ ঘটিকা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাঘুটিয়া দূর্গম চর এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত শিশু মোঃ আসনান আদিপ’কে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ

রাকিব সরদার (২৪), জেলা- মানিকগঞ্জ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারী রাকিব সরদার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করার সুবাদে মোট ০৫ মাস ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ছিল এবং সে ০১ মাস পূর্বে সেখান থেকে চলে যায়। সে সময় থেকেই মূলত শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে। অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রাকিব সরদার বিকালে ভিকটিম শিশুটিকে ঝাল মুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থানাধীন দূর্গাপুর পূর্বচালা (তালিমুল মাদ্রাসার সাথে) এলাকায় শিশুটির নিজ বাসার গেট হতে রিকশাযোগে জিরাবো এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাসযোগে নবীনগর হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন উথুলি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে জাফরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রলার যোগে যমুনা নদী পার হয়ে দৌলতপুর থানার দূর্গম চর বাঘুটিয়া গ্রামে উক্ত আসামীর নিজ বসতবাড়ীতে আটক রাখে। অপহরণকারী ভিকটিমের বাবার সাথে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো। উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী বালুময় এক দূর্গম চর এলাকা, যেখানে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। যমুনা নদীতে প্রায় ১ ঘন্টা ট্রলারযোগে যাবার পর ১০ কিলোমিটারের অধিক বালুময় রাস্তায় কখনো পায়ে হেঁটে কখনো নৌকাযোগে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো।

উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৪ বছরের শিশু অপহরণকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:১৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

মোঃ দীন ইসলামঃ এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি মনুষ্য অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ২২মার্চ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ২১ মার্চ ২০২১ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকা থেকে ০৪ বছরের শিশু মোঃ আসনান আদিপ অপহৃত হয়। উক্ত ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী শিশুটির পিতা-মাতার নিকট ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩/০৩/২০২১ তারিখ ০৯০০ ঘটিকা হতে ২৩৩০ ঘটিকা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাঘুটিয়া দূর্গম চর এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত শিশু মোঃ আসনান আদিপ’কে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ

রাকিব সরদার (২৪), জেলা- মানিকগঞ্জ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারী রাকিব সরদার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করার সুবাদে মোট ০৫ মাস ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ছিল এবং সে ০১ মাস পূর্বে সেখান থেকে চলে যায়। সে সময় থেকেই মূলত শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে। অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রাকিব সরদার বিকালে ভিকটিম শিশুটিকে ঝাল মুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থানাধীন দূর্গাপুর পূর্বচালা (তালিমুল মাদ্রাসার সাথে) এলাকায় শিশুটির নিজ বাসার গেট হতে রিকশাযোগে জিরাবো এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাসযোগে নবীনগর হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন উথুলি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে জাফরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রলার যোগে যমুনা নদী পার হয়ে দৌলতপুর থানার দূর্গম চর বাঘুটিয়া গ্রামে উক্ত আসামীর নিজ বসতবাড়ীতে আটক রাখে। অপহরণকারী ভিকটিমের বাবার সাথে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো। উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী বালুময় এক দূর্গম চর এলাকা, যেখানে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। যমুনা নদীতে প্রায় ১ ঘন্টা ট্রলারযোগে যাবার পর ১০ কিলোমিটারের অধিক বালুময় রাস্তায় কখনো পায়ে হেঁটে কখনো নৌকাযোগে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো।

উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।