ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ফেনীর সাবরেজিস্টার শাহআলমের দূর্নীতি অনুসন্ধান করায় সাংবাদিককে হুমকি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেনী জেলার সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার শাহ আলমের আক্রোশের রোষানলে পড়েছেন সাংবাদিক।

সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। জমির দলিল আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের চাপের মুখে ঘুষ দাবি সাব-রেজিস্ট্রার, উম্মেদার, পিওন ও নকলনবিশদের নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে। ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওন দিয়েও করানো হচ্ছে। এই সুযোগে নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওন কোটি কোটি টাকার মলিক হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল-২০১৪ মানছেন না সাব-রেজিস্ট্রাররাও। তারা নিবন্ধন ম্যানুয়াল অনুযায়ী নিজেদের কাজ নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওনদের দিয়ে করাচ্ছেন। দলিল চেক করার কাজ সাব-রেজিস্ট্রারদের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না তারা। অনুসন্ধানে ও সরেজমিন এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল-২০১৪-এর অধ্যায়-২৬-এ উল্লেখ আছে যে, সহকারীগণ কর্তৃক দলিল পরীক্ষাকরণ কাক্সিক্ষত নয়, এই কাজটি অবশ্যই স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত হবে।

২০১৯ সালে রেজিষ্ট্রি হওয়া এমন বেশ কয়েকটি দলিল নম্বর প্রতিবেদকের হাতে আসে। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা এজি অফিসের তিনজন কর্মকর্তা ফেনী সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আসে অডিটের জন্য।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদক, অডিট কর্মকর্তাদেরকে ৬ টি দলিল নম্বরসহ সকল তথ্যাদি মুঠোফোনে জানানো হয়।

অডিট কর্মকর্তাগণ প্রতিবেদককে মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে জানায়, সদর সাব রেজিস্ট্রারকে এই ছয়টি দলিলের বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। সাব রেজিস্ট্রার এই ছয়টি দলিলের কপিসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

বুধবার সকালে সাব রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহআলম দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেয়ারও হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে প্রতিবেদক ফেনী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ফেনীর সাবরেজিস্টার শাহআলমের দূর্নীতি অনুসন্ধান করায় সাংবাদিককে হুমকি 

আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেনী জেলার সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার শাহ আলমের আক্রোশের রোষানলে পড়েছেন সাংবাদিক।

সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। জমির দলিল আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের চাপের মুখে ঘুষ দাবি সাব-রেজিস্ট্রার, উম্মেদার, পিওন ও নকলনবিশদের নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে। ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওন দিয়েও করানো হচ্ছে। এই সুযোগে নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওন কোটি কোটি টাকার মলিক হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল-২০১৪ মানছেন না সাব-রেজিস্ট্রাররাও। তারা নিবন্ধন ম্যানুয়াল অনুযায়ী নিজেদের কাজ নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওনদের দিয়ে করাচ্ছেন। দলিল চেক করার কাজ সাব-রেজিস্ট্রারদের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না তারা। অনুসন্ধানে ও সরেজমিন এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল-২০১৪-এর অধ্যায়-২৬-এ উল্লেখ আছে যে, সহকারীগণ কর্তৃক দলিল পরীক্ষাকরণ কাক্সিক্ষত নয়, এই কাজটি অবশ্যই স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত হবে।

২০১৯ সালে রেজিষ্ট্রি হওয়া এমন বেশ কয়েকটি দলিল নম্বর প্রতিবেদকের হাতে আসে। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা এজি অফিসের তিনজন কর্মকর্তা ফেনী সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আসে অডিটের জন্য।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদক, অডিট কর্মকর্তাদেরকে ৬ টি দলিল নম্বরসহ সকল তথ্যাদি মুঠোফোনে জানানো হয়।

অডিট কর্মকর্তাগণ প্রতিবেদককে মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে জানায়, সদর সাব রেজিস্ট্রারকে এই ছয়টি দলিলের বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। সাব রেজিস্ট্রার এই ছয়টি দলিলের কপিসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

বুধবার সকালে সাব রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহআলম দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেয়ারও হুমকি প্রদান করে।

এ বিষয়ে প্রতিবেদক ফেনী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।