‘মামলা তুলে না নেয়ায়’ গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন!
- আপডেট সময় : ১০:০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধি;
মামলা তুলে না নেয়ায় শান্তা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিরাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে ওই গৃহবধূ এখন হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন। শান্তা সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শান্তার ছোট ছেলের সঙ্গে তার আপন চাচা হুমায়ূন মিয়ার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় হুমায়ূনের বিরুদ্ধে মামলা করে শান্তার পরিবার। মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন হুমায়ূন। রোববার সন্ধ্যায় শান্তা ডাক্তার দেখানোর জন্য আত্মীয়ের বাসা থেকে জেলা শহরে যাচ্ছিলেন শান্তা। এ সময় বিরাসা এলাকায় শান্তার পথরোধ করেন হুমায়ূন ও তার সহযোগীরা। পরে তার হাত-পা বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
এক পর্যায়ে শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এ সময় শান্তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হুমায়ূন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শান্তার মা রোকসানা বেগম জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমায়ূন চাপ দিচ্ছিলেন। এর জের ধরে রাস্তায় শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করেছেন তারা।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।