ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মুজিববর্ষে সরকারি ঘর চায় ভূমিহীন মাখন রবিদাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর ময়মনসিংহ:
জন্মসূত্রে মাখনের বাবার বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারের পাশে বাড়ি ছিল তার বাবার। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর কোন সম্পত্তি না থাকায় সেখান থেকে অনেক দিন আগে ছুটে এসে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে নিজ মাওহা নদীর পাড়ে মোস্তুফা ফকিরের জায়গায় আশ্রয় নেন।

মাখন চন্দ্র রবিদাস এখান থেকে বড় হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় স্থায়ীভাবে ঘর বেধে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এমনকি নিজ মাওহা গ্রামে ভোটার হয়েছেন মাখনের বাবার নাম নগেন্দ্র চন্দ্র রবিদাস। হঠাৎ কিছু দিন পরে সেই জায়গা ছাড়তে হয় মাখনের।

উপায় না পেয়ে ছুটে যান আরেক গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি মাওহা নয়ানগর গ্রামের কামাল উদ্দিন মাস্টারের কাছে। আকুতি জানান আমাকে যদি একটি ঘর বাধার জায়গা যদি আপনারা দিতেন তাহলে আমি একটা ঘর বাইন্ধা থাকতাম। এমনকি আপনাদের খেয়া ঘাঠে নৌকা চালাইতাম।

মাখনের আকুতি শুনে জায়গা দিতে রাজি হয়ে নিজের বাড়ির পিছনে জিটাই নদীর পাড়ে নির্জন জঙ্গলের ভিতরে মাখনকে ঘর নির্মানের জায়গা দিল কামাল উদ্দিন। যে জায়গায় কোন মানুষ বসবাস করার কথা নয়। জঙ্গল পরিস্কার করে গ্রামের লোকজনের আর্থিক সহযোগিতায় ঘর নির্মাণ করে সেই জায়গায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায় এক বেলা খাইলে অন্য বেলায় খাবার জোগাইতে পারেনা, থাকার যে ঘরটি রয়েছে চারপাশে টিন। প্লাস্টিকের বস্তা ও খড় দিয়ে ঘরের চারদিক গিরে রেখে কোন রকম দিনযাপন করছেন তিনি।

মাখনের স্ত্রী অনিমা রবিদাস জানান আমার স্বামী খেয়া ঘাঠের মাঝি, বর্ষা এলে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করে আর জুতা সেলাই করে সংসার চালায়। আজ পর্যন্ত আমাদের ভাগ্য জুটেনি সরকারি সুযোগ সুবিধা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও কাজে আসেনা। এহন হুনতাছি শেখ হাসিনা সরকারে নাহি ভূমিহীনদের ঘর দিতাছে। আমরা যদি একটা ঘর পাইতাম, তাহলে আজীবন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করতাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুজিববর্ষে সরকারি ঘর চায় ভূমিহীন মাখন রবিদাস

আপডেট সময় : ০২:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর ময়মনসিংহ:
জন্মসূত্রে মাখনের বাবার বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারের পাশে বাড়ি ছিল তার বাবার। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর কোন সম্পত্তি না থাকায় সেখান থেকে অনেক দিন আগে ছুটে এসে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে নিজ মাওহা নদীর পাড়ে মোস্তুফা ফকিরের জায়গায় আশ্রয় নেন।

মাখন চন্দ্র রবিদাস এখান থেকে বড় হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় স্থায়ীভাবে ঘর বেধে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এমনকি নিজ মাওহা গ্রামে ভোটার হয়েছেন মাখনের বাবার নাম নগেন্দ্র চন্দ্র রবিদাস। হঠাৎ কিছু দিন পরে সেই জায়গা ছাড়তে হয় মাখনের।

উপায় না পেয়ে ছুটে যান আরেক গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি মাওহা নয়ানগর গ্রামের কামাল উদ্দিন মাস্টারের কাছে। আকুতি জানান আমাকে যদি একটি ঘর বাধার জায়গা যদি আপনারা দিতেন তাহলে আমি একটা ঘর বাইন্ধা থাকতাম। এমনকি আপনাদের খেয়া ঘাঠে নৌকা চালাইতাম।

মাখনের আকুতি শুনে জায়গা দিতে রাজি হয়ে নিজের বাড়ির পিছনে জিটাই নদীর পাড়ে নির্জন জঙ্গলের ভিতরে মাখনকে ঘর নির্মানের জায়গা দিল কামাল উদ্দিন। যে জায়গায় কোন মানুষ বসবাস করার কথা নয়। জঙ্গল পরিস্কার করে গ্রামের লোকজনের আর্থিক সহযোগিতায় ঘর নির্মাণ করে সেই জায়গায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায় এক বেলা খাইলে অন্য বেলায় খাবার জোগাইতে পারেনা, থাকার যে ঘরটি রয়েছে চারপাশে টিন। প্লাস্টিকের বস্তা ও খড় দিয়ে ঘরের চারদিক গিরে রেখে কোন রকম দিনযাপন করছেন তিনি।

মাখনের স্ত্রী অনিমা রবিদাস জানান আমার স্বামী খেয়া ঘাঠের মাঝি, বর্ষা এলে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করে আর জুতা সেলাই করে সংসার চালায়। আজ পর্যন্ত আমাদের ভাগ্য জুটেনি সরকারি সুযোগ সুবিধা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও কাজে আসেনা। এহন হুনতাছি শেখ হাসিনা সরকারে নাহি ভূমিহীনদের ঘর দিতাছে। আমরা যদি একটা ঘর পাইতাম, তাহলে আজীবন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করতাম।