ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




ইয়াবা সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক সোহাগ গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগকে ৩০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছে আবগারী,শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ। গত সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে সহযোগী মিথুন সহ গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতারের পর তাকে রাজধানীর বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সোহাগ ও তার সহযোগী মিথুনকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতে-নাতে ইয়াবা সহ ধরা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যবিবরণী বা এফআইআরে উল্লেখ করে বনানী থানার পুলিশ। সোহাগ ও মিথনুকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে উভয় আসামীকে বিচারিক আদালত জামিন নামন্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে যে,-সোহাগ,মিথুন সহ একটা সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসার সাথে জড়িত। পুলিশ ও আবগারী গোয়েন্দা বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত তাদের আটকের চেষ্টা করে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করতে পারে আবগারী গোয়েন্দা বিভাগ।

ছাত্রদল সূত্রসহ নানাভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সোহাগ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর আগে ২০১৭ সালে সোহাগ ফেনসিডিল খেয়ে মাতাল অবস্থায় ফেনসিডিল সহ পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রায় ৪ মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পায়। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়,মাস তিনেক আগে হোটেলে নারী সহ ধরা পরলে প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে সে যাত্রায় গ্রেফতার হতে রক্ষা পান তিনি। আকরামুল হাসান টাকা লেনদেন করে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনেন। ছাত্রদলে থাকাকালীন সময়ে বিকাশ সোহাগ নামে সে পরিচিত ছিলো বলে জানা যায়। তৎকালীন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামের অনৈতিক টাকা লেনদেনে করতো সোহাগ। জহুরুল হক হলে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল চুরির করে হাতে-নাতে ধরা পরে ছাত্রদের হাতে বেদম পিটুণী খাওয়ার রেকর্ড আছে তার। এছাড়া ছাত্রদল নেত্রী সোনিয়া আহমেদের সাথে লিভ টুগেদারের করতো তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে। সোনিয়া নিজেই তাদের বিশেষ অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে প্রচার করে তাদের সম্পর্কের দাবী করে। তাদের দুজনার ছবি মুঠোফোনে তখন ভাইরাল হয়ে যায়।

অনুসন্ধানে জানা একের পর এক অপকর্মের অভিযোগ সাবেক এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের সাবেক একজন সহসাধারণ সম্পাদক বলেন- ক্যাশ ও বিকাশের মাধ্যম আকরাম-সোহাগের কমিটি বানিজ্যের বিচার দল করলে এমন ইয়াবা ও নারী কেলেংকারীর ঘটনা ঘটতো না। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন অপকর্ম কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। সোহাগের আইনজীবী স্বেচ্ছাসেবক দলের আইন সম্পাদক ইলতুতমীশ সওদাগরের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোহাগের গ্রেফতার নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা নানাভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবা সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক সোহাগ গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগকে ৩০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছে আবগারী,শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ। গত সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে সহযোগী মিথুন সহ গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতারের পর তাকে রাজধানীর বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সোহাগ ও তার সহযোগী মিথুনকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতে-নাতে ইয়াবা সহ ধরা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যবিবরণী বা এফআইআরে উল্লেখ করে বনানী থানার পুলিশ। সোহাগ ও মিথনুকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে উভয় আসামীকে বিচারিক আদালত জামিন নামন্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে যে,-সোহাগ,মিথুন সহ একটা সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসার সাথে জড়িত। পুলিশ ও আবগারী গোয়েন্দা বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত তাদের আটকের চেষ্টা করে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করতে পারে আবগারী গোয়েন্দা বিভাগ।

ছাত্রদল সূত্রসহ নানাভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সোহাগ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর আগে ২০১৭ সালে সোহাগ ফেনসিডিল খেয়ে মাতাল অবস্থায় ফেনসিডিল সহ পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রায় ৪ মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পায়। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়,মাস তিনেক আগে হোটেলে নারী সহ ধরা পরলে প্রায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে সে যাত্রায় গ্রেফতার হতে রক্ষা পান তিনি। আকরামুল হাসান টাকা লেনদেন করে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনেন। ছাত্রদলে থাকাকালীন সময়ে বিকাশ সোহাগ নামে সে পরিচিত ছিলো বলে জানা যায়। তৎকালীন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামের অনৈতিক টাকা লেনদেনে করতো সোহাগ। জহুরুল হক হলে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল চুরির করে হাতে-নাতে ধরা পরে ছাত্রদের হাতে বেদম পিটুণী খাওয়ার রেকর্ড আছে তার। এছাড়া ছাত্রদল নেত্রী সোনিয়া আহমেদের সাথে লিভ টুগেদারের করতো তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে। সোনিয়া নিজেই তাদের বিশেষ অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে প্রচার করে তাদের সম্পর্কের দাবী করে। তাদের দুজনার ছবি মুঠোফোনে তখন ভাইরাল হয়ে যায়।

অনুসন্ধানে জানা একের পর এক অপকর্মের অভিযোগ সাবেক এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের সাবেক একজন সহসাধারণ সম্পাদক বলেন- ক্যাশ ও বিকাশের মাধ্যম আকরাম-সোহাগের কমিটি বানিজ্যের বিচার দল করলে এমন ইয়াবা ও নারী কেলেংকারীর ঘটনা ঘটতো না। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন অপকর্ম কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। সোহাগের আইনজীবী স্বেচ্ছাসেবক দলের আইন সম্পাদক ইলতুতমীশ সওদাগরের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোহাগের গ্রেফতার নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা নানাভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।