ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আর কত গাছ উপড়ে ফেলা হবে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা;

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) অন্তর্ভুক্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চৌহদ্দিতে খাবারের রেস্টুরেন্ট স্থাপনের নামে নির্বিচারে গাছ নিধন অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই উদ্যানের ভেতর বিভিন্ন স্থানের বিশাল আকারের তরতাজা গাছ প্রকাশ্যে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে। গোপনে সেগুলো বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, নতুন নতুন গাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছে। উদ্যানে তরতাজা সবুজ পাতাবেষ্টিত গাছগুলো মাটিতে পড়ে আছে। উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে এমনকি খোলামাঠেও মাটি কেটে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। এখানে-সেখানে রড, সিমেন্ট ও বালু মজুত রেখে পিলার নির্মাণ ও ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সেখানে একাধিক নিরাপত্তাকর্মীকে দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে দেখা যায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, উদ্যানের চৌহদ্দিতে সাতটি রেস্টুরেন্ট নির্মিত হবে। এছাড়া রেস্টুরেন্টগুলোতে আসার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। পার্কের বিভিন্ন স্পটে ব্যায়াম করার জন্য স্থাপনা নির্মিত হবে।

উদ্যানের বিভিন্ন স্পট- টিএসসি, রমনা কালীমন্দির, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ও শিশুপার্ক সংলগ্ন প্রবেশদ্বারের পাশে রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে এসব দেখে হতাশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত আসা প্রাতঃভ্রমণকারীরা।

তারা বলছেন, রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যায়ামাগার স্থাপনের ব্যাপারে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু এভাবে নির্বিচারে তরতাজা গাছ কেটে ফেলার কোনো মানে হয় না। পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনেরও এ বিষয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আর কত গাছ উপড়ে ফেলা হবে?

আপডেট সময় : ১২:২০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা;

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) অন্তর্ভুক্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চৌহদ্দিতে খাবারের রেস্টুরেন্ট স্থাপনের নামে নির্বিচারে গাছ নিধন অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই উদ্যানের ভেতর বিভিন্ন স্থানের বিশাল আকারের তরতাজা গাছ প্রকাশ্যে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে। গোপনে সেগুলো বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, নতুন নতুন গাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছে। উদ্যানে তরতাজা সবুজ পাতাবেষ্টিত গাছগুলো মাটিতে পড়ে আছে। উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে এমনকি খোলামাঠেও মাটি কেটে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। এখানে-সেখানে রড, সিমেন্ট ও বালু মজুত রেখে পিলার নির্মাণ ও ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সেখানে একাধিক নিরাপত্তাকর্মীকে দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে দেখা যায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, উদ্যানের চৌহদ্দিতে সাতটি রেস্টুরেন্ট নির্মিত হবে। এছাড়া রেস্টুরেন্টগুলোতে আসার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। পার্কের বিভিন্ন স্পটে ব্যায়াম করার জন্য স্থাপনা নির্মিত হবে।

উদ্যানের বিভিন্ন স্পট- টিএসসি, রমনা কালীমন্দির, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ও শিশুপার্ক সংলগ্ন প্রবেশদ্বারের পাশে রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে এসব দেখে হতাশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত আসা প্রাতঃভ্রমণকারীরা।

তারা বলছেন, রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যায়ামাগার স্থাপনের ব্যাপারে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু এভাবে নির্বিচারে তরতাজা গাছ কেটে ফেলার কোনো মানে হয় না। পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনেরও এ বিষয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।