ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




প্রযুক্তির ভয়ংকর ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে নারীরা (ভিডিও)

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ অনলাইন ডেস্ক;

প্রযুক্তির ফাঁদে ফেলে নারীদের বিপাকে ফেলছে বিকৃত মানসিকতার কিছু মানুষ। আপত্তিকর ছবি প্রকাশের এই নতুন ধরনের নাম সেক্সটোরশন। পরিসংখ্যান বলছে, এর শিকার হয়ে বছরে ১১ নারী আত্মহত্যা করছেন। এসবের নেপথ্য কারিগররা, নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে বিরাট অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডের পর্নগ্রাফিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনতে হবে। দাবি তুলছেন, সর্বোচ্চ শাস্তির। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা তৎপর কিন্তু বাড়াতে হবে সচেতনতা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিও ফুটেজ চুরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দুই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভিডিওটি কয়েক বছর আগের, তার স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে এক রোগীর স্বজনের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে, সেই প্রতিষ্ঠানেরই এক কর্মচারি। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে এক বা এবাধিক নারী এ দুর্বৃত্তদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমে ভুক্তভোগীদের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় হ্যাকাররা। তারপর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, আপত্তিকর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও। তাদের উদ্দেশ্য, অনৈতিক দাবি আদায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব অপরাধ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই অপরাধগুলোর শাস্তি বাড়ানো না গেলে এই অপরাধগুলো কমানো সম্ভব নয়।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে ১৫.৩৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর ছবি বিকৃত করে অনলাইনে প্রচার করা হয়। আর এর মধ্যে বেশির ভাগ ভুক্তভোগীই নারী এবং এদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বলছেন, ইন্টারনেটের অপরাধকে সরাসরি হয়রানির সাথে মিলিয়ে ফেললে হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কোন বিষয় উল্লেখ নেই। তাই সেটি উল্লেখ করতে হবে।

পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের উপ-কমিশনার এ. এফ. এম আল কিবরিয়া বলছেন, নারীদের টার্গেট করে বিশেষ কৌশলে ফাঁদ পাতে, অপরাধীরা। এদের প্রতিরোধে প্রয়োজন, গ্রাহকরদের পর্যাপ্ত সাইবার জ্ঞান।

প্রযুক্তির এই ফাঁদ থেকে নারীদের রক্ষা করতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি, আরো দায়িত্বশীল হতে হবে, নেটিজেনদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রযুক্তির ভয়ংকর ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে নারীরা (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

সকালের সংবাদ অনলাইন ডেস্ক;

প্রযুক্তির ফাঁদে ফেলে নারীদের বিপাকে ফেলছে বিকৃত মানসিকতার কিছু মানুষ। আপত্তিকর ছবি প্রকাশের এই নতুন ধরনের নাম সেক্সটোরশন। পরিসংখ্যান বলছে, এর শিকার হয়ে বছরে ১১ নারী আত্মহত্যা করছেন। এসবের নেপথ্য কারিগররা, নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে বিরাট অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডের পর্নগ্রাফিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনতে হবে। দাবি তুলছেন, সর্বোচ্চ শাস্তির। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা তৎপর কিন্তু বাড়াতে হবে সচেতনতা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিও ফুটেজ চুরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দুই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভিডিওটি কয়েক বছর আগের, তার স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে এক রোগীর স্বজনের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে, সেই প্রতিষ্ঠানেরই এক কর্মচারি। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে এক বা এবাধিক নারী এ দুর্বৃত্তদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমে ভুক্তভোগীদের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় হ্যাকাররা। তারপর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, আপত্তিকর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও। তাদের উদ্দেশ্য, অনৈতিক দাবি আদায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব অপরাধ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই অপরাধগুলোর শাস্তি বাড়ানো না গেলে এই অপরাধগুলো কমানো সম্ভব নয়।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে ১৫.৩৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর ছবি বিকৃত করে অনলাইনে প্রচার করা হয়। আর এর মধ্যে বেশির ভাগ ভুক্তভোগীই নারী এবং এদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বলছেন, ইন্টারনেটের অপরাধকে সরাসরি হয়রানির সাথে মিলিয়ে ফেললে হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কোন বিষয় উল্লেখ নেই। তাই সেটি উল্লেখ করতে হবে।

পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের উপ-কমিশনার এ. এফ. এম আল কিবরিয়া বলছেন, নারীদের টার্গেট করে বিশেষ কৌশলে ফাঁদ পাতে, অপরাধীরা। এদের প্রতিরোধে প্রয়োজন, গ্রাহকরদের পর্যাপ্ত সাইবার জ্ঞান।

প্রযুক্তির এই ফাঁদ থেকে নারীদের রক্ষা করতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি, আরো দায়িত্বশীল হতে হবে, নেটিজেনদের।