ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




শারীরিক মিলনের সঙ্গী হতে হবে বাড়ির মানুষকেই!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বড় কঠিন সময় এখন। একটি অদৃশ্য জীবাণু কয়েক মাসের মধ্যে পাল্টে দিয়েছে চেনা পৃথিবীটাকে। সামাজিক নৈকট্য যেখানে মানবিক গুণ বলে বিবেচিত হতো এখন তা দোষাবহ। পরস্পরের বাড়ি গিয়ে সামাজিকতা হয়তো বন্ধই হয়ে গেল, অন্তত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত। এখন সভ্যতার মূল স্লোগান ‘দূরে যাও’।

সারা পৃথিবী জুড়ে আপাতত পারস্পরিক নৈকট্য ঠেকানোর জন্য নানাবিধ আইন রচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদল শুধু উপদেশে হয় না, আদেশ জারি করতে হয় এই সত্য উপলব্ধি করেই সমস্ত দেশের সরকার নতুন নতুন আইন তৈরি করতে শুরু করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, ঘনিষ্টতা কমানো।

ঘনিষ্টতার নানা ধরন, নানান ক্ষেত্র। তাই আইন প্রণেতাদেরও খেয়াল রাখতে হচ্ছে খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিকে। তারই এক নমুনা পাওয়া গেল ইংল্যান্ডে জারি হওয়া নতুন আইনে।

মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ এই কোভিড–১৯। কে যে গোপনে বহন করে চলেছে এই ভাইরাস তা দেখে বোঝার উপায় নেই। এক বাড়িতে থাকলে তবু সম্ভাবনা আছে জানার কিন্তু অন্য বাড়ি, অন্য জায়গা সবই আজ সন্দেহের তালিকায় প্রবেশ করেছে।

তাই ইংল্যান্ডের নতুন আইনে বাড়ির লোকের সঙ্গেই একমাত্র শারীরিক মিলনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, বাড়ির বাইরে অন্য কারও সঙ্গে যৌন মিলন কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে বলবৎ হয়েছে এই নতুন নিয়ম।

এতদিন পর্যন্ত অতিথি সমাগমে দোষী হতেন অতিথি, এখন যার কাছে গেছেন এবং যিনি গেছেন দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

সোমবার পার্লামেন্টে যে আইনটি পেশ করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ”পারস্পরিক মেলামেশা বা একসঙ্গে কোনও ক্রিয়াকলাপ চালানোর জন্য দুই বা ততোধিক মানুষ একটি জায়গায় মিলিত হলে তাকে সমবেত হওয়া বলা হয়।” এই সমবেত হওয়াকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই আইনে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, একই বাড়িতে বসবাস করে না এমন দুই ব্যক্তির মধ্যে অন্তত দেড় মিটারের ব্যবধান রাখতে হবে।

এত কিছু জানানোর পরও যদি কেউ বুঝতে না চায় সরকারি আইনটি ঠিক কী বলতে চেয়েছে তাদের জন্য চাঁছাছোলা ভাষায় পরিস্কার লিখে দেওয়া হয়েছে, অন্য বাড়ি থেকে এসেছে বা থাকে এমন কারও সঙ্গে দৈহিক মিলন করা আইনত নিষিদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শারীরিক মিলনের সঙ্গী হতে হবে বাড়ির মানুষকেই!

আপডেট সময় : ০৩:২১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বড় কঠিন সময় এখন। একটি অদৃশ্য জীবাণু কয়েক মাসের মধ্যে পাল্টে দিয়েছে চেনা পৃথিবীটাকে। সামাজিক নৈকট্য যেখানে মানবিক গুণ বলে বিবেচিত হতো এখন তা দোষাবহ। পরস্পরের বাড়ি গিয়ে সামাজিকতা হয়তো বন্ধই হয়ে গেল, অন্তত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত। এখন সভ্যতার মূল স্লোগান ‘দূরে যাও’।

সারা পৃথিবী জুড়ে আপাতত পারস্পরিক নৈকট্য ঠেকানোর জন্য নানাবিধ আইন রচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদল শুধু উপদেশে হয় না, আদেশ জারি করতে হয় এই সত্য উপলব্ধি করেই সমস্ত দেশের সরকার নতুন নতুন আইন তৈরি করতে শুরু করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, ঘনিষ্টতা কমানো।

ঘনিষ্টতার নানা ধরন, নানান ক্ষেত্র। তাই আইন প্রণেতাদেরও খেয়াল রাখতে হচ্ছে খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিকে। তারই এক নমুনা পাওয়া গেল ইংল্যান্ডে জারি হওয়া নতুন আইনে।

মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ এই কোভিড–১৯। কে যে গোপনে বহন করে চলেছে এই ভাইরাস তা দেখে বোঝার উপায় নেই। এক বাড়িতে থাকলে তবু সম্ভাবনা আছে জানার কিন্তু অন্য বাড়ি, অন্য জায়গা সবই আজ সন্দেহের তালিকায় প্রবেশ করেছে।

তাই ইংল্যান্ডের নতুন আইনে বাড়ির লোকের সঙ্গেই একমাত্র শারীরিক মিলনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, বাড়ির বাইরে অন্য কারও সঙ্গে যৌন মিলন কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে বলবৎ হয়েছে এই নতুন নিয়ম।

এতদিন পর্যন্ত অতিথি সমাগমে দোষী হতেন অতিথি, এখন যার কাছে গেছেন এবং যিনি গেছেন দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

সোমবার পার্লামেন্টে যে আইনটি পেশ করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ”পারস্পরিক মেলামেশা বা একসঙ্গে কোনও ক্রিয়াকলাপ চালানোর জন্য দুই বা ততোধিক মানুষ একটি জায়গায় মিলিত হলে তাকে সমবেত হওয়া বলা হয়।” এই সমবেত হওয়াকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই আইনে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, একই বাড়িতে বসবাস করে না এমন দুই ব্যক্তির মধ্যে অন্তত দেড় মিটারের ব্যবধান রাখতে হবে।

এত কিছু জানানোর পরও যদি কেউ বুঝতে না চায় সরকারি আইনটি ঠিক কী বলতে চেয়েছে তাদের জন্য চাঁছাছোলা ভাষায় পরিস্কার লিখে দেওয়া হয়েছে, অন্য বাড়ি থেকে এসেছে বা থাকে এমন কারও সঙ্গে দৈহিক মিলন করা আইনত নিষিদ্ধ।