ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্ধাহার-অনাহারে ভোলার জেলেদের পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও এখনও অনেক জেলে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ শিকার বন্ধ অন্যদিকে করোনার কারণে বিকল্প কাজও করতে পারছেন না তারা। যার কারণে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ভোলার জেলেরা।

সরেজমিনে জেলেদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সাগরে সব ধরনের সামদ্রিক মাছের শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভোলায় তা বাস্থবায়ন হয় ২০১৯ সাল থেকে। এ বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় ২০ মে থেকে। আর চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়াও সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য ভোলার মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে একের পর এক মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা জেলেরা। এছাড়াও একদিকে নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে করোনার কারণে অন্য কাজ না করতে পেরেও বিপাকে রয়েছেন জেলেরা। দ্রুত সরকারি সহযোগিতার দাবি জেলেদের।

চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ ঘাট এলাকার জেলে মুসলে উদ্দিন মাঝি ও মো. জামাল উদ্দিন মাঝি বলেন, গত ৩০ এপ্রিল নদীতে মাছ শিকার বন্ধের দুই মাসের অভিযান শেষ হয়েছে। ওই সময় মাছ বেচা-বিক্রি বন্ধ ছিল। তাই সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করতে না পারায় মাছ শিকার করতে যায়নি। কিন্তু ২০ মে থেকে আবার সাগরে মাছ শিকার বন্ধ হয়েছে। এতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তারা আরও বলেন, আমরা সাগরে মাছ শিকার করে জীবনযাপন করি। এখন মাছ ধরা বন্ধ ও করোনার কারণে অণ্য কাজও করতে পারছি না। তাই সরকার যদি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

মনপুরা উপজেলার চর নিজাম এলাকার জেলে সামছুদ্দিন ও আলী মিয়া জানান, গত বছর অভিযানের সময় আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে সাগরে মাছ শিকার করতে যাইনি। কিন্তু সরকার আমাদের জন্য যে চাল বরাদ্দ করেছে সেটাও আমরা পাইনি।

তারা আরো বলেন, আমরা যারা প্রকৃত জেলে তাদের অনেকের জেলে কার্ড নেই। আবার যাদের জেলে কার্ড আছে তারাও অনেকেই চাল পাননা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্ধাহার-অনাহারে ভোলার জেলেদের পরিবার

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও এখনও অনেক জেলে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ শিকার বন্ধ অন্যদিকে করোনার কারণে বিকল্প কাজও করতে পারছেন না তারা। যার কারণে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ভোলার জেলেরা।

সরেজমিনে জেলেদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সাগরে সব ধরনের সামদ্রিক মাছের শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভোলায় তা বাস্থবায়ন হয় ২০১৯ সাল থেকে। এ বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় ২০ মে থেকে। আর চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এছাড়াও সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য ভোলার মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে একের পর এক মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা জেলেরা। এছাড়াও একদিকে নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে করোনার কারণে অন্য কাজ না করতে পেরেও বিপাকে রয়েছেন জেলেরা। দ্রুত সরকারি সহযোগিতার দাবি জেলেদের।

চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ ঘাট এলাকার জেলে মুসলে উদ্দিন মাঝি ও মো. জামাল উদ্দিন মাঝি বলেন, গত ৩০ এপ্রিল নদীতে মাছ শিকার বন্ধের দুই মাসের অভিযান শেষ হয়েছে। ওই সময় মাছ বেচা-বিক্রি বন্ধ ছিল। তাই সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করতে না পারায় মাছ শিকার করতে যায়নি। কিন্তু ২০ মে থেকে আবার সাগরে মাছ শিকার বন্ধ হয়েছে। এতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তারা আরও বলেন, আমরা সাগরে মাছ শিকার করে জীবনযাপন করি। এখন মাছ ধরা বন্ধ ও করোনার কারণে অণ্য কাজও করতে পারছি না। তাই সরকার যদি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

মনপুরা উপজেলার চর নিজাম এলাকার জেলে সামছুদ্দিন ও আলী মিয়া জানান, গত বছর অভিযানের সময় আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে সাগরে মাছ শিকার করতে যাইনি। কিন্তু সরকার আমাদের জন্য যে চাল বরাদ্দ করেছে সেটাও আমরা পাইনি।

তারা আরো বলেন, আমরা যারা প্রকৃত জেলে তাদের অনেকের জেলে কার্ড নেই। আবার যাদের জেলে কার্ড আছে তারাও অনেকেই চাল পাননা।