প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে বেরোবি শিক্ষিকার ব্যাঙ্গঃ সমালোচনার ঝড়
- আপডেট সময় : ০৯:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
সদ্য প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষিকার ব্যাঙ্গাত্মক স্ট্যাটাসে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা সিরাজুম মুনিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার ও ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতি করতেন।
গত ১৩ই জুন (শনিবার) লাইফ সাপোর্টে থাকা সাবেক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য মোঃ নাসিম মারা যান। তার মৃত্যু নিয়েই ওই শিক্ষিকা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যাঙ্গ করে “যোগ্য নেতৃত্বে দেশ নাসিম্যা মুক্ত হলো” শিরোনামে পোস্ট দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি বুঝতে পেরে তা ডিলিট করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পালটা স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, করোনার পরিস্থিতি আর প্রিয় নেতার মৃত্যু সব মিলে সকলেই কঠিন মূহুর্ত পার করছে। এ সময়ে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হয়ে এমন স্ট্যাটাস দেয়া খুবেই দুঃখজনক। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা এর প্রতিবাদ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের থেকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, এমন ব্যাঙ্গাত্মক কাজের জন্য শুধু শাস্তি নয় তাকে বিচারের আওতায় এনে অতিদ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাচ্ছি। তার এই ধৃষ্টতার কারণে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার শাস্তির দাবি করছি। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার পূর্বে থেকেই ক্যাম্পাসে সরকারবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলের। তবুও তিনি কীভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন?এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারেনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সিরাজুম মুনিরাকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।