ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




৫০ যুবলীগ নেতার পদত্যাগের হুমকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;  দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে অব্যাহতি না দিলে ৫০ নেতার পদত্যাগের হুমকি।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অব্যাহতি চেয়েছেন কমিটির বাকি সদস্যরা। সুমনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি না দিলে কমিটির বাকি ৫০ জন সদস্য পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনটির ইউনিয়ন কমিটির এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বোদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন কমিটির সভাপতি যাদব চন্দ্র বর্মন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম সেই নির্দেশনা মানেন নি। দলীয় কোন কার্যক্রমে তাকে পাওয়া যায় না। এছাড়া সাংগঠনিক কোন কাজ না করে তিনি কেবল তার এই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এমনকি তার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দলের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা। তাই সুমনকে তার পদ থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান তারা। আর তা না হলে কমিটির বাকি ৫০ জন সদস্যই পদত্যাগ করবেন বলেও হুশিয়ারি দেন।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পদক রেজাউল করিম বলেন, তিনি শুরু থেকেই সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিস্ত্রিয় ছিলেন। তিনি ছাড়া তার পরিবারের আর কেউ নৌকায় ভোট দেয়না। এ বিষয়ে আগেও মূল সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খয়রুল আলম বলেন, বিভিন্ন কারণে সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি যাদব চন্দ্র বর্মন বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকলেও তার হদিস পাওয়া যায় নি। দলীয় মিটিং এবং কর্মসূচিতে তাকে পাওয়া যায় না। তিনি কেবল দলীয় এই পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তাই কমিটির জরুরি সভা করে সবার সিদ্ধান্ত মতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য গত ৫ জুন উপজেলা কমিটির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। তাকে অব্যাহতি না দেয়া হলে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৫০ জন সদস্য একসাথে পদত্যাগ করবো।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম বলেন, আমি কমিটির কয়েকজনের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। আমার উপর অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। আমি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজই করিনি। তারা যে রেজুলেশন করেছে তা সব সাজানো। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।

বোদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগ থেকে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৫০ যুবলীগ নেতার পদত্যাগের হুমকি

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;  দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে অব্যাহতি না দিলে ৫০ নেতার পদত্যাগের হুমকি।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অব্যাহতি চেয়েছেন কমিটির বাকি সদস্যরা। সুমনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি না দিলে কমিটির বাকি ৫০ জন সদস্য পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনটির ইউনিয়ন কমিটির এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বোদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন কমিটির সভাপতি যাদব চন্দ্র বর্মন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম সেই নির্দেশনা মানেন নি। দলীয় কোন কার্যক্রমে তাকে পাওয়া যায় না। এছাড়া সাংগঠনিক কোন কাজ না করে তিনি কেবল তার এই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এমনকি তার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দলের সুনাম নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা। তাই সুমনকে তার পদ থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান তারা। আর তা না হলে কমিটির বাকি ৫০ জন সদস্যই পদত্যাগ করবেন বলেও হুশিয়ারি দেন।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পদক রেজাউল করিম বলেন, তিনি শুরু থেকেই সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিস্ত্রিয় ছিলেন। তিনি ছাড়া তার পরিবারের আর কেউ নৌকায় ভোট দেয়না। এ বিষয়ে আগেও মূল সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খয়রুল আলম বলেন, বিভিন্ন কারণে সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি যাদব চন্দ্র বর্মন বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকলেও তার হদিস পাওয়া যায় নি। দলীয় মিটিং এবং কর্মসূচিতে তাকে পাওয়া যায় না। তিনি কেবল দলীয় এই পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। তাই কমিটির জরুরি সভা করে সবার সিদ্ধান্ত মতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য গত ৫ জুন উপজেলা কমিটির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। তাকে অব্যাহতি না দেয়া হলে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৫০ জন সদস্য একসাথে পদত্যাগ করবো।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলাম বলেন, আমি কমিটির কয়েকজনের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। আমার উপর অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। আমি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজই করিনি। তারা যে রেজুলেশন করেছে তা সব সাজানো। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি।

বোদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা ময়দানদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগ থেকে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।