ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




‘মার মার কাট কাট’ দক্ষিণ সিটি’র মেয়র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

জিয়াউর রহমানঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে অনেকটাই ‘হার্ডলাইন’ অবস্থানের জানান দিচ্ছেন তিনি। আর এতে বেশ তটস্থ অবস্থায় আছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাপস বলেছিলেন, ঢাকাবাসীর জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবো। আর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কোনো বাধা এলে তা মানা হবে না। ঢাকাবাসীর কল্যাণেই আমি কাজ করবো। এরপরের দিন অর্থ্যাৎ ১৭ মে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আঞ্চলিক নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করেন নতুন মেয়র। সেই সভায়ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তাপস।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের কোনো কিছু নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় কর্মকর্তাই হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য যদি কাউকে বিদায় দিতে হয় তাতেও আমি পিছু পা হবো না।

সেদিন সন্ধ্যায়ই সিটি করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে বেশ আলোড়ন তৈরি করেন তাপস। ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। কারণ দর্শানো, তদন্ত কমিটি গঠন, সাময়িক অব্যাহতির মতো বিভিন্ন কালক্ষেপনীয় পদক্ষেপ বলয়ের বাইরে গিয়ে ‘ডিরেক্ট ডিসিশন’ এর এমন ঘটনা ডিএসসিসি তো বটেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জন্যও বেশ বিরল।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই তিন দিনের মাথায় চাকরিচ্যুত হন আরও এক কর্মকর্তা। এবার চাকরি হারান রাজস্ব বিভাগের ‘বাজার সার্কেল-৩’ এর কর্মকর্তা আতাহার আলী খান। সে সময় ডিএসসিসির নগর পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত ছিলেন আতাহার আলী।

তাপস বলেন, একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা যে ঢাকা গড়ে তুলতে চাই তার একটি দিক হলো সুশাসিত ঢাকা। সেই সুশাসিত ঢাকা গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা দেখেছি যে, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের জন্য টাকা দিচ্ছেন কিন্তু দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। উইপোকারা সরকারের টাকা, প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেদিক বিবেচনায় আমার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম যে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো উইপোকার জায়গা আমি রাখবো না। আমি বলেছিলাম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবো। তারই প্রতিফলন ঘটেছে আমার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, যাদের অপসারণ করেছি তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা চলমান থাকবে। এটা কোনো ব্যক্তি কেন্দ্রিক না। যেখানেই দুর্নীতি, যেখানেই সরকারের অর্থের অপচয় হবে, যেখানেই গাফিলতি-অবহেলা থাকবে সেখানেই আমরা কঠিন ব্যবস্থা নেবো। সিটি করপোরেশনকে তার ঐতিহ্যের জায়গায় নিয়ে যেতে হলে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।

নতুন মেয়রের এমন ‘মার মার কাট কাট’ সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে আছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে আসা বিতর্কিত কর্মকর্তারা আছেন বেশ দুশ্চিন্তায়। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমনটাই।

অনেকেই ভাবছেন, দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরই ঈদের ছুটি চলে আসায় সাময়িকভাবে থেমেছে মেয়রের কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। আর এখন ছুটির পর আবারও অফিস চালু হওয়ায় যেকোনো দিন যে কারও ‘উইকেট’ পড়ে যেতে পারে বলে ভাবছেন অনেকেই।

সূত্র বলছে, কমিশন সিন্ডিকেটের অপর এক প্রকৌশলীসহ অন্তত ১২-১৫ জন কর্মকর্তার আমলনামা মেয়রের কাছে জমা রয়েছে। সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। তালিকা করার কিছুই নেই। যখন যার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবে, আইন অনুযায়ী তখনই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসির নির্বাচনে জয়ী হন শেখ ফজলে নূর তাপস। গেল ১৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতার দায়িত্ব নেন তিনি। সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ও অনিময়ের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন ডিএসসিসি মেয়র।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘মার মার কাট কাট’ দক্ষিণ সিটি’র মেয়র

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

জিয়াউর রহমানঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে অনেকটাই ‘হার্ডলাইন’ অবস্থানের জানান দিচ্ছেন তিনি। আর এতে বেশ তটস্থ অবস্থায় আছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাপস বলেছিলেন, ঢাকাবাসীর জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবো। আর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কোনো বাধা এলে তা মানা হবে না। ঢাকাবাসীর কল্যাণেই আমি কাজ করবো। এরপরের দিন অর্থ্যাৎ ১৭ মে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আঞ্চলিক নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করেন নতুন মেয়র। সেই সভায়ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তাপস।

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের কোনো কিছু নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় কর্মকর্তাই হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য যদি কাউকে বিদায় দিতে হয় তাতেও আমি পিছু পা হবো না।

সেদিন সন্ধ্যায়ই সিটি করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে বেশ আলোড়ন তৈরি করেন তাপস। ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। কারণ দর্শানো, তদন্ত কমিটি গঠন, সাময়িক অব্যাহতির মতো বিভিন্ন কালক্ষেপনীয় পদক্ষেপ বলয়ের বাইরে গিয়ে ‘ডিরেক্ট ডিসিশন’ এর এমন ঘটনা ডিএসসিসি তো বটেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জন্যও বেশ বিরল।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই তিন দিনের মাথায় চাকরিচ্যুত হন আরও এক কর্মকর্তা। এবার চাকরি হারান রাজস্ব বিভাগের ‘বাজার সার্কেল-৩’ এর কর্মকর্তা আতাহার আলী খান। সে সময় ডিএসসিসির নগর পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত ছিলেন আতাহার আলী।

তাপস বলেন, একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা যে ঢাকা গড়ে তুলতে চাই তার একটি দিক হলো সুশাসিত ঢাকা। সেই সুশাসিত ঢাকা গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা দেখেছি যে, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের জন্য টাকা দিচ্ছেন কিন্তু দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। উইপোকারা সরকারের টাকা, প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেদিক বিবেচনায় আমার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম যে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো উইপোকার জায়গা আমি রাখবো না। আমি বলেছিলাম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবো। তারই প্রতিফলন ঘটেছে আমার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, যাদের অপসারণ করেছি তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা চলমান থাকবে। এটা কোনো ব্যক্তি কেন্দ্রিক না। যেখানেই দুর্নীতি, যেখানেই সরকারের অর্থের অপচয় হবে, যেখানেই গাফিলতি-অবহেলা থাকবে সেখানেই আমরা কঠিন ব্যবস্থা নেবো। সিটি করপোরেশনকে তার ঐতিহ্যের জায়গায় নিয়ে যেতে হলে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।

নতুন মেয়রের এমন ‘মার মার কাট কাট’ সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে আছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে আসা বিতর্কিত কর্মকর্তারা আছেন বেশ দুশ্চিন্তায়। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমনটাই।

অনেকেই ভাবছেন, দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরই ঈদের ছুটি চলে আসায় সাময়িকভাবে থেমেছে মেয়রের কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। আর এখন ছুটির পর আবারও অফিস চালু হওয়ায় যেকোনো দিন যে কারও ‘উইকেট’ পড়ে যেতে পারে বলে ভাবছেন অনেকেই।

সূত্র বলছে, কমিশন সিন্ডিকেটের অপর এক প্রকৌশলীসহ অন্তত ১২-১৫ জন কর্মকর্তার আমলনামা মেয়রের কাছে জমা রয়েছে। সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। তালিকা করার কিছুই নেই। যখন যার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবে, আইন অনুযায়ী তখনই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসির নির্বাচনে জয়ী হন শেখ ফজলে নূর তাপস। গেল ১৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতার দায়িত্ব নেন তিনি। সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ও অনিময়ের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন ডিএসসিসি মেয়র।