ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

আইন (সিএএ) নিয়ে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না। এমনটাই জানিয়েছে ভারত। সিএএ’র আইনি বৈধতা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যেসব মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এজন্য নজিরবিহীনভাবে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

তবে ভারত বলছে, সিএএ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়েই হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বিদেশি পক্ষের। সিএএ’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের কারণে এমনিতেই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে তৃতীয় পক্ষ হওয়ার আবেদন দাখিল করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

বিষয়টি জানার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়নকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশভাগের মতো দুঃখজনক ঘটনা থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই আইন। মোদী সরকারের আরও দাবি, এই আইনবলে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিও সহজ হবে এবং তা ‘সাংবিধানিকভাবে বৈধ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হয়। এরপর সিএএ’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনকারীর মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগসহ বিভিন্ন বাম দল রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলে ওই দলগুলো। তবে মোদি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

আইন (সিএএ) নিয়ে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না। এমনটাই জানিয়েছে ভারত। সিএএ’র আইনি বৈধতা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যেসব মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এজন্য নজিরবিহীনভাবে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

তবে ভারত বলছে, সিএএ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়েই হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বিদেশি পক্ষের। সিএএ’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের কারণে এমনিতেই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে তৃতীয় পক্ষ হওয়ার আবেদন দাখিল করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

বিষয়টি জানার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়নকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশভাগের মতো দুঃখজনক ঘটনা থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই আইন। মোদী সরকারের আরও দাবি, এই আইনবলে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিও সহজ হবে এবং তা ‘সাংবিধানিকভাবে বৈধ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হয়। এরপর সিএএ’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনকারীর মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগসহ বিভিন্ন বাম দল রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলে ওই দলগুলো। তবে মোদি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে।