ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
দেখতে দেখতে ১১ দিন পার করছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শুরুর দিকে দর্শনার্থী খরা ছিল। তবে এ অবস্থা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার আভাস দিচ্ছে বাণিজ্য মেলা। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় মেলার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৫ গুন হয়েছে।

মেলার ইজারাদার ও অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দাবি, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেলায় বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। সামনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

তবে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন মেলার গেট ইজারা পাওয়া মীর ব্রাদার্সের মালিক মীর শহিদুল।

তিনি বলেন, আজ মেলার দর্শনার্থী ভালোই হয়েছে। ২০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এসেছে। এর আগে দর্শনার্থী এসেছে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ হাজারের মতো। সামনে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।

মীর শহিদুল আরও বলেন, এবার মেলার শুরুতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। গত বছর এমন সময়ের শনিবারে ৫০-৬০ হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। এখন দর্শনার্থী কম হলেও সামনে বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। কারণ বিনোদন প্রেমিক মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। আর ঢাকার মানুষের বিনোদনের সুযোগও কম। সুতরাং মানুষ মেলায় আসবেই।

এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় আসতে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তবে সকাল ১০টায় মেলার গেট খোলার পর প্রথম এক ঘণ্টা ক্রেতা দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল তুলনামূলক কম। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা। দুপুর ১২টার পর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে অনেকটাই বেড়ে যায়।

মিরপুর থেকে মেলায় আসা মারুফা বলেন, সাড়ে ১০টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করি। আমরা যখন মেলায় আসি তখন ভিড় খুব একটা ছিল না। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মেলায় ভিড় বেড়েছে। বাসার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। ভিড় বাড়ার আগেই কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরে যাব।

যাত্রাবাড়ী থেকে মেলায় আসা রোহান দুপুর ১২টার দিকে বলেন, গতকাল মেলা বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। সুযোগ করে আজ পরিবার নিয়ে এসেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা কম।

এদিকে ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও বেড়ে গেছে। তবে সকাল বেলা কিছু সময় স্টলের বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় পার করেন। অবশ্য সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যায়।

বিদেশি প্যাভিলিয়নে ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রেতা মামুন বলেন, সকালের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। বিকেলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ে। এবারের মেলায় এখনও পর্যন্ত আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী হয়েছে।

থ্রি-পিস বিক্রেতা আরিফুল বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় আজ কিছু ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে। কিন্তু মেলার প্রথম ১০ দিনের ক্রেতা-দর্শনার্থীর চিত্র বেশ খারাপ। আমার হিসেবে গত বছরের অর্ধেক দর্শনার্থীও এবার মেলায় আসেনি। তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। সামনে পরিস্থিতি ভালো হবে এটাই আমাদের আশা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট সময় : ১০:৪০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
দেখতে দেখতে ১১ দিন পার করছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শুরুর দিকে দর্শনার্থী খরা ছিল। তবে এ অবস্থা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার আভাস দিচ্ছে বাণিজ্য মেলা। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় মেলার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৫ গুন হয়েছে।

মেলার ইজারাদার ও অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দাবি, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেলায় বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। সামনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

তবে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন মেলার গেট ইজারা পাওয়া মীর ব্রাদার্সের মালিক মীর শহিদুল।

তিনি বলেন, আজ মেলার দর্শনার্থী ভালোই হয়েছে। ২০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এসেছে। এর আগে দর্শনার্থী এসেছে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ হাজারের মতো। সামনে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।

মীর শহিদুল আরও বলেন, এবার মেলার শুরুতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। গত বছর এমন সময়ের শনিবারে ৫০-৬০ হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। এখন দর্শনার্থী কম হলেও সামনে বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। কারণ বিনোদন প্রেমিক মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। আর ঢাকার মানুষের বিনোদনের সুযোগও কম। সুতরাং মানুষ মেলায় আসবেই।

এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় আসতে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তবে সকাল ১০টায় মেলার গেট খোলার পর প্রথম এক ঘণ্টা ক্রেতা দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল তুলনামূলক কম। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা। দুপুর ১২টার পর ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে অনেকটাই বেড়ে যায়।

মিরপুর থেকে মেলায় আসা মারুফা বলেন, সাড়ে ১০টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করি। আমরা যখন মেলায় আসি তখন ভিড় খুব একটা ছিল না। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মেলায় ভিড় বেড়েছে। বাসার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। ভিড় বাড়ার আগেই কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরে যাব।

যাত্রাবাড়ী থেকে মেলায় আসা রোহান দুপুর ১২টার দিকে বলেন, গতকাল মেলা বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। সুযোগ করে আজ পরিবার নিয়ে এসেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা কম।

এদিকে ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও বেড়ে গেছে। তবে সকাল বেলা কিছু সময় স্টলের বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় পার করেন। অবশ্য সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যায়।

বিদেশি প্যাভিলিয়নে ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রেতা মামুন বলেন, সকালের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। বিকেলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ে। এবারের মেলায় এখনও পর্যন্ত আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী হয়েছে।

থ্রি-পিস বিক্রেতা আরিফুল বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় আজ কিছু ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে। কিন্তু মেলার প্রথম ১০ দিনের ক্রেতা-দর্শনার্থীর চিত্র বেশ খারাপ। আমার হিসেবে গত বছরের অর্ধেক দর্শনার্থীও এবার মেলায় আসেনি। তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। সামনে পরিস্থিতি ভালো হবে এটাই আমাদের আশা