ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাতেও উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতেও ক্যাম্পাসে সরব দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।

এ ঘটনার প্রতিবাদে, সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদী গান-কবিতায় সমাবেশ এবং মোমবাতি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

সহপাঠী ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হতে না হতেই সকাল থেকে প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু ভিপিও মানববন্ধন করেন। ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ভিপি নুরুল হক নুর। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সবার একটাই দাবি, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের চিহ্নিত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এ সময় তারা ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করে শামসুন্নাহার হলের সামনে প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মশাল মিছিলে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়কে নেতৃত্বে দেখা যায়।

অন্যদিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী গানে কবিতায় সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘পালাবদল’ নামে ২০১৩/১৪ সেশনের ঢাবি শিক্ষার্থীরা। সেখানে একে একে বিপ্লবী ও প্রতিবাদী গান, কবিতা আবৃত্তি করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’’, ‘দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার’, ’এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার’, ‘জনতার সংগ্রাম চলবেই’, ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন’, ‘বিপ্লবেরই রক্ত রাঙা ঝাণ্ডা’, ‘আমায় একটা সাদা মানুষ দাও’, ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’ ও ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ও ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙিন’, ‘ভয় কি মরণে’ ও ‘আমাদের জপতব মন্ত্র’, ও ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’সহ অসংখ্য গান পরিবেশিত হয়।

অন্যদিকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিপীড়ন বিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্বলন মিছিল ডাকসু চত্বর থেকে বেরিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসাইনের নেতৃত্বে ডাকসুর নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।

এ সময় গোলাম রাব্বানী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেরকম বাংলাদেশও আইন সংস্কার করে বিধান প্রণয়ন দরকার।

সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ডাকসুর নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ পিছু হাঁটবে না। বিচারের দাবিতে আমরা আজ রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি পেশ করব। আগামীকাল সকাল ১০টায় ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রতিবাদী আলপনা আঁকবে। দুপুর ৩টায় ছাত্র শিক্ষক প্রতিবাদী সমাবেশ হবে। সন্ধ্যা ৬টায় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ প্রতিবাদ জানাবে। পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন ঢাবি শিক্ষার্থী। তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের দোতলা বাসে (ঢাবি-টঙ্গী রুট) বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাতেও উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ০৮:২১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতেও ক্যাম্পাসে সরব দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।

এ ঘটনার প্রতিবাদে, সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদী গান-কবিতায় সমাবেশ এবং মোমবাতি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

সহপাঠী ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হতে না হতেই সকাল থেকে প্রতিবাদ এবং ধর্ষকের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু ভিপিও মানববন্ধন করেন। ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ভিপি নুরুল হক নুর। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সবার একটাই দাবি, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের চিহ্নিত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এ সময় তারা ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করে শামসুন্নাহার হলের সামনে প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মশাল মিছিলে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়কে নেতৃত্বে দেখা যায়।

অন্যদিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী গানে কবিতায় সমাবেশের আয়োজন করেছে ‘পালাবদল’ নামে ২০১৩/১৪ সেশনের ঢাবি শিক্ষার্থীরা। সেখানে একে একে বিপ্লবী ও প্রতিবাদী গান, কবিতা আবৃত্তি করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

‘কারার ঐ লৌহ-কপাট’’, ‘দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার’, ’এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার’, ‘জনতার সংগ্রাম চলবেই’, ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন’, ‘বিপ্লবেরই রক্ত রাঙা ঝাণ্ডা’, ‘আমায় একটা সাদা মানুষ দাও’, ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’ ও ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ও ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙিন’, ‘ভয় কি মরণে’ ও ‘আমাদের জপতব মন্ত্র’, ও ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’সহ অসংখ্য গান পরিবেশিত হয়।

অন্যদিকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিপীড়ন বিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্বলন মিছিল ডাকসু চত্বর থেকে বেরিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসাইনের নেতৃত্বে ডাকসুর নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।

এ সময় গোলাম রাব্বানী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেরকম বাংলাদেশও আইন সংস্কার করে বিধান প্রণয়ন দরকার।

সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ডাকসুর নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ পিছু হাঁটবে না। বিচারের দাবিতে আমরা আজ রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি পেশ করব। আগামীকাল সকাল ১০টায় ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রতিবাদী আলপনা আঁকবে। দুপুর ৩টায় ছাত্র শিক্ষক প্রতিবাদী সমাবেশ হবে। সন্ধ্যা ৬টায় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ প্রতিবাদ জানাবে। পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন ঢাবি শিক্ষার্থী। তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের দোতলা বাসে (ঢাবি-টঙ্গী রুট) বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’