ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পৃথিবী ভ্রমনের টার্গেটঃ শতাধিক দেশ ঘুরেছেন খুলনার মেয়ে আসমা

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

কালাম হসাইন সাব্বিরঃ
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী ২০০৯ সালে ঢাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশনের পর বিশ্ব দেখতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি ইতোমধ্যে শতাধিক দেশ ঘুরেছেন।

শুরুতে ভারতীয় উপমহাদেশের পর্যটকদের মতো দেশ ভ্রমণ করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় তার। কিন্তু পরে তিনি হস্টেলে থেকে কম খরচে ঘোরার বিষয়টি জানতে পারেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক অর্থ ব্যয় করি কিন্তু এসব দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় কম খরচে ব্যাকপ্যাকিং করে চলে যায়। বিভিন্ন দেশের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানকার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মঙ্গোলিয়ায় ঘোড়ার মাংস খেয়েছি।

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার স্টেক এবং নিউজিল্যান্ডের ল্যাম্ব খুব ভালো লেগেছে। অবশ্য আমি কম খরচে ঘুরে বেড়ানোয় বেশি রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পারি না।

কম খরচে ঘোরার টিপস জানার জন্য লোনলি প্ল্যানেট বইয়ের অন্ধ ভক্ত আসমা। কারণ বইটি পড়ায় বছরে পাঁচশো ডলার অর্থ বেঁচে যায় তার।তিনি বইটি থেকে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে সেখানকার ভাষায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘কত দাম’ বলতে শিখে নেয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

আসমার বর্তমান ঠিকানা নিউজিল্যান্ড। তিনি ঘোরার অর্থ যোগাড় করতে দেড় বছর চাকরি করেন। সপ্তাহের শেষে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।কিছু অর্থ জমিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ছয় মাসের জন্য। ২০১৮ সালে মধ্য এশিয়ার আজারবাইজান, বৈকাল হ্রদ, রাশিয়া ঘুরতে ঘুরতে ট্রেনে তিনি পাড়ি দেন তেইশ হাজার কিলোমিটার।

তিনি রাশিয়ায় খুঁজে পান এমন কিছু মানুষ যাদের কাছে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ জানতে চাইলে, তারা সেখানে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বছরে একবার কিছু দিনের জন্য বাড়ি যান আসমা। দেশে ফিরেই তিনি একটা ভালো গামছা কেনেন।

তার সবসময়ের সঙ্গী গামছা, ছাতা, তিন জোড়া জুতো, মোবাইল ফোনের চার্জার, ক্যামেরা, পানির বোতল এবং এয়ার প্লাগ।