ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

ইয়াছির আরাফাত; 
গুজব হল জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো বিবৃতি, যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ভুল ও অসঙ্গত তথ্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয় গুজব।

ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বোঝায় এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে বোঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না।

কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’

তবে এই প্রচার হওয়াটা নির্ভর করে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে গুজব।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে গুজবের সৃষ্টি বা প্রসার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কারণ তখনকার তথ্য যোগাযোগব্যবস্থা বর্তমান সময়ের মতো এত বেশি উন্নত ছিল না। ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে তথ্য যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে গুজব মহামারী আকার ধারণ করছে খুব সহজেই।

জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা হুজুগে, এটা অস্বীকার করতে পারি না।

কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাক বা না থাক, কোনো তথ্য সঠিক নাকি ভুল তা যাচাই-বাছাই না করে হুজুগের বশে ভাইরাল করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল সবসময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গুজবকে ব্যবহার করে থাকে। রাজনৈতিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত স্বার্থে সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে।

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি মহল ছড়িয়েছিল লবণ সংকটের গুজব। গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।

গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে যেভাবে ভাইরাস দমন করা হয়, তেমনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুজবও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গুজবের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, বর্তমানে যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় সেহেতু সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু প্রচার না করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক স্বার্থে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার না করা, ‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ এমন ধরনের বিশ্লেষণ পরিহার করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা, মানুষের কমনসেন্স উন্নত করা- ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করলে গুজব নামক সামাজিক ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

ইয়াছির আরাফাত : প্রকৌশলী; নির্বাহী পরিচালক, সফটম্যাক্স

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

ইয়াছির আরাফাত; 
গুজব হল জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো বিবৃতি, যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ভুল ও অসঙ্গত তথ্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয় গুজব।

ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বোঝায় এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে বোঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না।

কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’

তবে এই প্রচার হওয়াটা নির্ভর করে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে গুজব।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে গুজবের সৃষ্টি বা প্রসার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কারণ তখনকার তথ্য যোগাযোগব্যবস্থা বর্তমান সময়ের মতো এত বেশি উন্নত ছিল না। ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে তথ্য যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে গুজব মহামারী আকার ধারণ করছে খুব সহজেই।

জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা হুজুগে, এটা অস্বীকার করতে পারি না।

কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাক বা না থাক, কোনো তথ্য সঠিক নাকি ভুল তা যাচাই-বাছাই না করে হুজুগের বশে ভাইরাল করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল সবসময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গুজবকে ব্যবহার করে থাকে। রাজনৈতিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত স্বার্থে সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে।

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি মহল ছড়িয়েছিল লবণ সংকটের গুজব। গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।

গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে যেভাবে ভাইরাস দমন করা হয়, তেমনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুজবও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গুজবের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, বর্তমানে যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় সেহেতু সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু প্রচার না করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক স্বার্থে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার না করা, ‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ এমন ধরনের বিশ্লেষণ পরিহার করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা, মানুষের কমনসেন্স উন্নত করা- ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করলে গুজব নামক সামাজিক ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

ইয়াছির আরাফাত : প্রকৌশলী; নির্বাহী পরিচালক, সফটম্যাক্স