ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




গুটিকয়েক পরিবহন নেতার হাতে ১৭ কোটি মানুষের মৃত্যু ফাঁদ- এইচ আর শফিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শফিক;

কোঠা আন্দোলন থেকে খুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। জনগণের এমন অনেক মৌলিক অধিকার নিয়ে আন্দোলন ইতিপূর্বে  সরকার ও প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে হটিয়ে দিতে দেখেছি অথচ  বারবার পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনের দাবি ও আন্দোলনের কাছে সরকারকে বারবার অসহায়ের মতো আত্ম সমর্পণ করতে দেখে অনেক প্রশ্নের দানাবাঁধে আম জনতার মনে। কিন্তু সেসব প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? তাই প্রশ্ন থেকে যায় নিরুত্তরের গোলকধাঁধায়।

পরিবহন খাতের খামখেয়ালি ও নৈরাজ্যের কাছে বারবার সরকারের নুয়ে পড়ায় হতাশ আমরা হতাশ সাধারণ জনগণ। যখনই অপরিপক্ক চালক বা বেপরোয়া গতির কারণে অসংখ্য তাজা প্রাণ চাকা পিষ্ট হয়ে নিরাপদ সড়ক ব্যহত হয় সে দায় কার? পরিবহনের চালক, সরকার নাকি জনগণের? যে মৃত্যু পথিকের অসচেতনতায় ঘটে সেটা আমি বলবো না। এককথায় জনগণের সব হতাশার অবসান ঘটাতে যখন সড়ক পরিবহন নতুন আইন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দেশ, তখন আবারও সরকারের নতজানু দেখে জনতার হতাশা স্পষ্ট। আবারও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের হুমকি, শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘট কোটি কোটি জনতার গতিরোধ। অথচ কোন কঠোর অবস্থান বা পদক্ষেপ আমাদের চোখে স্পষ্ট নয়। একটি দেশের পরিবহন গতির সাথে উন্নয়ন ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে থাকে এ কথা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসনীয়। অথচ সরকারের সবচেয়ে ধীর নীতি ও অপরিকল্পিত সেক্টর যোগাযোগ তথা পরিবহন খাত। একজন পথিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলো আচ্ছা ভাই আপানারা তো সাংবাদিক অনেক কিছু বুঝেন জানেন দয়াকরে   বলেন তো দেশের মানুষের জন্য পরিবহন খাতের শৃংখল উন্নয়ন বড় নাকি মালিক শ্রমিক সংগঠন বা এত খাতে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কালো টাকার নেতা বড়?

এই প্রশ্নের উত্তর আসলেই ছিলো না আমার পরক্ষণেই ভেবে দেখলাম কতটা যৌক্তিক তার কথাটা। এসব শ্রমিক সংগঠন মালিক সংগঠন নেতা এদের সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করে সরকার এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারে হ্যা হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে শৃঙ্খলা ফিরাতে তবে এমন পদক্ষেপ নিয়ে যদি সাহসী ইচ্ছা সরকার পোষণ করেন তবে দেশের পরিবহন খাতের স্থায়ী একটি সমাধান হবে এটা সত্যি। সরকার যদি কঠোর হয় প্রয়োজনে নৈরাজ্যের হোতা সকল  মালিক শ্রমিক সংগঠন বাতিল এসব নেতাদের গ্রেফতার করা। এরপর সংগঠন নিিষিদ্ধ করে  যেসব মালিকগন গাড়ি রাস্তায় নামাতে চায় তাদের পূর্ণ সহায়তা দিয়ে আহবান জানাতে পারেন সরকার

তাহলে এসব বর্বর চাঁদাবাজ  সিন্ডিকেট ভেঙে জাতি একটি শৃঙ্খল পরিবহন সেক্টর উপহার পাওয়ার আশা করতেই পারে। রাজধানী সহ সারাদেশে পরিবহন সেক্টর যেভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে চলছে তা শুধু বেআইনি নয় জনগণকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করাও বটে। সারাদেশে জেলা উপজেলায় আন্ত পরিবহন গুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ যা সরকার বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় দপ্তরগুলো জানেনই না। একটি কথা বলতেই হয় ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা তার সময়কালে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছি পরিবহন খাতে সেসব উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বাস্তবায়ন করলে এদেশের পরিবহন সেক্টর খুব অল্প সময়ে উন্নত দেশের ন্যায় নিরবিচ্ছিন্ন ও সফল হতো।এমন ভাবে চলতে পারেনা। কয়েকটা সংগঠন, দুয়েকজন পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতার কাছে দেশের প্রায় ১৮ কোটি জনগণের মৃত্যু ফাঁদ আর এই বিষয়ে রাষ্ট্রের নতজানু নীতি! এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের মুখে চলমান শ্রমিকদের অনৈতিক ধর্মঘট চোখ রাঙ্গাচ্ছে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা এমনকি সরকারকে। সাধারণ মানুষ মনে করে এখনই সময় এবিষয়ে কঠোর হয়ে এই খাতে সর্বোচ্চ মননিবেশ করা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।

আমাদের সকলেরই মনে আছে মনে আছে ২০১৮-১৯ দুই বছরে আলোচিত পরিবহন হত্যাকান্ডের ঘটনা। গত বছরের ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন হয় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিব হোসেনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ এপ্রিল মারা যান রাজিব। ২০ এপ্রিল রাতে বনানীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় বিআরটিসির একটি বাসের চাপায় ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী রোজিনার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ এপ্রিল মারা যান রোজিনা।

এছাড়াও  ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই কলেজ সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা রাস্তায় নেমে আসে রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে আসে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশেই। তখন দেশব্যাপী গণমানুষের দাবি হয়ে উঠে একটি যুগোপযোগী সড়ক পরিবহন আইন প্রনয়ন। সেই আন্দোলন মুহুর্তে আন্দোলনকারীদের সরকার আশ্বাস দেন একটি নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রনোয়নের। তার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে এই নতুন সড়ক পরিবহন আইন।
দেশের সাধারণ মানুষ আশা করে গুটিকয়েক চাঁদাবাজ পরিবহন খাতের নেতা ও সংগঠন গুড়িয়ে দিয়ে পরিবহন খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে নিরাপদ সড়ক পরিবহন সেক্টর হিসেবে গড়ে তুলবেন সরকার।

 

লেখক ; হাফিজুর রহমান শফিক।
সম্পাদক সকালের সংবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গুটিকয়েক পরিবহন নেতার হাতে ১৭ কোটি মানুষের মৃত্যু ফাঁদ- এইচ আর শফিক

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

এইচ আর শফিক;

কোঠা আন্দোলন থেকে খুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। জনগণের এমন অনেক মৌলিক অধিকার নিয়ে আন্দোলন ইতিপূর্বে  সরকার ও প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে হটিয়ে দিতে দেখেছি অথচ  বারবার পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনের দাবি ও আন্দোলনের কাছে সরকারকে বারবার অসহায়ের মতো আত্ম সমর্পণ করতে দেখে অনেক প্রশ্নের দানাবাঁধে আম জনতার মনে। কিন্তু সেসব প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? তাই প্রশ্ন থেকে যায় নিরুত্তরের গোলকধাঁধায়।

পরিবহন খাতের খামখেয়ালি ও নৈরাজ্যের কাছে বারবার সরকারের নুয়ে পড়ায় হতাশ আমরা হতাশ সাধারণ জনগণ। যখনই অপরিপক্ক চালক বা বেপরোয়া গতির কারণে অসংখ্য তাজা প্রাণ চাকা পিষ্ট হয়ে নিরাপদ সড়ক ব্যহত হয় সে দায় কার? পরিবহনের চালক, সরকার নাকি জনগণের? যে মৃত্যু পথিকের অসচেতনতায় ঘটে সেটা আমি বলবো না। এককথায় জনগণের সব হতাশার অবসান ঘটাতে যখন সড়ক পরিবহন নতুন আইন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে দেশ, তখন আবারও সরকারের নতজানু দেখে জনতার হতাশা স্পষ্ট। আবারও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের হুমকি, শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘট কোটি কোটি জনতার গতিরোধ। অথচ কোন কঠোর অবস্থান বা পদক্ষেপ আমাদের চোখে স্পষ্ট নয়। একটি দেশের পরিবহন গতির সাথে উন্নয়ন ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে থাকে এ কথা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসনীয়। অথচ সরকারের সবচেয়ে ধীর নীতি ও অপরিকল্পিত সেক্টর যোগাযোগ তথা পরিবহন খাত। একজন পথিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলো আচ্ছা ভাই আপানারা তো সাংবাদিক অনেক কিছু বুঝেন জানেন দয়াকরে   বলেন তো দেশের মানুষের জন্য পরিবহন খাতের শৃংখল উন্নয়ন বড় নাকি মালিক শ্রমিক সংগঠন বা এত খাতে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কালো টাকার নেতা বড়?

এই প্রশ্নের উত্তর আসলেই ছিলো না আমার পরক্ষণেই ভেবে দেখলাম কতটা যৌক্তিক তার কথাটা। এসব শ্রমিক সংগঠন মালিক সংগঠন নেতা এদের সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করে সরকার এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারে হ্যা হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে শৃঙ্খলা ফিরাতে তবে এমন পদক্ষেপ নিয়ে যদি সাহসী ইচ্ছা সরকার পোষণ করেন তবে দেশের পরিবহন খাতের স্থায়ী একটি সমাধান হবে এটা সত্যি। সরকার যদি কঠোর হয় প্রয়োজনে নৈরাজ্যের হোতা সকল  মালিক শ্রমিক সংগঠন বাতিল এসব নেতাদের গ্রেফতার করা। এরপর সংগঠন নিিষিদ্ধ করে  যেসব মালিকগন গাড়ি রাস্তায় নামাতে চায় তাদের পূর্ণ সহায়তা দিয়ে আহবান জানাতে পারেন সরকার

তাহলে এসব বর্বর চাঁদাবাজ  সিন্ডিকেট ভেঙে জাতি একটি শৃঙ্খল পরিবহন সেক্টর উপহার পাওয়ার আশা করতেই পারে। রাজধানী সহ সারাদেশে পরিবহন সেক্টর যেভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে চলছে তা শুধু বেআইনি নয় জনগণকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করাও বটে। সারাদেশে জেলা উপজেলায় আন্ত পরিবহন গুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ যা সরকার বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় দপ্তরগুলো জানেনই না। একটি কথা বলতেই হয় ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা তার সময়কালে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছি পরিবহন খাতে সেসব উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বাস্তবায়ন করলে এদেশের পরিবহন সেক্টর খুব অল্প সময়ে উন্নত দেশের ন্যায় নিরবিচ্ছিন্ন ও সফল হতো।এমন ভাবে চলতে পারেনা। কয়েকটা সংগঠন, দুয়েকজন পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতার কাছে দেশের প্রায় ১৮ কোটি জনগণের মৃত্যু ফাঁদ আর এই বিষয়ে রাষ্ট্রের নতজানু নীতি! এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের মুখে চলমান শ্রমিকদের অনৈতিক ধর্মঘট চোখ রাঙ্গাচ্ছে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা এমনকি সরকারকে। সাধারণ মানুষ মনে করে এখনই সময় এবিষয়ে কঠোর হয়ে এই খাতে সর্বোচ্চ মননিবেশ করা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।

আমাদের সকলেরই মনে আছে মনে আছে ২০১৮-১৯ দুই বছরে আলোচিত পরিবহন হত্যাকান্ডের ঘটনা। গত বছরের ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন হয় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিব হোসেনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ এপ্রিল মারা যান রাজিব। ২০ এপ্রিল রাতে বনানীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় বিআরটিসির একটি বাসের চাপায় ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী রোজিনার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ এপ্রিল মারা যান রোজিনা।

এছাড়াও  ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই কলেজ সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা রাস্তায় নেমে আসে রাজধানীর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে আসে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশেই। তখন দেশব্যাপী গণমানুষের দাবি হয়ে উঠে একটি যুগোপযোগী সড়ক পরিবহন আইন প্রনয়ন। সেই আন্দোলন মুহুর্তে আন্দোলনকারীদের সরকার আশ্বাস দেন একটি নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রনোয়নের। তার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে এই নতুন সড়ক পরিবহন আইন।
দেশের সাধারণ মানুষ আশা করে গুটিকয়েক চাঁদাবাজ পরিবহন খাতের নেতা ও সংগঠন গুড়িয়ে দিয়ে পরিবহন খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে নিরাপদ সড়ক পরিবহন সেক্টর হিসেবে গড়ে তুলবেন সরকার।

 

লেখক ; হাফিজুর রহমান শফিক।
সম্পাদক সকালের সংবাদ।