ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




অবহেলিত জনপদ কামরাঙ্গিচরের উন্নয়নের কান্ডারী কাউন্সিল হোসেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯ ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সারাদেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সহ অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলদের দুর্নীতি, অপরাধ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় হতবাক দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারাদেশে চলছে শুদ্ধি অভিযান। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দলীয় বেশ কয়েকজন কাউন্সিল সহ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এমন পরিস্থিতিতেও ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ডের তরুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন সফলতার সাথে চার বছর দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

একসময় অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত কামরাঙ্গিচরবাসীর অাজ উন্নয়নের মুখ দেখিয়েছেন তিনি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ মডেল ওয়ার্ড করার ৯০ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এলাকার মাদক নির্মূল, বাল্য বিয়ে, সামাজিক উন্নয়ন এই জনপ্রতিনিধিকে প্রয়োজনে সবসময় পাশে পেয়ে থাকে বলেন জানান এলাকাবাসী।

তার এলাকার স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫৬ নং ওয়ার্ড এলাকাটি বর্তমান কাউন্সিলর হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পরে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন হয়েছে এই ওয়ার্ডের।

মাদকের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডঃ
সন্ত্রাস, মাদক,জঙ্গিবাদ পরিহার করে খেলাধুলার অানন্দে মাতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরপর তিনবার বঙ্গবন্ধু গোল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অায়োজন করে অাসছেন তিনি। তরুনদের নেশা থেকে দূরে রাখতে তার এই উদ্যেগকে সাধুবাদ জানায় এলাকার সাধারণ জনগণ। এই খেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী মোঃসালাউদ্দীন। প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা ২ অাসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে এই খেলা শুরু হয়। হাজার হাজার দর্শক এই খেলা দেখার জন্য মাঠে ছুটে অাসে।অার এই মহৎ কাজটির উদেক্তা হলেন কাউন্সিলর হোসেন।

এছাড়াও প্রতি বছর তিনি শেখ রাসেল ক্রিকেট খেলার অায়োজন করেন।

শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদানঃ
এলাকার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি, এছাড়াও তিনি শিক্ষক ফোরাম গঠন করেন।

ধর্মীয় উন্নয়নঃ
সকল ধর্মের মানুষ যাতে নিজের ধর্ম পালনে কোন বাধাগ্রস্ত না হয়ে সে জন্য ব্যপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। অসংখ্য মসজিদের উন্নয়ন ও পবিত্র জুম্মার দিনে জুমার নামাজের সময় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কামরাঙ্গিচরবাসীর ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা সহ ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সহ অন্য সকল ধর্মের মানুষে ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান পালনের জন্য সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন তিনি।

ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণঃ
এছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেন মোহাম্মদ হোসেন এ নিয়ে মেয়র ও মন্ত্রীদের নজরে আসেন এই তরুণ কাউন্সিলর।

কাউন্সিল মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকারের চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানকে পুজি করে একটি মহল সম্প্রতি  আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে যার বিন্দু মাত্র সত্যতা নেই। অন্যদিকে কিছু গণমাধ্যম উদেশ্য মূলক সম্মান নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । এসবের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

হোসেনের দাবি চরিত্র হননের এ পথে গিয়ে কি লাভ? এমন প্রচার করে হয়তো তাদের সাময়িক কিছু লাভ হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল ভালো হয় না। আবার অপপ্রচার করতে গিয়ে এমন সব তথ্য উপাত্ত্ব সামনে আনা হয় যার অধিকাংশই মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন সকালের সংবাদের সাথে একান্ত এই আলোচনায় জানান, ঘোলাপানিতে একটি গোষ্ঠী মাছ স্বীকারের চেষ্টা করছে। অনুপ্রবেশ কারীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান ভাবমূর্তি এতোটাই নষ্ট করার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে যে, সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়া কিছু নেতার বিষয়ে সয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। বর্তমানে আওয়ামী লীগকে সম্পুর্ন ঢেলে সাজানো হবে। যার দারা দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

তরুণ কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন ১৯৯৭ সালে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন বলেও জানান তিনি, ২০০৬ সালে ট্রাম কার্ড আন্দোলনে করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয় তাকে।  ১/১১ সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি  গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অবহেলিত জনপদ কামরাঙ্গিচরের উন্নয়নের কান্ডারী কাউন্সিল হোসেন

আপডেট সময় : ০৪:১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সারাদেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সহ অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলদের দুর্নীতি, অপরাধ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় হতবাক দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারাদেশে চলছে শুদ্ধি অভিযান। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দলীয় বেশ কয়েকজন কাউন্সিল সহ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এমন পরিস্থিতিতেও ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ডের তরুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন সফলতার সাথে চার বছর দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

একসময় অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত কামরাঙ্গিচরবাসীর অাজ উন্নয়নের মুখ দেখিয়েছেন তিনি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ মডেল ওয়ার্ড করার ৯০ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এলাকার মাদক নির্মূল, বাল্য বিয়ে, সামাজিক উন্নয়ন এই জনপ্রতিনিধিকে প্রয়োজনে সবসময় পাশে পেয়ে থাকে বলেন জানান এলাকাবাসী।

তার এলাকার স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫৬ নং ওয়ার্ড এলাকাটি বর্তমান কাউন্সিলর হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পরে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন হয়েছে এই ওয়ার্ডের।

মাদকের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডঃ
সন্ত্রাস, মাদক,জঙ্গিবাদ পরিহার করে খেলাধুলার অানন্দে মাতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরপর তিনবার বঙ্গবন্ধু গোল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অায়োজন করে অাসছেন তিনি। তরুনদের নেশা থেকে দূরে রাখতে তার এই উদ্যেগকে সাধুবাদ জানায় এলাকার সাধারণ জনগণ। এই খেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী মোঃসালাউদ্দীন। প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা ২ অাসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে এই খেলা শুরু হয়। হাজার হাজার দর্শক এই খেলা দেখার জন্য মাঠে ছুটে অাসে।অার এই মহৎ কাজটির উদেক্তা হলেন কাউন্সিলর হোসেন।

এছাড়াও প্রতি বছর তিনি শেখ রাসেল ক্রিকেট খেলার অায়োজন করেন।

শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদানঃ
এলাকার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি, এছাড়াও তিনি শিক্ষক ফোরাম গঠন করেন।

ধর্মীয় উন্নয়নঃ
সকল ধর্মের মানুষ যাতে নিজের ধর্ম পালনে কোন বাধাগ্রস্ত না হয়ে সে জন্য ব্যপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। অসংখ্য মসজিদের উন্নয়ন ও পবিত্র জুম্মার দিনে জুমার নামাজের সময় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কামরাঙ্গিচরবাসীর ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা সহ ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সহ অন্য সকল ধর্মের মানুষে ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান পালনের জন্য সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন তিনি।

ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণঃ
এছাড়াও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেন মোহাম্মদ হোসেন এ নিয়ে মেয়র ও মন্ত্রীদের নজরে আসেন এই তরুণ কাউন্সিলর।

কাউন্সিল মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকারের চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানকে পুজি করে একটি মহল সম্প্রতি  আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে যার বিন্দু মাত্র সত্যতা নেই। অন্যদিকে কিছু গণমাধ্যম উদেশ্য মূলক সম্মান নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । এসবের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

হোসেনের দাবি চরিত্র হননের এ পথে গিয়ে কি লাভ? এমন প্রচার করে হয়তো তাদের সাময়িক কিছু লাভ হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল ভালো হয় না। আবার অপপ্রচার করতে গিয়ে এমন সব তথ্য উপাত্ত্ব সামনে আনা হয় যার অধিকাংশই মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন সকালের সংবাদের সাথে একান্ত এই আলোচনায় জানান, ঘোলাপানিতে একটি গোষ্ঠী মাছ স্বীকারের চেষ্টা করছে। অনুপ্রবেশ কারীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান ভাবমূর্তি এতোটাই নষ্ট করার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে যে, সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়া কিছু নেতার বিষয়ে সয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। বর্তমানে আওয়ামী লীগকে সম্পুর্ন ঢেলে সাজানো হবে। যার দারা দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

তরুণ কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন ১৯৯৭ সালে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন বলেও জানান তিনি, ২০০৬ সালে ট্রাম কার্ড আন্দোলনে করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয় তাকে।  ১/১১ সময় শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি  গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করেন ।