ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




‘আব্বু-আম্মু মিলেমিশে থেক’ লিখে কিশোরের আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ৫০ বার পড়া হয়েছে

‘আব্বু-আম্মু মিলেমিশে থেক’ লিখে কিশোরের আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চিরকুট লিখে এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম অপু মিয়া (১৫)। সে ওই গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
মৃত্যুর আগে অপু একটি চিরকুট লিখে যায়। তাতে লেখা রয়েছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি চাই আব্বু ও আম্মু মিলেমিশে থাকুক। কখনও ঝগড়া না করুক। ভাই-বোনদের যেন না মারে। তাদের যেন আদর-স্নেহ করে। আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে অপুর বসতঘরের দরজা-জানালা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। দরজায় ধাক্কা দিয়ে কোনও সাড়া না পাওয়ায় আখাউড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে অপুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, বুধবার সকালে নিহত অপুর মায়ের সঙ্গে প্রবাসে থাকা তার বাবা আনোয়ার মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে অপুর মা তাকে মারধর করে। পরে অপুকে রেখে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনও পুলিশ কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি।
অপুর মা নিলুফা বেগম জানান, আমি ছেলের জন্য দুপুরের খাবার রান্না করে বাবার বাড়ি যাই। কিন্তু পরে শুনি-আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কেন আত্মহত্যা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে ছেলের মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘আব্বু-আম্মু মিলেমিশে থেক’ লিখে কিশোরের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় চিরকুট লিখে এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম অপু মিয়া (১৫)। সে ওই গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
মৃত্যুর আগে অপু একটি চিরকুট লিখে যায়। তাতে লেখা রয়েছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি চাই আব্বু ও আম্মু মিলেমিশে থাকুক। কখনও ঝগড়া না করুক। ভাই-বোনদের যেন না মারে। তাদের যেন আদর-স্নেহ করে। আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে অপুর বসতঘরের দরজা-জানালা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। দরজায় ধাক্কা দিয়ে কোনও সাড়া না পাওয়ায় আখাউড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে অপুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, বুধবার সকালে নিহত অপুর মায়ের সঙ্গে প্রবাসে থাকা তার বাবা আনোয়ার মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে অপুর মা তাকে মারধর করে। পরে অপুকে রেখে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনও পুলিশ কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি।
অপুর মা নিলুফা বেগম জানান, আমি ছেলের জন্য দুপুরের খাবার রান্না করে বাবার বাড়ি যাই। কিন্তু পরে শুনি-আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কেন আত্মহত্যা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে ছেলের মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।