ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ওই সময় মারা যায় তাদের ছেলে। এদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে থাকল না। গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলুমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি দোতলা ভবনের নিচ তলায় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল।

দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর শিকার চারজন হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) ও আনিকা (৮) এবং আশরাফুল (৫)। এদের মধ্যে আশরাফুল ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

মৃত আমির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর আমির ভাড়া বাসাটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, আশরাফুলের মৃত্যুর পর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে মারা যান আমিরের স্ত্রী খালেদা।

পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইলের চার্জার লাগানোর সময় শর্টসার্কিট হয়ে চার্জারটি বিষ্ফোরিত হলে তার চুলে আগুন লাগে।এ সময় ছেলে আশরাফুল মাকে বাঁচাতে গেলে সেও দগ্ধ হয়। একইভাবে আমির ও তার মেয়েও বাঁচাতে গিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তিনজনের মরদেহ স্বজনেরা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মোবাইল ফোনের চার্জার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এক সপ্তাহ আগে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ওই সময় মারা যায় তাদের ছেলে। এদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে থাকল না। গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ডবলুমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি দোতলা ভবনের নিচ তলায় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটেছিল।

দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর শিকার চারজন হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫) ও আনিকা (৮) এবং আশরাফুল (৫)। এদের মধ্যে আশরাফুল ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

মৃত আমির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর আমির ভাড়া বাসাটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, আশরাফুলের মৃত্যুর পর দগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে মারা যান আমিরের স্ত্রী খালেদা।

পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইলের চার্জার লাগানোর সময় শর্টসার্কিট হয়ে চার্জারটি বিষ্ফোরিত হলে তার চুলে আগুন লাগে।এ সময় ছেলে আশরাফুল মাকে বাঁচাতে গেলে সেও দগ্ধ হয়। একইভাবে আমির ও তার মেয়েও বাঁচাতে গিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তিনজনের মরদেহ স্বজনেরা গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।