ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




সুবিধাভুগী সাংবাদিককে নিয়ে বোমা ফাটালেন শাবান মাহমুদ!  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব শাবান মাহমুদ আজ এক সুবিধাবাদী সাংবাদিককে নিয়ে তার ফেইসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বোমা ফাটালেন। এ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে তিনি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ না করলেও অনেকেরই বুঝার বাকী নেই কাকে নিয়ে স্ট্যাটাসটি দেওয়া হয়েছে।

শাবান মাহমুদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, সাংবাদিকতা করি গত ৩০ বছর। চ্যালেঞ্জিং এ পেশা আমার ভাল লাগে। ইচ্ছে করলে রাজনীতি করতে পারতাম সূযোগ ছিলো। ছাত্রলীগ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলাম। বিএনপি – জামাত সরকারের আমলে চাকরীচ্যুত হয়েছিলাম শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিটিভিতে নিয়োগ পাওয়ার অপরাধে। তারপর পেশায় টিকে থাকতে অনেক সংগ্রাম।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের শ্রদ্ধেয় সম্পাদক নঈম নিজাম, নাইমুল ইসলাম খান আর শ্রদ্ধেয় সৈয়দ বোরহান কবীর সে সময়ে সাহস জুগিয়েছেন পাশে ছিলেন । কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি বার বার সাংবাদিকদের ভোটে সংগঠনের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছি। সাংবাদিকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা।

তিনি তার স্ট্যাটাসে আরো উল্লেখ করেন, কোন সাংবাদিক ভাল থাকলে ভাল লাগে। খারাপ থাকলে কষ্ট হয়। সাংবাদিকদের নিয়ে খারাপ কিছু লিখতে পারি না, ভাল খবর জানতে চাই। তবে আজ একজন সাংবাদিককে নিয়ে কিছু বলতে চাই। যিনি রাজধানীতে দুটি ফ্লাটের মালিক। কাজ করেন একটি জাতীয় দৈনিকে। শুনেছি জীবনে কোনদিন বেতনের টাকায় হাত দেন না। অন্যের কাছ থেকে চেয়ে চলা তার অভ্যাস।

তিনি উল্লেখ করেন, ইদানীং তার নীতিবাক্য ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখতে দেখতে রীতিমতো ক্লান্ত। আর একটা কথা বলে আজ শেষ করবো, যার কথা বলছি তিনি একবার ভারতে চিকিৎসা করতে যাবেন। আমি অশোক চৌধুরী দাদাকে বললাম সাহায্য করতে হবে, দাদা তাকে ডেকে ৫০ হাজার টাকা দিলেন। একবার এক সাংবাদিক তার মায়ের চিকিৎসার জন্য খুব বিপদে। স্নেহভাজন সাংবাদিক অপর এক সাংবাদিকের মায়ের চিকিৎসার জন্য সম্রাটের কাছ থেকে এক লাখ টাকার সাহায্য এনে দিলেন। সম্রাটের বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিক ফেসবুকে প্রতিনিয়ত বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। এখন ভাবছি সাংবাদিকদের বিপদে কতটুকু পাশে থাকা যৌক্তিক ?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সুবিধাভুগী সাংবাদিককে নিয়ে বোমা ফাটালেন শাবান মাহমুদ!  

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব শাবান মাহমুদ আজ এক সুবিধাবাদী সাংবাদিককে নিয়ে তার ফেইসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বোমা ফাটালেন। এ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে তিনি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ না করলেও অনেকেরই বুঝার বাকী নেই কাকে নিয়ে স্ট্যাটাসটি দেওয়া হয়েছে।

শাবান মাহমুদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, সাংবাদিকতা করি গত ৩০ বছর। চ্যালেঞ্জিং এ পেশা আমার ভাল লাগে। ইচ্ছে করলে রাজনীতি করতে পারতাম সূযোগ ছিলো। ছাত্রলীগ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলাম। বিএনপি – জামাত সরকারের আমলে চাকরীচ্যুত হয়েছিলাম শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিটিভিতে নিয়োগ পাওয়ার অপরাধে। তারপর পেশায় টিকে থাকতে অনেক সংগ্রাম।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের শ্রদ্ধেয় সম্পাদক নঈম নিজাম, নাইমুল ইসলাম খান আর শ্রদ্ধেয় সৈয়দ বোরহান কবীর সে সময়ে সাহস জুগিয়েছেন পাশে ছিলেন । কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি বার বার সাংবাদিকদের ভোটে সংগঠনের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছি। সাংবাদিকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা।

তিনি তার স্ট্যাটাসে আরো উল্লেখ করেন, কোন সাংবাদিক ভাল থাকলে ভাল লাগে। খারাপ থাকলে কষ্ট হয়। সাংবাদিকদের নিয়ে খারাপ কিছু লিখতে পারি না, ভাল খবর জানতে চাই। তবে আজ একজন সাংবাদিককে নিয়ে কিছু বলতে চাই। যিনি রাজধানীতে দুটি ফ্লাটের মালিক। কাজ করেন একটি জাতীয় দৈনিকে। শুনেছি জীবনে কোনদিন বেতনের টাকায় হাত দেন না। অন্যের কাছ থেকে চেয়ে চলা তার অভ্যাস।

তিনি উল্লেখ করেন, ইদানীং তার নীতিবাক্য ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখতে দেখতে রীতিমতো ক্লান্ত। আর একটা কথা বলে আজ শেষ করবো, যার কথা বলছি তিনি একবার ভারতে চিকিৎসা করতে যাবেন। আমি অশোক চৌধুরী দাদাকে বললাম সাহায্য করতে হবে, দাদা তাকে ডেকে ৫০ হাজার টাকা দিলেন। একবার এক সাংবাদিক তার মায়ের চিকিৎসার জন্য খুব বিপদে। স্নেহভাজন সাংবাদিক অপর এক সাংবাদিকের মায়ের চিকিৎসার জন্য সম্রাটের কাছ থেকে এক লাখ টাকার সাহায্য এনে দিলেন। সম্রাটের বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিক ফেসবুকে প্রতিনিয়ত বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। এখন ভাবছি সাংবাদিকদের বিপদে কতটুকু পাশে থাকা যৌক্তিক ?