ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?- প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোই তো মেনে নিয়েছেন ভিসি। তারপরও নাকি তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে? শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাদেরকে যখন পুরস্কৃত করা হয় বা যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাদেরকে যখন রক্ষা করা হয় তখন সেই সমাজ থেকে এইগুলো দূর করা অত্যন্ত কঠিন কাজ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু পিছিয়ে থাকিনি। কোন দল করে সেটা না। খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবেই আমরা দেখি। অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবেই আমরা দেখেছি। খবরটা পাওয়ার সাথে সাথে আমি কারো আন্দোলনেরও অপেক্ষা করিনি, কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। এদেরকে গ্রেফতার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে সাধারণ ছাত্ররা, যাদের ১০ দফা দাবি। সবই তো মেনে নিয়েছে ভিসি। তারপরও না কী তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন কার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু এই ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।

তিনি বলেন, আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো, ধরতে পারবো।

শেখ হাসিনা বলেন, তিন চার ঘণ্টা সময় যদি নষ্ট না করতো তাহলে আরো আগেই সাথে সাথে ধরা পড়তে পারতো। মনে হলো আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কি-না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় করলে কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে সব সময় ছিল একটা অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করতে চাই, এত ছাত্র হত্যা হয়েছে কয়টার বিচার কে করেছে? সেই ৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে করেছে। আর যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি তখনই আমরা সাথে সাথে বিচার করেছি। এর বাইরে কেউ আজ পর্যন্ত বলতে পারবে কোনো বিচার হয়েছে?

বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন কে প্রতিবাদ করলো? তখন তো আমাদের বুয়েটের যে অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদেরকে তো নামতে দেখি নাই। প্রতিবাদ করতে দেখিনি তাদের, তখন তারা কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবার কথা বলার অধিকার আছে। বলতে পারে, অন্তত এই সুযোগটা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় জাতির পিতার খুনিদের যে পুরস্কৃত করলো। যুদ্ধাপরাধীদের যারা ছেড়ে দিল। সাত খুনের আসামিকে যারা নেতা বানালো কে কে তখন প্রতিবাদ করেছে? তখন মানবাধিকারের চিন্তা কোথায় ছিল? তখন ন্যায়-নীতি বোধ কোথায় ছিল? তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা।

তিনি বলেন, আমাদের কথা একেবার স্পষ্ট, কোনো অন্যায় অবিচার আমরা সহ্য করবো না। করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ রাখতে হবে।

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ বেশকিছু দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?- প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোই তো মেনে নিয়েছেন ভিসি। তারপরও নাকি তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে? শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাদেরকে যখন পুরস্কৃত করা হয় বা যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায় তাদেরকে যখন রক্ষা করা হয় তখন সেই সমাজ থেকে এইগুলো দূর করা অত্যন্ত কঠিন কাজ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু পিছিয়ে থাকিনি। কোন দল করে সেটা না। খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবেই আমরা দেখি। অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবেই আমরা দেখেছি। খবরটা পাওয়ার সাথে সাথে আমি কারো আন্দোলনেরও অপেক্ষা করিনি, কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। এদেরকে গ্রেফতার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে সাধারণ ছাত্ররা, যাদের ১০ দফা দাবি। সবই তো মেনে নিয়েছে ভিসি। তারপরও না কী তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন কার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু এই ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।

তিনি বলেন, আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো, ধরতে পারবো।

শেখ হাসিনা বলেন, তিন চার ঘণ্টা সময় যদি নষ্ট না করতো তাহলে আরো আগেই সাথে সাথে ধরা পড়তে পারতো। মনে হলো আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কি-না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় করলে কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে সব সময় ছিল একটা অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করতে চাই, এত ছাত্র হত্যা হয়েছে কয়টার বিচার কে করেছে? সেই ৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে করেছে। আর যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি তখনই আমরা সাথে সাথে বিচার করেছি। এর বাইরে কেউ আজ পর্যন্ত বলতে পারবে কোনো বিচার হয়েছে?

বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন কে প্রতিবাদ করলো? তখন তো আমাদের বুয়েটের যে অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদেরকে তো নামতে দেখি নাই। প্রতিবাদ করতে দেখিনি তাদের, তখন তারা কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবার কথা বলার অধিকার আছে। বলতে পারে, অন্তত এই সুযোগটা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় জাতির পিতার খুনিদের যে পুরস্কৃত করলো। যুদ্ধাপরাধীদের যারা ছেড়ে দিল। সাত খুনের আসামিকে যারা নেতা বানালো কে কে তখন প্রতিবাদ করেছে? তখন মানবাধিকারের চিন্তা কোথায় ছিল? তখন ন্যায়-নীতি বোধ কোথায় ছিল? তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা।

তিনি বলেন, আমাদের কথা একেবার স্পষ্ট, কোনো অন্যায় অবিচার আমরা সহ্য করবো না। করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ রাখতে হবে।

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ বেশকিছু দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।