ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




বরিশালের কোতোয়ালি থানার এএসআই’র বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধিঃ 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার এ এস আই আসাদের বিরুদ্ধে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে আসাদ মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েও ধর্ষকের হাতেই তুলে দিয়েছে এক যুবতীকে।

অভিযোগকারী রিপার মামা আল আমিন জানান, আমার ভাগ্নী আসমা আক্তার রিপা। তাকে ১৬ তারিখ দুপুরে বিএম কলেজ থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় মাইনুল ইসলাম গাজী নামের এক বখাটে। এসময় নগদ ৫০,০০০ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ সাথে নিয়ে যায় তারা। এরপর আমরা খোজাখুজি করে না পেলে ১৯ তারিখ মোবাইলে বখাটে মাইনুল আমাদের ফোন দিয়ে টাকা চায় নয়ত ভাগ্নীকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও তার কথা না শুনলে আমাদেরও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এরপর ২২ তারিখ আমরা কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি (১২৩২ নম্বর) । জিডির বলে মেয়েসহ অপহরণকারী মাইনুলকে গ্রেফতার করলেও আমার নিকট হতে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ও ছেলের পক্ষ থেকে যতদূর জানি প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে রাতেই কোন ধরনের মামলা, মিমাংসা ছাড়াই দুজনকে ছেড়ে দিতে উদ্যক্ত হয় এ এসআই আসাদ। এবং থানার অফিসার ইনচার্জ ও এসিকে কৌশলে দায়সারা বুঝ দিয়ে রাতের আধারেই ছেড়ে দেয় যুগলদের। বারবার তাদের বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা ( মাইনুল পরিবার) কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়েই ঘুষের টাকা হজম করতে আসাদ তাদের মিমাংসা না করিয়ে ছেড়ে দেয়ায়। কোতোয়ালি মডেল থানার সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করলে আমার দেয়া টাকার প্রমাণ মিলবে।আমি তাকে ডিউটিরত অবস্থায় সুস্ঠু সমাধানের জন্য ঘুষ দিয়েছি। এ বিষয়ে বিএমপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি শেষ।

জিডির বাদী ও রিপার মা সালমা বেগম জানান ” আসাদকে টাকা দেয়ার ঘটনা জানি। আসাদ টাকা নিয়েও বেশী টাকার জন্য আমার মেয়েকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছে।

ঘুষ গ্রহন সমন্ধে এ এস আই আসাদকে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্তার অযুহাতদেখিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশালের কোতোয়ালি থানার এএসআই’র বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯

বরিশাল প্রতিনিধিঃ 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার এ এস আই আসাদের বিরুদ্ধে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে আসাদ মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েও ধর্ষকের হাতেই তুলে দিয়েছে এক যুবতীকে।

অভিযোগকারী রিপার মামা আল আমিন জানান, আমার ভাগ্নী আসমা আক্তার রিপা। তাকে ১৬ তারিখ দুপুরে বিএম কলেজ থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় মাইনুল ইসলাম গাজী নামের এক বখাটে। এসময় নগদ ৫০,০০০ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ সাথে নিয়ে যায় তারা। এরপর আমরা খোজাখুজি করে না পেলে ১৯ তারিখ মোবাইলে বখাটে মাইনুল আমাদের ফোন দিয়ে টাকা চায় নয়ত ভাগ্নীকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও তার কথা না শুনলে আমাদেরও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এরপর ২২ তারিখ আমরা কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি (১২৩২ নম্বর) । জিডির বলে মেয়েসহ অপহরণকারী মাইনুলকে গ্রেফতার করলেও আমার নিকট হতে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ও ছেলের পক্ষ থেকে যতদূর জানি প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে রাতেই কোন ধরনের মামলা, মিমাংসা ছাড়াই দুজনকে ছেড়ে দিতে উদ্যক্ত হয় এ এসআই আসাদ। এবং থানার অফিসার ইনচার্জ ও এসিকে কৌশলে দায়সারা বুঝ দিয়ে রাতের আধারেই ছেড়ে দেয় যুগলদের। বারবার তাদের বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা ( মাইনুল পরিবার) কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়েই ঘুষের টাকা হজম করতে আসাদ তাদের মিমাংসা না করিয়ে ছেড়ে দেয়ায়। কোতোয়ালি মডেল থানার সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করলে আমার দেয়া টাকার প্রমাণ মিলবে।আমি তাকে ডিউটিরত অবস্থায় সুস্ঠু সমাধানের জন্য ঘুষ দিয়েছি। এ বিষয়ে বিএমপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি শেষ।

জিডির বাদী ও রিপার মা সালমা বেগম জানান ” আসাদকে টাকা দেয়ার ঘটনা জানি। আসাদ টাকা নিয়েও বেশী টাকার জন্য আমার মেয়েকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছে।

ঘুষ গ্রহন সমন্ধে এ এস আই আসাদকে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্তার অযুহাতদেখিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।