ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




দখল করা কার্যালয়ে পাহারায় নিরাপদে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ প্রতিবেদকঃ 
রাজধানীর মতিঝিলে ক্লাবপাড়ায় চারটি ক্লাবে অভিযান পুলিশি। ক্লাবগুলো হল- মোহামেডান ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোটিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া ক্লাব। রোববার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশি এমন অভিযানের মধ্যেও কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের সামনে ভূঁইয়া ম্যানশনে শতাধিক যুবকের পাহারায় রয়েছেন ‘ক্যাসিনো সম্রাট’।

যদিও এর আগে গুঞ্জন ছিল সম্রাটকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যুবলীগের এ নেতার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালানো হয়নি।

ভবনটির সামনে রাখা রয়েছে সারি সারি মোটরসাইকেল। রাত যত গভীর হয়, পাহারারত যুবক ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা তত বাড়ে। এসব তরুণ-যুবকের সবাই আওয়ামী যুবলীগের কর্মী। ভূঁইয়া ম্যানশন নামের এ ভবটিতে বসেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকালে সম্রাটের কার্যালয় কর্মীদের ভিড়ে জমজমাট থাকলেও মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় ছিল সুনসান নীরবতা। ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া ক্লাবগুলোর সামনে পুলিশি পাহারা। যে সব ক্লাবে অভিযান হয়নি, সেখানেও কেউ নেই। দুই দফায় অভিযানের পর ঢাকার ক্যাসিনোগুলো বন্ধ হয়ে আছে।

জানা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ছিল। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন।

তবে সম্রাট নিজে সরাসরি ক্যাসিনো দেখাশোনা করতেন না। তার ক্যাসিনো চালাতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো.আবু কাওসার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। তারাই এক বছর আগে পল্টনের প্রীতম-জামান টাওয়ারে ক্যাসিনো চালু করেন। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাসিনোর দুই হোতা আবু কাওসার ও মমিনুল হক এখন বিদেশে রয়েছেন। যুগলীগের ক্যাসিনো খালেদকে গ্রেফতারের পর সম্রাট বুধবার থেকে নিজের কার্যালয়েই অবস্থান করছেন।

ওদিন রাতে তিনি সহস্রাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে তার কার্যালয়ে অবস্থান করেন। এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয় থেকে বের হননি। জানা গেছে, ৩০০ লোকের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ভেতরে করা হয়। ভবনটির চারতলায় নিজের কার্যালয়ে তিনি রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দখল করা কার্যালয়ে পাহারায় নিরাপদে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অপরাধ প্রতিবেদকঃ 
রাজধানীর মতিঝিলে ক্লাবপাড়ায় চারটি ক্লাবে অভিযান পুলিশি। ক্লাবগুলো হল- মোহামেডান ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোটিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া ক্লাব। রোববার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশি এমন অভিযানের মধ্যেও কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের সামনে ভূঁইয়া ম্যানশনে শতাধিক যুবকের পাহারায় রয়েছেন ‘ক্যাসিনো সম্রাট’।

যদিও এর আগে গুঞ্জন ছিল সম্রাটকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যুবলীগের এ নেতার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালানো হয়নি।

ভবনটির সামনে রাখা রয়েছে সারি সারি মোটরসাইকেল। রাত যত গভীর হয়, পাহারারত যুবক ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা তত বাড়ে। এসব তরুণ-যুবকের সবাই আওয়ামী যুবলীগের কর্মী। ভূঁইয়া ম্যানশন নামের এ ভবটিতে বসেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকালে সম্রাটের কার্যালয় কর্মীদের ভিড়ে জমজমাট থাকলেও মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় ছিল সুনসান নীরবতা। ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া ক্লাবগুলোর সামনে পুলিশি পাহারা। যে সব ক্লাবে অভিযান হয়নি, সেখানেও কেউ নেই। দুই দফায় অভিযানের পর ঢাকার ক্যাসিনোগুলো বন্ধ হয়ে আছে।

জানা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ছিল। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন।

তবে সম্রাট নিজে সরাসরি ক্যাসিনো দেখাশোনা করতেন না। তার ক্যাসিনো চালাতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো.আবু কাওসার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। তারাই এক বছর আগে পল্টনের প্রীতম-জামান টাওয়ারে ক্যাসিনো চালু করেন। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাসিনোর দুই হোতা আবু কাওসার ও মমিনুল হক এখন বিদেশে রয়েছেন। যুগলীগের ক্যাসিনো খালেদকে গ্রেফতারের পর সম্রাট বুধবার থেকে নিজের কার্যালয়েই অবস্থান করছেন।

ওদিন রাতে তিনি সহস্রাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে তার কার্যালয়ে অবস্থান করেন। এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয় থেকে বের হননি। জানা গেছে, ৩০০ লোকের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ভেতরে করা হয়। ভবনটির চারতলায় নিজের কার্যালয়ে তিনি রয়েছেন।