ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




পদ্মায় নির্মাণযজ্ঞে নতুন গতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাটির তলদেশের গঠনজনিত যে জটিলতা ছিল, সেটার অবসান হয়েছে। ফলে স্বপ্নের এই সেতুটির নির্মাণকাজ পেয়েছে নতুন গতি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুর উদ্বোধনের যে প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা পিছিয়ে দিতে হয় প্রকৃতির কারণেই।

মোট যে ৪২টি পিলারের ওপর হবে দ্বিতল এই সেতু, তার মধ্যে প্রথমে ১৪টি এবং পরে ২০টি পিলারের নির্মাণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। আর এ নিয়ে কেটে যায় ১৫টি মাস। ফলে ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে না, এটা জানা গিয়েছিল আগেই। তবে কবে কাজ শেষ হবে, সেটাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

সেতু প্রকল্পে কাজ করা একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যেহেতু এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে, তাই ২০১৯ সালের শেষে চালু হতে পারে এই সেতু। এরপরেও সময় লাগলে সেটা বড়জোর দুই থেকে তিন মাসের ব্যাপার হবে।

বর্তমানে ৬.১৫ কিলোমিটার এই সেতু ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে ওপরে স্প্যান বসায়। চলতি মাসেই ১৫০ মিটারের আরও একটি স্প্যান বসার কথা। আরো ১১টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে।

প্রকল্পের প্যানেল অব এক্সপার্ট টিমের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘মাঝখানে আমাদের পদ্মা সেতুর নকশায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এ কারণে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু সেটি এখন সমাধান হয়েছে। ফলে আর কোনো সমস্যা এখন নেই।’

‘নতুন নকশায় ২২টি পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাইলগুলোর গভীরতা স্থানভেদে ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত কমানো হয়েছে। নতুন নকশা করা হয়েছে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাউইর তত্ত্বাবধানে। পরিবর্তিত নকশায় দ্রুত পাইলিংয়ের কাজ এগিয়ে চলছে।’

কবে নাগাদ পাইলিংয়ের কাজ শেষ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জামিলুর বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে বলছি না। তবে আমরা ধারণা করছি, ২০১৯ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পাইলিংয়ের কাজ শেষ হবে। ’

‘ফলে ২০১৯ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। তবে মনে হয় সেটা সম্ভব হবে না। আরও দুই-তিন মাস আমাদের অতিরিক্ত লাগতে পারে।’

জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, মূল সেতু নির্মাণের ৭১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর সার্বিকভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

জানতে চাইলে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সেতু নির্মাণ কাজ ব্যাপক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আমাদের টার্গেটে সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।’

কী সেই জটিলতা

জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, নিচে যে জায়গায় বালুময় মাটি পাওয়ার কথা ছিল, সেখানে পাওয়া গেছে কাদা। ফলে সেখানে পাইলের ভিত্তিগুলো টেকার কথা না। এটি লোড নিতে পারত না।

এ কারণে পাইলগুলো কোথাও কোথাও ১৫ মিটার কমানোর পাশাপাশি ছয়টির জায়গায় সাতটি পাইল করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

এটি কি অভিনব কোনো সমস্যা?- জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কানাডায় একবার মাটি পরীক্ষা না করে নির্মাণ শেষ করার পরপরই সেতু ভেঙে পড়েছিল।’

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের এই সেতুটি ২০০৮ সালের নির্বাচনী অঙ্গীকারে ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে নানা ঘটনার পর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

সে সময় ২০১৮ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। কিন্তু অর্ধেকের বেশি পাইলিং করার পর বাকি অংশে কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে গঠনজনিত জটিলতা পাওয়া যায়। ১৪টি পিয়ারের নকশা পাল্টাতে হয়। পরে জটিলতা দেখা দেয় আর আটটির।

সেতু প্রকল্পের প্যানেল অব এক্সপার্ট টিমের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘নতুন নকশায় ২২টি পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাইলগুলোর গভীরতা স্থানভেদে ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত কমানো হয়েছে।’

বেশির ভাগ পিয়ারের গভীরতা ১২০-১৩০ মিটার। তবে নকশায় পরিবর্তন আনা পিয়ারের পাইলের গভীরতা ৯৮ থেকে ১১৪ মিটারের মধ্যে রাখা হয়েছে। মাওয়াপ্রান্তের পিয়ারগুলোর গভীরতা তুলনামূলক কম। জাজিরা অংশে পরিবর্তিত নকশার পিয়ারগুলোর গভীরতা সে তুলনায় বেশি হচ্ছে।

পদ্মা সেতুতে পিয়ার হবে মোট ৪২টি। এর মধ্যে নদীর ভেতরে থাকা ৪০টি পিয়ারের প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার কথা ছিল। নকশা বদলে ফেলা পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। ফলে পাইলের সংখ্যা ২৪০ থেকে বেড়ে ২৬২টিতে উন্নীত হচ্ছে।

রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্প

মূল সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজও শুরু করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু প্রকল্পের জাজিরাপ্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটিতে থাকা ‘৭ এফ’ নম্বর স্প্যানের ওপর বসানো হয় রেলওয়ে বক্স স্ল্যাব।

জাজিরাপ্রান্তে পাঁচটি স্প্যানের ওপর শুরু হয়েছে এই স্ল্যাব বসানোর কাজ। এরই মধ্যে ৮০টি স্ল্যাব বসেছে স্প্যানের ওপর। এসব স্ল্যাবের ওপর বসবে রেললাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পদ্মায় নির্মাণযজ্ঞে নতুন গতি

আপডেট সময় : ১১:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাটির তলদেশের গঠনজনিত যে জটিলতা ছিল, সেটার অবসান হয়েছে। ফলে স্বপ্নের এই সেতুটির নির্মাণকাজ পেয়েছে নতুন গতি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সেতুর উদ্বোধনের যে প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা পিছিয়ে দিতে হয় প্রকৃতির কারণেই।

মোট যে ৪২টি পিলারের ওপর হবে দ্বিতল এই সেতু, তার মধ্যে প্রথমে ১৪টি এবং পরে ২০টি পিলারের নির্মাণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। আর এ নিয়ে কেটে যায় ১৫টি মাস। ফলে ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে না, এটা জানা গিয়েছিল আগেই। তবে কবে কাজ শেষ হবে, সেটাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

সেতু প্রকল্পে কাজ করা একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যেহেতু এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে, তাই ২০১৯ সালের শেষে চালু হতে পারে এই সেতু। এরপরেও সময় লাগলে সেটা বড়জোর দুই থেকে তিন মাসের ব্যাপার হবে।

বর্তমানে ৬.১৫ কিলোমিটার এই সেতু ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে ওপরে স্প্যান বসায়। চলতি মাসেই ১৫০ মিটারের আরও একটি স্প্যান বসার কথা। আরো ১১টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে।

প্রকল্পের প্যানেল অব এক্সপার্ট টিমের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘মাঝখানে আমাদের পদ্মা সেতুর নকশায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এ কারণে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু সেটি এখন সমাধান হয়েছে। ফলে আর কোনো সমস্যা এখন নেই।’

‘নতুন নকশায় ২২টি পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাইলগুলোর গভীরতা স্থানভেদে ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত কমানো হয়েছে। নতুন নকশা করা হয়েছে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাউইর তত্ত্বাবধানে। পরিবর্তিত নকশায় দ্রুত পাইলিংয়ের কাজ এগিয়ে চলছে।’

কবে নাগাদ পাইলিংয়ের কাজ শেষ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জামিলুর বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে বলছি না। তবে আমরা ধারণা করছি, ২০১৯ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পাইলিংয়ের কাজ শেষ হবে। ’

‘ফলে ২০১৯ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। তবে মনে হয় সেটা সম্ভব হবে না। আরও দুই-তিন মাস আমাদের অতিরিক্ত লাগতে পারে।’

জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, মূল সেতু নির্মাণের ৭১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর সার্বিকভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

জানতে চাইলে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সেতু নির্মাণ কাজ ব্যাপক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আমাদের টার্গেটে সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।’

কী সেই জটিলতা

জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, নিচে যে জায়গায় বালুময় মাটি পাওয়ার কথা ছিল, সেখানে পাওয়া গেছে কাদা। ফলে সেখানে পাইলের ভিত্তিগুলো টেকার কথা না। এটি লোড নিতে পারত না।

এ কারণে পাইলগুলো কোথাও কোথাও ১৫ মিটার কমানোর পাশাপাশি ছয়টির জায়গায় সাতটি পাইল করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

এটি কি অভিনব কোনো সমস্যা?- জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কানাডায় একবার মাটি পরীক্ষা না করে নির্মাণ শেষ করার পরপরই সেতু ভেঙে পড়েছিল।’

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের এই সেতুটি ২০০৮ সালের নির্বাচনী অঙ্গীকারে ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে নানা ঘটনার পর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

সে সময় ২০১৮ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। কিন্তু অর্ধেকের বেশি পাইলিং করার পর বাকি অংশে কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে গঠনজনিত জটিলতা পাওয়া যায়। ১৪টি পিয়ারের নকশা পাল্টাতে হয়। পরে জটিলতা দেখা দেয় আর আটটির।

সেতু প্রকল্পের প্যানেল অব এক্সপার্ট টিমের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘নতুন নকশায় ২২টি পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাইলগুলোর গভীরতা স্থানভেদে ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত কমানো হয়েছে।’

বেশির ভাগ পিয়ারের গভীরতা ১২০-১৩০ মিটার। তবে নকশায় পরিবর্তন আনা পিয়ারের পাইলের গভীরতা ৯৮ থেকে ১১৪ মিটারের মধ্যে রাখা হয়েছে। মাওয়াপ্রান্তের পিয়ারগুলোর গভীরতা তুলনামূলক কম। জাজিরা অংশে পরিবর্তিত নকশার পিয়ারগুলোর গভীরতা সে তুলনায় বেশি হচ্ছে।

পদ্মা সেতুতে পিয়ার হবে মোট ৪২টি। এর মধ্যে নদীর ভেতরে থাকা ৪০টি পিয়ারের প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার কথা ছিল। নকশা বদলে ফেলা পিয়ারে ছয়টির বদলে সাতটি করে পাইল করা হচ্ছে। ফলে পাইলের সংখ্যা ২৪০ থেকে বেড়ে ২৬২টিতে উন্নীত হচ্ছে।

রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্প

মূল সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজও শুরু করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু প্রকল্পের জাজিরাপ্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটিতে থাকা ‘৭ এফ’ নম্বর স্প্যানের ওপর বসানো হয় রেলওয়ে বক্স স্ল্যাব।

জাজিরাপ্রান্তে পাঁচটি স্প্যানের ওপর শুরু হয়েছে এই স্ল্যাব বসানোর কাজ। এরই মধ্যে ৮০টি স্ল্যাব বসেছে স্প্যানের ওপর। এসব স্ল্যাবের ওপর বসবে রেললাইন।